ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চেয়ে অর্থ উপদেষ্টার ডিও লেটার
Published: 9th, August 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এতে আশার আলো দেখছেন জেলাবাসী। তাঁদের আাশা, শিগগিরই এর অনুমোদন মিলবে।
৩ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এই ডিও লেটার দেন। গতকাল শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
অর্থ উপদেষ্টার আধা সরকারিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল না থাকায় জেলার দরিদ্র ও অসহায় জনসাধারণ বিনা মূল্যে ও স্বল্পমূল্যের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক স্বল্পতাসহ আধুনিক চিকিৎসার তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। এলাকার জনসাধারণকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে আসতে হয়। দরিদ্র জনসাধারণ বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ মূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে সক্ষম নন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপিত হলে দরিদ্র জনসাধারণ বিনা মূল্যে বা স্বল্পমূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিকটবর্তী উপজেলাগুলোর জনসাধারণ নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
অর্থ উপদেষ্টার ডিও লেটারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৌশলগত অবস্থান, ঘন জনবসতি, ঐতিহ্য ও জাতীয় অর্থনীতিতে এই জেলার অবদান বিবেচনা করে জেলা সদরে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানানো হয়।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আবদুন নূর বলেন, ‘আমাদের জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা গত সরকারের সময় থেকে বিভিন্নভাবে দাবি জানিয়ে আসছি। এ উদ্যোগের জন্য অর্থ উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি জেলার গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ থাকবে, তিনি যেন দ্রুত এটি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন মাহবুব বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তিনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। অর্থ উপদেষ্টার এই চিঠি আমাদের আশার আলো।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা: বিদেশি শিক্ষার্থীদের ২২৪ আসন বরাদ্দ
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আসন পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২২৪টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ২২৪ আসনের মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১৮৪ এবং বিডিএস কোর্সের জন্য ৪০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২৪ আসনের মধ্যে ১২৫টি সার্ক দেশগুলোর জন্য এবং ৯৯টি আসন নন-সার্ক দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত। সার্ক ও নন-সার্ক কোটা সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হয়েছে। নন-সার্ক কোটা সংরক্ষিত আসনে কোনো সার্ক দেশের শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে না।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৪ ঘণ্টা আগেসার্ক দেশের আসন বণ্টনে ভারতের জন্য এমবিবিএসে ২২ ও বিডিএসে ২টি, পাকিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ২১টি ও বিডিএসে ২টি, নেপালের জন্য এমবিবিএসে ১৯ ও বিডিএসে ৩টি, শ্রীলঙ্কার জন্য এমবিবিএসে ১৩ ও বিডিএসে ২টি, ভুটানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি, মালদ্বীপের জন্য এমবিবিএসে ৬টি ও বিডিএসে ১টি এবং আফগানিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে মোট ১১২ ও বিডিএসে ১৩, অর্থাৎ সর্বমোট ১২৫টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫নন-সার্ক দেশের আসন বণ্টনে সার্ক দেশের মতো একই বৃত্তির আওতায় মিয়ানমারের জন্য এমবিবিএসে ৫টি ও বিডিএসে ২টি, ফিলিস্তিনের জন্য এমবিবিএসে ১৮ ও বিডিএসে ৩টি এবং অন্য সব দেশের জন্য এমবিবিএসে ৪৯ ও বিডিএসে ২২টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। সব মিলিয়ে নন-সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে ৭২ ও বিডিএসে ২৭টি, অর্থাৎ মোট ৯৯টি আসন রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫