নির্বাচন কমিশনের ‘স্বীকৃতি’ চায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি।

৯ আগস্ট ছিল এ দুজনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির কাউন্সিল। এর পরদিনই নবনির্বাচিত কমিটির চারজনের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন তাঁরা। তালিকার অন্য দুজন হলেন সিনিয়র কো–চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বাদ দিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা গত শনিবার এ কাউন্সিল করেন। এই কাউন্সিলকে তাঁরা দলের ‘দশম কাউন্সিল’ বলছেন। সেখানে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নির্বাচন করা হয়।

আরও পড়ুনদেশবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন আনিসুল ইসলাম ও মুজিবুল হক০৯ আগস্ট ২০২৫

আনিসুল ইসলাম মাহমুদরা নিজেদের এ কমিটিকে জাতীয় পার্টির ‘মূল ধারা’ দাবি করছেন। ওই কাউন্সিলকে গঠনতান্ত্রিকভাবে ‘বৈধ’ দাবি করে তাঁরা বলছেন, লাঙ্গল প্রতীক ব্যবহারের বৈধ অধিকার কেবল তাঁদের কমিটিরই আছে।

তবে চিঠিতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা।

‘জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল পরবর্তী নবনির্বাচিত নেতৃত্বের’ তথ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবের বরাবরে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ৯ আগস্ট গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সারা দেশের প্রায় পাঁচ হাজার কাউন্সিলরের অংশগ্রহণে চারজনকে কণ্ঠভোটে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শীর্ষ পদে নির্বাচিত করা হয়েছে। শিগগিরই কমিশনে হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনসম্মেলন আহ্বান সম্পূর্ণ অবৈধ, দলের মূলধারার কেউ যাবে না: শামীম হায়দার০৮ আগস্ট ২০২৫

তবে জাতীয় পার্টির ‘গঠনতন্ত্রে’ চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের একচ্ছত্র এখতিয়ারের কারণে এ আবেদন ইসি আমলে নেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পযন্ত ইসিতে জি এম কাদেরের দল নিবন্ধিত ও প্রতীক লাঙ্গল। এ নিয়ে অন্য কারও কাউন্সিল আমলে নেওয়ার কথা নয়। তবু যেকোনো ধরনের আবেদন এলে ইসির কাছে উপস্থাপন করা হয়, কমিশন বিষয়টি আলোচনা করে নিষ্পত্তি করবে।

আরও পড়ুনজাতীয় পার্টির সম্মেলন কাল, ইসির প্রতিনিধি চেয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে০৮ আগস্ট ২০২৫

জি এম কাদের গত ৭ জুলাই তখনকার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলের ১০ নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন।

পরে অব্যাহতি পাওয়া নেতারা আদালতের দ্বারস্থ হলে গত ৩১ জুলাই জি এম কাদের ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত। এরপর তাঁকে বাদ দিয়েই গত জাতীয় কাউন্সিল করেন বিদ্রোহী জ্যেষ্ঠ নেতারা।

আরও পড়ুনজাতীয় পার্টির সম্মেলন ডেকেছেন আনিসুল, প্রক্রিয়া বেআইনি বলছেন শামীম০৭ আগস্ট ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এম ক দ র ক উন স ল কম ট র আগস ট বলছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ উর্মি খাতুনের (৩০) মরদেহ উদ্ধারের অভিযোগে স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।

আরো পড়ুন:

সিলেটে ছুকিরাঘাতে মাদরাসা শিক্ষক নিহত

চাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রিকশাচালক নিহত

এর আগে, শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাউজিং এফ ব্লকের একটি ভাড়া বাসা থেকে উর্মির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত উর্মি খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মন্ডলের মেয়ে। প্রায় ৫ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তারা কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং সিটি কলেজের সামনে একটি কাপড় ও খাবারের দোকান পরিচালনা করতেন।

নিহতের ভাই আবু সাইদ অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই রানা মাদকাসক্ত ছিলেন এবং এ কারণে একাধিকবার কারাগারে যান। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এ থেকেই ঝগড়া-বিবাদের জেরে মারধর ও শ্বাসরোধ করে উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে।”

ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা স্বীকার করেছেন, স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রানা উর্মিকে মারধর করে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তিনি বাইরে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।

ঢাকা/কাঞ্চন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ