সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরিয়ে রাতে ছেলেকে পুকুরে ফেলে দিলেন বাবা
Published: 10th, August 2025 GMT
দিনভর মোটরসাইকেলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে রাতে রাস্তার পাশের পুকুরে ৬ বছর বয়সী শিশুকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সৎ বাবার বিরুদ্ধে। অটোরিকশার হেড লাইটের আলোতে পানিতে হাবুডুবু খেতে দেখে এক পথচারী শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিশুটিকে দেখার জন্য শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করতে থাকেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মুরাদ হোসেনকে আটক করেছে লালমনিরহাট পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ফুলবাড়ী থানার এসআই আব্দুর রহিম।
শনিবার (০৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
সড়কের পাশে সন্তান জন্ম দিলেন নারী, হাসপাতালে নিল পুলিশ
অভিভাবকহীন ২ নবজাতক পেল নাম-ঠিকানা
উদ্ধার শিশুর নাম তাসিন (৬)। সে লালমনিরহাট জেলার সখের বাজার এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে।
তাসিন জানায়, বাবার মৃত্যুর পর বড়ভাই বিপ্লব ও সে তারা মা ববিতা বেগমের কাছেই থাকত। ৬-৭ মাস আগে লালমনিরহাট সদরের সাপটানা এলাকার আকবর আলীর ছেলে মুরাদ হোসেনের সঙ্গে তার মা ববিতা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শিশু তাসিন ববিতা বেগমের সঙ্গে মুরাদের বাড়িতে ছিল।
শনিবার মুরাদ বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাসিনকে নিয়ে বের হন। মোটরসাইকেলে সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাত ৯টার দিকে ছড়ারপাড় নামক স্থানে রাস্তার পাশের পুকুরে তাসিনকে ফেলে দিয়ে চলে যান মুরাদ। বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পুকুরে হাবুডুবু খেতে দেখে শিশু তাসিনকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী ফকিরপাড়া গ্রামের আজিবুর ইসলাম। রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ফুলবাড়ী থানার এসআই আব্দুর রহিম জানান, শিশুটিকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টাকারী সৎ বাবা মুরাদ হোসেনকে লালমনিরহাট থানা পুলিশ আটক করেছে। উদ্ধারকারী আজিপুর ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে মুরাদকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। শিশুটির মা-ভাই ও নানিসহ পরিবারের লোকজন থানায় আছেন।
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র আটক অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মো. আবদুল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিনকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়ি ও গুইমারার পরিস্থিতি থমথমে, নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ে মা-মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আব্দুল্লাহ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করা হয় আবদুল্লাহকে।
মারা যাওয়া আবদুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে।
সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়রা আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তার ওপর আরো নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে চারদিন আটকে রাখা হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিন এ ঘটনা নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিংবা থানার ওসিকে অবগত করেনি।
আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার নবীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিম উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হককে আসামি করা হয়। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ