১০ কোটি টাকায় বায়োমেকানিকস ল্যাব বানাবে বিসিবি
Published: 9th, August 2025 GMT
ক্রিকেটারদের চোট কমিয়ে আনতে এবং পারফরম্যান্স ও টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ আরও গভীরভাবে করতে বায়োমেকানিকস ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পূর্বাচলের ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০ কোটি টাকার বেশি খরচ করে এই ল্যাব তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ফাহিম সিনহা জানিয়েছেন, ল্যাব স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে পরামর্শক খোঁজা শুরু হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে এখনো এ ধরনের ল্যাব চালানোর মতো কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ নেই, এ জন্য ভারত বা পাকিস্তান থেকে কোনো পরামর্শক নিতে চাইছে বিসিবি। প্রাথমিকভাবে বিদেশি টেকনিশিয়ান দিয়েই ল্যাবটি চালানো হবে। একই সঙ্গে স্থানীয়দেরও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মোটামুটি মানের একটি বায়োমেকানিকস ল্যাব স্থাপন করতে আনুমানিক ১০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে বলে জানিয়েছেন ফাহিম সিনহা। তবে আরও বড় পরিসরে সেটি করতে গেলে খরচটা ১৫-২০ কোটি টাকার মতোও লাগতে পারে। বিসিবির অবশ্য পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে স্বল্প পরিসরে ল্যাবটি চালু করার। প্রযুক্তিগত সুবিধা বাড়ানো হবে ধীরে ধীরে।
ক্রিকেটারদের ব্যাট সুইং, বোলিং অ্যাকশন থেকে শুরু করে পায়ের ভর, পেশির শক্তি, বেশি ধকল নেওয়ায় কোনো চোটের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে কি না; এমনকি ব্যাট, বল, গ্লাভস বা জুতার ঠিকঠাক ব্যবহারের বিষয়েও বিশদ তথ্য পাওয়া যাবে এই ল্যাব থেকে। সেসব বিশ্লেষণ করে সমাধানের জায়গাগুলো আরও সহজে বের করতে পারবেন কোচরা। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতেও তখন আর বোলারদের অন্য দেশে ছুটতে হবে না।
আরও পড়ুনবাংলাদেশে ফিরছেন টনি হেমিং, গামিনির কী হবে০৭ আগস্ট ২০২৫ল্যাব স্থাপনের উদ্দেশ্য সম্পর্ক জানতে চাইলে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট প্রধান বলেন, খেলাধুলায় বায়োমেকানিকস বা স্পোর্টস সায়েন্সের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি দেশেই বায়োমেকানিকসের ব্যবহার আছে। সবার নিজস্ব ল্যাবও আছে, ভারতে যেমন ১১টি ল্যাব। আধুনিক ক্রিকেটে এখন যে পরিবর্তন হচ্ছে, এটা ল্যাবে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমেই হচ্ছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরামর্শে শুরুতে বিকেএসপির বায়োমেকানিকস ল্যাব ব্যবহার করতে চেয়েছিল বিসিবি। এ জন্য বিদেশ থেকে একজন বিশেষজ্ঞও আনা হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় বিকেএসপির ল্যাবটি এখন অনেকটাই অকেজো। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এপস্টেইনের নথি প্রকাশের পক্ষে হঠাৎ কেন অবস্থান নিলেন ট্রাম্প
যৌন নিপীড়ন ও নারী পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত কুখ্যাত জেফরি এপস্টেইনের নথিগুলো প্রকাশের পক্ষে ভোট দিতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে এসে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী অবস্থান নিয়েছেন তিনি।
গতকাল রোববার রাতে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের এপস্টেইনের নথি প্রকাশের পক্ষে ভোট দেওয়া উচিত। কারণ, আমাদের লুকানোর কিছু নেই।’
কয়েক দিন ধরে ট্রাম্প প্রয়াত এপস্টেইনের নথি প্রকাশ–সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়ে আসছিলেন। এখন সেখান থেকে তিনি সরে এসেছেন।
ট্রাম্প এমন সময়ে তাঁর অবস্থান বদল করলেন, যখন কিনা প্রতিনিধি পরিষদে এপস্টেইনের নথি প্রকাশ–সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়নের ওপর ভোটাভুটির প্রস্তুতি চলছে। ওই আইনের আওতায় মার্কিন বিচার বিভাগ নথিগুলো জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করতে বাধ্য হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবটির পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে উচ্চকক্ষ সিনেটে এটি পাস হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবটির পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে উচ্চকক্ষ সিনেটে এটি পাস হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
ডেমোক্র্যাট ও কিছু রিপাবলিকান সদস্য এমন একটি পদক্ষেপের জন্য চাপ দিচ্ছেন, যা জেফরি এপস্টেইনের মামলা–সংক্রান্ত আরও নথি প্রকাশ করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে বাধ্য করবে।
এপস্টেইন ফাইল ট্রান্সপারেন্সি অ্যাক্ট নামের এই বিলের উদ্দেশ্য হলো, জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত সব অগোপনীয় নথি, রেকর্ড, চিঠিপত্র এবং তদন্তের তথ্য প্রকাশ করতে বিচার বিভাগকে বাধ্য করা।শোনা যাচ্ছিল, বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য দলের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবেন। আর এর মধ্যেই নিজের অবস্থান বদল করে রিপাবলিকান সদস্যদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেন ট্রাম্প।
রিপাবলিকান প্রতিনিধি টমাস ম্যাসি গতকাল এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রায় ১০০ জন রিপাবলিকান প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে পারেন। ম্যাসি এ প্রস্তাবের উদ্য্যোক্তাদের একজন।
আরও পড়ুনজেফরি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত ইমেইলে একাধিকবার ট্রাম্পের নাম১২ নভেম্বর ২০২৫এপস্টেইন ফাইল ট্রান্সপারেন্সি অ্যাক্ট নামের এই বিলের উদ্দেশ্য হলো, জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত সব নথি, রেকর্ড, চিঠিপত্র ও তদন্তের তথ্য প্রকাশ করতে বিচার বিভাগকে বাধ্য করা।
ট্রাম্প ফ্লোরিডা থেকে ম্যারিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজ বিমানঘাঁটিতে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরে ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দেন।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘বিচার বিভাগ এরই মধ্যে এপস্টেইন–সংক্রান্ত হাজার হাজার পৃষ্ঠাভর্তি তথ্য জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করেছে। তারা বিভিন্ন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতার (যেমন বিল ক্লিনটন, রিড হফম্যান, ল্যারি সামার্স) সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক খতিয়ে দেখছে। হাউস ওভারসাইট কমিটি আইনগতভাবে যে তথ্য চাইবে, তাই পেতে পারবে—আমার কোনো আপত্তি নেই!’
এপস্টেইনকে ২০০৮ সালে ফ্লোরিডায় ১৮ বছরের কম বয়সী একজন মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যৌনবিষয়ক পণ্য পাচারের অন্য এক মামলায় বিচারের অপেক্ষায় থাকাকালে ২০১৯ সালে কারাগারে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনএপস্টেইন–কাণ্ডে নিজেকে বাঁচাতেই কি বিল ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করলেন ট্রাম্প১৫ নভেম্বর ২০২৫