‎ড্র করলেই গ্রুপসেরা হয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে নাম লেখাতে পারত বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। কিন্তু সেই আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত আজ দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ম্যাচটা ৬-১ গোলে হেরেছে পিটার বাটলারের দল। তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া উঠে গেছে চূড়ান্ত পর্বে। বাংলাদেশের মেয়েদের আশা অবশ্য এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেরা তিনটি রানার্সআপ দলের একটি হয়ে চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার সুযোগ এখনো আছে।

বাংলাদেশের মেয়েরা এই মুহূর্তে রানার্সআপ দলগুলোর মধ্যে তিনে। তবে ‘সি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া-চায়নিজ তাইপে, ‘ই’ গ্রুপে চীন-লেবানন ও ‘জি’ গ্রুপের উজবেকিস্তান-জর্ডান ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভাগ্য। তবে লেবানন চীনের কাছে হেরেই গেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বে উত্তরণ।

‎এশিয়ার ৩৩টি দল নিয়ে বাছাইপর্ব চলছে আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। প্রতি গ্রুপের সেরা দল আর সেরা তিন রানার্সআপ জায়গা করে নেবে আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মূল আসরে।

‎ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে ১-১ সমতা ধরে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। গুনে গুনে আরও পাঁচ গোল হজম করে মেয়েরা।‎

‎৪৮তম মিনিটই ম্যাচে এগিয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আরও খেই হারিয়ে ফেলেন পিটার বাটলারের দল৷ মাঝমাঠ থেকে বারবার বল হারানোর পাশাপাশি রক্ষণেও ফাটল ধরা পড়ে। এই সুযোগে ৬০তম মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক চু হেই ইয়ং গোল করে স্কোরলাইন ৩-১ করে নেন।

‎শেষদিকে আরও তিনবার বাংলাদেশের জালে বল পাঠায় দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা। ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেন হেই ইয়ং। আর ৯০ মিনিটে লি হিউন করেন পঞ্চম গোল। রেফারির শেষ বাঁশির আগে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন ডিফেন্ডার জিন হেরিন।

‎এর আগে ম্যাচ শুরুর ১৫তম মিনিটেই বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠা শান্তি মার্ডি চমৎকারভাবে বল বাড়ান অপর পাশে থাকা তৃষ্ণা রানীর কাছে। পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা এই ফরোয়ার্ড সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি। দক্ষিণ কোরিয়ার জালে বল ঠেলেই সতীর্থদের নিয়ে উদ্‌যাপনে মাতেন।

‎তবে এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০ মিনিটে লি হিউন বাংলাদেশের এলোমেলো রক্ষণের সুযোগ কাজে লাগান। তাতেই ম্যাচে সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া।

‎ম্যাচের দুই মিনিটেই প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে একা পাওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি সাগরিকা। ৫ থেকে ৯ এই চার মিনিটের মধ্যে তিনবার দক্ষিণ কোরিয়ার আক্রমণ অফসাইডে কাটা পড়ে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রায় ঘোষণার পর জুলাই যোদ্ধাদের উচ্ছ্বাস

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সেই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায় ঘোষণার পরপরই হাইকোর্টের সামনে অপেক্ষারত জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিভিন্ন স্লোগানে তারা রায়কে স্বাগত জানান।

এদিকে, রায় ঘোষণার পরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ