ভোটের মাঠে সরব জামায়াতপন্থি আইনজীবিদের ভোট প্রার্থনা
Published: 14th, August 2025 GMT
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০২৫-২০২৬) জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল মনোনীত পূর্ণ প্যানেল আইনজীবিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং ভোট প্রার্থনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদালত পাড়ায় আইনজীবিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ শেষে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এসময় জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল মনোনীত প্যানেলের আইনজীবিরা বলেন, জামায়াতে ইসলামী মানবতার মুক্তি ও কল্যাণকামী একটি সংগঠন।
এদেশে ইসলামের সু-মহান আদর্শের আলোকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। এই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিকে একটি আধুনিক ও উন্নত সুযোগ সুবিধা সংবলিত আইনজীবী সমিতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই প্যানেলকে বিজয়ী করতে সকল আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত সভাপতি পদে এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব দ র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি শরীয়তপুরবাসীর
প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার দাবিতে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘জাগো শরীয়তপুর’ নামে একটি সংগঠন। তারা জানান, সরকার এ ধরনের কোনো চিন্তা বা চেষ্টা করে থাকলে, সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বের হয়ে চৌরঙ্গীর মোড়ে গিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
বিক্ষোভকারীরা জানায়, শরীয়তপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব কম, ফরিদপুরের দূরত্ব বেশি। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, দাপ্তরিকসহ সব কার্যক্রম ঢাকার সঙ্গে। তাই শরীয়তপুরের সঙ্গে ঢাকার মেলবন্ধন। সেই বন্ধনেই অটুট থাকতে চায় শরীয়তপুরবাসী। তাই জেলা ফরিদপুর বিভাগে যুক্ত হতে চান না।
প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি তাদের। তাদের এই দাবি মানা না হলে আগামীতে কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারী দিয়ে তারা বলেন, অন্তর্বতী সরকার যদি টালবাহানা করে তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। দাবি না মানা হলে পদ্মা সেতু ব্লকেড কর্মসূচিও দেওযা হবে।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, “শরীয়তপুরের মানুষদের কোনোভাবেই জোরপূর্বক প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না। যদি সরকার এ ধরনের কোনো চিন্তা বা চেষ্টা করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”
তিনি জানান, ৫ তারিখে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে গণসমাবেশও হবে। এরপরও যদি সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা পদ্মা সেতু অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
জাগো শরীয়তপুরের সদস্য জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকির হাওলাদার বলেন, “প্রতিদিন হাজারো মানুষ পড়াশোনা, চাকরি কিংবা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যায়। ফরিদপুরের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই, তাই শরীয়তপুরকে ফরিদপুর বিভাগে যুক্ত করার প্রশ্নই আসে না। প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের নামে জনগণকে বঞ্চিত করা যাবে না। যদি শরীয়তপুরকে জোর করে ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা হয়, তবে শরীয়তপুরের মানুষ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”
জাগো শরীয়তপুরের আহ্বায়ক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, “আজকের এই রৌদ্রের তাপে দাঁড়িয়ে যারা রাস্তা অবরোধ কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন, আমি তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে এই কর্মসূচি করছি। তবে স্পষ্ট করে বলতে চাই যদি শরীয়তপুরকে ঢাকার সঙ্গে না রেখে জোরপূর্বক ফরিদপুরের সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে এই আন্দোলন আর শান্তিপূর্ণ থাকবে না।”
তিনি আরো বলেন, “আগামী ৫ অক্টোবর আমরা জেলার সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশাল জেলা-ভিত্তিক মহাসমাবেশের আয়োজন করছি। যদি তাতেও সরকার আমাদের দাবি অগ্রাহ্য করে এবং আওয়ামী লীগের একতরফা চিন্তাধারা চাপিয়ে দিতে চায়, তবে আমরা ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো জেলাকে অচল করে দেব। আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সবকিছু ঢাকার সঙ্গে মিশে আছে। তাই আমরা ঢাকাতেই থাকতে চাই ফরিদপুরের সাথে যেতে চাই না।”
এসময় শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামি ছাত্র শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ও সচেতন নাগরিক সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আকাশ/এস