ওভালে শেষ দিনে অবিশ্বাস্য এক জয়, সিরিজে ২-২ সমতা ফেরানো, ভারতীয় দলকে নিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ এই জয়ের পর শুবমান গিলদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ক্ষমাও চাইলেন কংগ্রেস সংসদ সদস্য শশী থারুর।

আরও পড়ুনটেস্ট ক্রিকেট থাকবে কি—উত্তর ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে১ ঘণ্টা আগে

আজ ওভাল টেস্টের শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান, ভারতের ৪ উইকেট। ভাঙা কাঁধ নিয়ে এক হাতে ব্যাটিংয়ে নামা ক্রিস ওকসের সঙ্গে শেষ জুটিতে চেষ্টা করেন অ্যাটকিনসন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি তিনি। মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারত টেস্ট জিতে যায় ৬ রানে।

ভারতের দুর্দান্ত এই জয়ের পর ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে পরিচিত থারুর এক্সে লিখেছেন, ‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি.

..কী দারুণ এক জয়! আমি আনন্দে আত্মহারা! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করল ভারত। দলের দৃঢ়তা, সাহস আর আবেগ—সবকিছুই অসাধারণ ছিল। এই দলটা সত্যিই আলাদা।’

তবে এর সঙ্গেই থারুর যোগ করেন, ‘গতকাল আমি ফল নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছিলাম, তার জন্য দুঃখিত। কিন্তু মোহাম্মদ সিরাজ কখনো নিজের বিশ্বাস হারাননি! আমাদের নায়কদের জন্য—সাবাস।’

আরও পড়ুন‘বিলিভ’ ছিল ওয়ালপেপারে, তাই খলনায়ক হতে হতে নায়ক সিরাজ২ ঘণ্টা আগে

শুধু এটুকুই নয়, ভারত এই সিরিজে যখনই খারাপ অবস্থানে ছিল, তখন কোহলির অভাব তীব্রভাবে টের পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন থারুর। আগের এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘সিরিজজুড়েই আমি বিরাট কোহলিকে মিস করেছি। তবে এই টেস্টে সেটা সবচেয়ে বেশি মনে হয়েছে। মাঠে তার নেতৃত্ব, অনুপ্রেরণা, আর ব্যাট হাতে তার দৃঢ়তা—সব মিলিয়ে তার উপস্থিতি ফলটা বদলে দিতে পারত। এখনো কি তাকে অবসর ভেঙে ডাকাটা সম্ভব? বিরাট, দেশ তোমাকে চায়!’

সিরিজে সমতায় ফিরে আনন্দে আত্মহারা ভারতের ক্রিকেটাররা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রায় ঘোষণার পর জুলাই যোদ্ধাদের উচ্ছ্বাস

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সেই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায় ঘোষণার পরপরই হাইকোর্টের সামনে অপেক্ষারত জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিভিন্ন স্লোগানে তারা রায়কে স্বাগত জানান।

এদিকে, রায় ঘোষণার পরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ