রাকসু নির্বাচন পেছানোর প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
Published: 23rd, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ পেছানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় সংবাদ সম্মেলন শেষে রাকসু কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে জোহা চত্বরে মিলিত হন তারা।
আরো পড়ুন:
রাবিতে বহাল থাকছে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন
রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনে ইবির জিয়া পরিষদের সংহতি
এর আগে রাত ৯টায় রাকসু নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে রাকসু কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। তারা অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট একটি দলকে সুযোগ দিতেই বারবার রাকসু নির্বাচন পেছাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বিক্ষোভ শেষে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনের এমন একতরফা সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। একটি দলকে সুযোগ দিতেই বারবার এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচনের যে তারিখ তারা দিয়েছেন, সেটি যে পরিবর্তন হবে না, তাতেও সন্দেহ আছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের এমন একচেটিয়া সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এর আগেও দফায় দফায় রাকসু নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করেছেন তারা। ছাত্রদলকে সুবিধা দিতে এর আগেও মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। আজকেও ছাত্রদলের অবস্থান দেখে তারা রাকসু নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করেছেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড.
বিক্ষোভ মিছিলে রাবি শাখা ছাত্রশিবির ও বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতাকর্মী মিলে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ঢাকা/ফাহিম/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রায় ঘোষণার পর জুলাই যোদ্ধাদের উচ্ছ্বাস
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সেই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায় ঘোষণার পরপরই হাইকোর্টের সামনে অপেক্ষারত জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিভিন্ন স্লোগানে তারা রায়কে স্বাগত জানান।
এদিকে, রায় ঘোষণার পরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।
ঢাকা/রাজীব