একসঙ্গে চার রায়ান, এমন খেলোয়াড় বদল আগে দেখেছে কি ফুটবল
Published: 15th, August 2025 GMT
ঘটনাটি গত শনিবারের। ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে লড়াই করছিল সাউদাম্পটন ও রেক্সহাম। প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমে যাওয়া সাউদাম্পটন ও লিগ ওয়ান থেকে উঠে আসা রেক্সহামের ম্যাচটির বয়স যখন ৭২ মিনিট, দুই দলই দুজন করে খেলোয়াড় বদলি করার সিদ্ধান্ত নিল। একসঙ্গে এত খেলোয়াড় বদল করাটা নতুন কিছু নয়। তবে সাউদাম্পটন ও রেক্সহাম যাঁদের অদলবদল করল, তাঁদের নামগুলোই ওই সময়কে একটু আলাদা করেছে। অদলবদল হওয়া আট খেলোয়াড়ের চারজনের নামের প্রথম অংশই যে ছিল ‘রায়ান’! চতুর্থ রেফারির কাছের সাইডলাইন তখন পুরোপুরিই রায়ানময়।
সবার আগে আসে রায়ান ম্যানিংয়ের নাম। মিডফিল্ডার ওয়েলিংটনকে উঠিয়ে এই ডিফেন্ডারকে মাঠে নামায় সাউদাম্পটন। রায়ান নামের কারও নাম আসেনি ওই সাউদাম্পটনের দ্বিতীয় বদলিতে। মিডফিল্ডার ফ্লিন ডাউনসের বদলে নামেন স্ট্রাইকার ক্যামেরন আর্চার।
তৃতীয় বদলটি করে রেক্সহাম। স্ট্রাইকার জশ উইন্ডাসকে উঠিয়ে আরেক স্ট্রাইকার রায়ান হার্ডিকে নামায় তারা। সর্বশেষ অদলবদলের দুই খেলোয়াড়ের নামই ছিল রায়ান, দুজনই রেক্সহামের মিডফিল্ডার। রায়ান বারনেটের বদলে নামেন রায়ান লংম্যান।
রায়ানদের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে সাউদাম্পন।
আরও পড়ুনরোবটদের গেমসে রোবটের মার্চপাস্ট, রোবটের ফুটবল, রোবটের দৌড়...৮ ঘণ্টা আগে
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ক সহ ম
এছাড়াও পড়ুন:
আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।
স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেমবর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।
ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণরিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।
মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগবর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।
বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।
আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স