জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গাবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে কক্সবাজারের অনুষ্ঠেয় সম্মেলনটি জাতিসংঘের একটি বৃহত্তর সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশবিশেষ। এই সম্মেলন রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এ সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ।

২৫ আগস্ট কক্সবাজারে ‘অংশীজন সংলাপ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনার জন্য প্রাপ্ত বার্তা’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে ঢাকায় থাকা কূটনীতিকদের এ বিষয়ে আজ রোববার সকালে ব্রিফ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরে কক্সবাজারের সম্মেলনে যোগ দিয়ে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাস্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশ এবং জোট মিলিয়ে ৫০টি মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, একসময় রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক আলোচনার এজেন্ডা থেকে প্রায় বাদ পড়ে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজনের জন্য সব সদস্যরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে ও সর্বসম্মতিক্রমে সাড়া পাওয়া যায় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই সম্মেলন আহ্বানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্বের ১০৬টি দেশ এই সম্মেলনকে স্পন্সর করেছে। এখন যথেষ্ট পরিমাণ আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, সম্মেলনটি রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এই সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ। এই কারণে রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর, তাদের কথা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের স্বপ্নগুলোকে সে সম্মেলনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চলছে।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোই এ ধরনের সম্মেলনে অংশ নেয়। রোহিঙ্গারা তো আর সদস্য নয়। কিন্তু কাউকে তো তাদের ভয়েসটা নিয়ে যেতে হবে। আমরা এ ধরনের প্রক্রিয়ায় সে কাজটা করছি। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি।’

ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এক রাষ্ট্রদূত জানান, কক্সবাজার সম্মেলনের শিডিউল দেওয়া হয়েছে। এতে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য এ উপদ ষ ট অন ষ ঠ আহ ব ন র একট

এছাড়াও পড়ুন:

নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, র‍্যাগিং করলে ব্যবস্থা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। আজ রোববার বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে পরিচিতি (ওরিয়েন্টেশন) ক্লাসের মধ্য দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।

নবীনদের বরণ করতে রঙিন আলপনা, ফুল ও সৃজনশীল সাজসজ্জায় বিভাগগুলো বর্ণিল করে তোলা হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল, কলম, কারিকুলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী। পরিচিতি ক্লাসে শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলার পরামর্শ দেন। এদিকে নবীনদের র‍্যাগিং করলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর মতিহারের সবুজ চত্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বর, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ইবলিশ চত্বর, টুকিটাকি চত্বর ও আমতলায় নতুন–পুরোনো শিক্ষার্থীদের আড্ডা বসেছে। হাতে ফুল নিয়ে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে। প্যারিস রোডসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা ও স্থাপনার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন তাঁরা। নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক অভিভাবকও এসেছেন।

পরিচিতি ক্লাস শেষে মমতাজউদ্দিন একাডেমিক ভবনের সামনে কথা হয় অর্থনীতি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মোছা. তাসনিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এত সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের বরণ করে নেবে, সত্যি ভাবিনি। ক্লাসের নতুন বন্ধু ও সিনিয়র ভাইয়েরা সবাই আন্তরিক। মনে হচ্ছে, আমি আজ এক নতুন পরিবার পেয়েছি।’

নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল, কলম, কারিকুলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী। পরিচিতি ক্লাসে শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলার পরামর্শ দেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ