ইংলিশ লিগ কাপে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল দুর্দান্তভাবে। কিন্তু শেষটা হলো হতাশায়। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর গোলেও ভাগ্য সহায় হলো না লেস্টারের। নির্ধারিত সময় শেষে ২-২ সমতায় থামলেও টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে জিতে পরের রাউন্ডে চলে গেল হাডার্সফিল্ড টাউন।

ম্যাচের ৫৪ মিনিটে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামা হামজা দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে বল পাঠান জালে। ক্লাব ক্যারিয়ারে এটি তার মাত্র দ্বিতীয় গোল। কিন্তু আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ১১ মিনিট পর ডিওন চার্লসের নেওয়া পেনাল্টি ফিরিয়ে দিলেও লেস্টার গোলকিপার ইয়াকুব স্তোলারচিককে বাঁচাতে পারেননি। ফিরতি বলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে হেডে সমতা ফেরান ১৭ বছর বয়সী ড্যানিয়েল ভস্ট।

৬৮ মিনিটে হ্যারি উইনকসের গোল লেস্টার সমর্থকদের আবার আশা জাগিয়ে দিয়েছিল। তবে ৭৬ মিনিটে আশিয়া গোল করে হাডার্সফিল্ডকে সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচটিকে ঠেলে দেন টাইব্রেকারে।

আরো পড়ুন:

টটেনহ্যামের স্বপ্নভঙ্গ, রূপকথার প্রত্যাবর্তনে পিএসজি চ্যাম্পিয়ন

ট্রেবল জয়ের নায়ককেও বিদায় জানালো পিএসজি, দোন্নারুম্মার অধ্যায়ের সমাপ্তি

পেনাল্টি শুটআউটে হাডার্সফিল্ডের হয়ে সফল স্পট কিক নেন অ্যালফি মে, লিও কাসেলডাইন ও সোরেনসেন। দলের রক্ষাকবচ হয়ে ওঠেন গোলকিপার লি নিকোলস, যিনি জর্ডান আইয়ু ও কেসি ম্যাকঅ্যাটির শট ঠেকিয়ে দেন। আর বিলাল এল খান্নুসের শট লাগে পোস্টে। তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় লেস্টারের বিদায়। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

রায় ঘোষণার পর জুলাই যোদ্ধাদের উচ্ছ্বাস

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সেই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায় ঘোষণার পরপরই হাইকোর্টের সামনে অপেক্ষারত জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিভিন্ন স্লোগানে তারা রায়কে স্বাগত জানান।

এদিকে, রায় ঘোষণার পরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ