আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সিলেট বিভাগের চার জেলায় ১৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৭টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থীদের নামের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। তালিকা ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। এ সময় দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুর রব ইউসুফী, সহসভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব, নাজমুল হাসান কাসেমী, বদরুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দলটির সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের ৬টি আসনের মধ্যে সিলেট-১ (নগর ও সদর) আসন ছাড়া বাকি ৫টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনে হোসাইন আহমদ, সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ) আসনে নজরুল ইসলাম, সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর) আসনে মুহাম্মদ আলী, সিলেট-৫ (কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ) আসনে উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে ফখরুল ইসলাম। সিলেট-৫ আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত উবায়দুল্লাহ ফারুক দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি।

সুনামগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর) আসনে তাফাজ্জুল হক আজিজ, সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই ও শাল্লা) আসনে শোয়াইব আহমদ, সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ) আসনে হাম্মাদ গাজীনগরী, সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে মুখলিসুর রহমান চৌধুরী এবং সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনে নুরুল হক।

মৌলভীবাজার জেলার ৪টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এ জেলায় মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। অন্য তিন আসনের প্রার্থীরা হলেন মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনে বদরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-৩ (সদর ও রাজনগর) আসনে জামিল আহমদ আনসারী এবং মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ) আসনে শেখ নূরে আলম হামিদী।

হবিগঞ্জ জেলার চারটি আসনে প্রার্থী হলেন হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ ও বাহুবল) আসনে সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ (আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং) আসনে এখলাছুর রহমান, হবিগঞ্জ-৩ (সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে মাহবুবুর রহমান চৌধুরী এবং হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর) আসনে নুরুজ্জামান আসাদী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ল ইসল ম স ন মগঞ জ র রহম ন আসন র

এছাড়াও পড়ুন:

আংশিক স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে হবে ভোট: চাকসু নির্বাচন কমিশন

ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা ও আংশিক স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানায় কমিশন। আজ সোমবার বেলা দুইটায় সভা শুরু হয়। সেখানে ধাপে ধাপে প্রার্থীরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে প্রশ্ন করেন এবং নির্বাচন কমিশনাররা সেসবের উত্তর দেন।

মতবিনিময় সভায় প্রচারণা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। সভায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে ফেস্টুন ও ব্যানার প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্লাসরুমের ভেতরেও প্রচারণার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে ক্যাম্পাসের বাইরে ভোট চাওয়া আচরণবিধির লঙ্ঘন হবে না।

ক্যাম্পাসের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করা হয়। শুরুতে ক্যাম্পাসে যাঁরা আচরণবিধি সম্পর্কে নজর রাখবেন, তাঁদের পরিচয় তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী। পরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্ন ও মতামত চাওয়া হয়। একের পর এক প্রার্থী প্রশ্ন করা শুরু করেন।

মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রশিবির–সমর্থিত সম্প্রীতির ছাত্র ঐক্য প্যানেল, ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন, সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, সার্বভৌম শিক্ষার্থীর ঐক্য, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট প্যানেলসহ কেন্দ্রীয় সংসদের ১২টি প্যানেল ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আমির মুহাম্মদ নসরুল্লা, মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী, বেগম ইসমত আরা হক প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী।

শিক্ষার্থীরা যা বললেন

সভায় সার্বভৌম শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহসভাপতি পদপ্রার্থী তাওসিফ আল মুত্তাকী চৌধুরী প্রশ্ন করেন, পরীক্ষা যদি চাকসু নির্বাচনের আগে হয়, তাহলে ভোটার সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে কি না। ভোটারদের যাতায়াতের সমস্যা বা শহরে বুথ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মুহিদ খান।

দ্রোহ পর্ষদ প্যানেলের সহসভাপতি পদপ্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ প্রশ্ন করেন, নির্বাচনের দিন দুই দিন পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব কি না। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদ উল্লেখ করা হলে তা আচরণবিধির লঙ্ঘন হবে কি না।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভোটের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বিষয়ে জানতে চান সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শুভ হোসেন। একই সঙ্গে শাটল ট্রেনে রাত ১০টার পর আসা শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রচারণার সময় বাড়ানো হবে কি না, তা–ও জানতে চান তিনি। সার্বভৌম শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের নির্বাহী সদস্যপ্রার্থী খন্দকার তানভীন কায়েস প্রশ্ন তোলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কীভাবে অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার জন্য বিশ্বাস করতে পারেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নিবার্চন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন। আজ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ-বিজ্ঞান অডিটোরিয়ামে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৩ নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার
  • জাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলল ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল
  • জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাবি চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত
  • গাউসুল আজম মার্কেটে ব্যালট পাওয়ার বিষয়টি কেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না, প্রশ্ন আবিদ-উমামা-কাদেরের
  • আংশিক স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে হবে ভোট: চাকসু নির্বাচন কমিশন
  • চট্টগ্রাম নগরে নেতৃত্বশূন্য যুবদল, হতাশ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা
  • হেফাজতকে কাছে পেতে তৎপর বিএনপি
  • জমিয়ত নেতার হত্যার রহস্য উদঘাটন না হলে হরতালের হুঁশিয়ারি
  • ঢাবিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও প্রযুক্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ ও ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার