মৌলভীবাজারে ঘুমন্ত বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 11th, August 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঘুমন্ত বড় ভাইকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা ও শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।
পুলিশ জানায়, গত ৯ আগস্ট সকালে নিজ ঘর থেকে আব্দুর রহিম রাফির (২৬) গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। বড় ভাইয়ের জানাজায় মানুষের আবেগঘন উপস্থিতি দেখে পুলিশ কাছে স্বীকারোক্তি দেয় ১৬ বছর বয়সী ছোট ভাই (অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হয়নি)। সেদিনই তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর স্বীকার করে, আগের রাতে বড় ভাইয়ের কাছে ৫০০ টাকা চাইলে তা না দিয়ে দুর্ব্যবহার করে রাফি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন সকালে মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঘুমন্ত ভাইকে খাটের নিচে রাখা দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে দা ধুয়ে আবার খাটের নিচে রেখে দেয় এবং নিজের রক্তমাখা লুঙ্গিও সেখানেই লুকিয়ে রাখে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুধু টাকার জন্য নয়, মাদ্রাসায় পড়াশোনা না করা, বড় ভাইয়ের শাসন এবং রাফির বিয়ে নিয়ে পারিবারিক অশান্তি—এসব কারণেও ছোট ভাইয়ের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়। রাফি পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করায় তার স্ত্রী, মা ও ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের বিরোধ শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা বলেছেন, অভিযুক্ত ছোট ভাইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যেহেতু, সে অপ্রাপ্তবয়স্ক তাই আইন অনুযায়ী তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।
ঢাকা/আজিজ/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আজমেরী ওসমানের দুই সহোযোগীসহ আ’লীগের ৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আজমেরী ওসমানের দুই সহোযোগীসহ আওয়ামী লীগের ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফতুল্লার রামারবাগ এলাকার আওয়মীলীগ নেতা মৃত লেহাজ আলীর পুত্র তাহের আলী (৬১), আজমেরী ওসমানের সহোযোগী এনায়েতনগর শাসনগাও এলাকার হাজী আলমাস আলী সর্দারের পুত্র মোঃ সাগর সর্দার (২৬) ও একই এলাকার শহিদুল ইসলামের পুত্র মোঃ সেতু (৪৫)।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া তারা ফতুল্লায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠনো হয়েছে।