বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন ২৫ আগস্ট শুরু হবে। ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে উভয় বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলনটি চলবে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত।

আজ রোববার বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এবারের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, ঠেলে পাঠানো (পুশ ইন) ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ এবং ভারত থেকে মাদক, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন আন্তসীমান্ত অপরাধ দমন নিয়ে আলোচনা হবে।

আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন এবং অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ রোধ, সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ এবং সীমান্ত নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে।

বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত সম্মেলনে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ, সাম্প্রতিককালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের ফলে সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ গ্রহণ নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিষয়সমূহ এবং সীমান্ত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়েও আলোচনা হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, সম্মেলনে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালকেরা নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রতিনিধিদলে নিজ নিজ দেশের সীমান্তরক্ষী ছাড়াও সীমান্ত-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করবেন। এবারের সম্মেলনে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে বিজিবি।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ভারতের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দিনব্যাপী পুষ্টিমেলা

বগুড়ায় পরিবেশবান্ধব নিরাপদ সবজি উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পারিবারিক পুষ্টি উন্নয়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা, স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের নিয়ে পুষ্টিমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) আয়োজনে বগুড়ার জয়পুরপাড়ায় টিএমএসএস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এ মেলা হয়।  

আরো পড়ুন:

আম খাওয়া কেন জরুরি

দুধ পান করলে কী সত্যিই কাশি বাড়ে

টিএমএসএস কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), ডানিডা ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফর্মেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি) প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত পুষ্টি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন পিকেএসএফের প্রোগ্রাম এন্ড নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট কপিল কুমার পাল। 

দিনব্যাপী পুষ্টি ক্যাম্পেইন মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এস এম নূর-ই-শাদীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালীপদ রায় ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ। 

এছাড়াও টিএমএসএস পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান গুলনাহার পারভিন, টিএমএসএস উপদেষ্টা আয়েশা বেগম, উপদেষ্টা মিনতি আক্তার বানু, টিএমএসএস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শাহজাহান আলীসহ আমন্ত্রিত অতিথি, টিএমএসএস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

সম্মানিত অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস প্রতিষ্ঠাতা  নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে-আরা বেগম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টিএমএসএস উপনির্বাহী পরিচালক সোহরাব আলী খান।

কৃষি উদ্যোক্তা ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পুষ্টি বিষয়ক র‍্যালির মাধ্যমে ক্যাম্পেইন শুরু হয়। র‍্যালির শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা পুষ্টি ক্যাম্পেইনের ভিটামিন, মিনারেল ও পুষ্টিজাত পণ্য বিষয়ক স্টল পরিদর্শন করেন। 

মেলায় মেডিকেল ক্যাম্প, ভিটামিন স্টল, খনিজ, রান্নার কৌশল প্রর্দশনী, ওয়াস স্টল, নিউট্রিশন স্টলসহ সচেতনতামূলক আটটি স্টলের মাধ্যমে শিশু, অভিভাবক ও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের হাতের নাগালে থাকা বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করে দেওয়া হয়। স্টল পরিদর্শন শেষে অতিথিরা এ ধরনের কার্যক্রম দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পুষ্টি সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা দেন। মেলায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। কৃষি উদ্যোক্তা ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পুষ্টি বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ, গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। ক্যাম্পেইন শেষে প্রতিযোগীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। 

মেলার আয়োজকরা জানান, এই মেলার উদ্দেশ্য জনসাধারণের মধ্যে পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, জনগণের মধ্যে পুষ্টি সম্পর্কে জ্ঞান বাড়িয়ে দেওয়া, পুষ্টি সম্পর্কে ভুল ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ খাদ্য অভ্যাস ও কুসংস্কার সম্পর্কে জ্ঞান দান, সুষম খাবার কী এবং এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এ সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দেওয়া এবং বিভিন্ন বয়সের পুষ্টি চাহিদা সম্পর্কে অবগত করা। বাড়ন্ত শিশুদের খাদ্যের ধরণ ও স্বাস্থ্যকর স্কুল টিফিন সম্পর্কে সচেতন করাসহ জনগণের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো বলেও জানান আয়োজকরা। 

‘ইকোলজি বান্ধব নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক উপপ্রকল্পটি টিএমএসএস কর্তৃক বগুড়ার ৪টি উপজেলায় ১১ হাজার ৫০০ জন সবজি খামারি নিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। 

ঢাকা/এনাম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভাইবোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি
  • বগুড়ায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দিনব্যাপী পুষ্টিমেলা