দেশকে বিপর্যয়ে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ইসমাইল জবিউল্লাহ
Published: 23rd, September 2025 GMT
জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনের নামে নির্বাচন নস্যাৎ, গণতন্ত্র ব্যাহত ও দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীপুর সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, এই সুযোগে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে এসে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। অহেতুক আন্দোলনের নামে বিভাজন ও উত্তেজনা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।
জামায়াতে ইসলামী আস্থাহীন দল, উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় জামায়াত একবারও জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির কথা বলেনি। তারা শুধু উচ্চকক্ষের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতির কথা বলেছে। কাজেই এই আন্দোলনের পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে।
তিনি বলেন, প্রশ্ন হলো—হঠাৎ করে কেন পিআর পদ্ধতি নিয়ে মাঠে নামছেন? আমরা যখন সবাই মিলে ঐকমত্য কমিশনে বসে এখনো কথা বলছি, এখনো যখন আলোচনা হচ্ছে, সেই আলোচনার টেবিল বাদ দিয়ে বাইরে আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা জনগণ কখনো মেনে নেবে না। এ ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরো বলেন, পিআর পদ্ধতি ইতোমধ্যে পঁচে গেছে। আপনি কাকে ভোট দেবেন, আপনি সেটাই জানেন না। আপনি ভোট দেবেন লক্ষ্মীপুরে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে। কেন দেবেন, কারণ তাকে আপনি চেনেন। শুধু ধানের শীষ নিয়ে কথা না, ওই ব্যক্তিটাকেও আপনি চেনেন, তার ভালো-মন্দ জানেন, বিপদে-আপদে তার কাছে যাবেন, সে আপনার এমপি। আপনি বলতে পারবেন, লক্ষ্মীপুরের এমপিকে আপনি চেনেন। পিআর পদ্ধতিতে আপনি লক্ষ্মীপুর থেকে উনাকে না দিয়ে পঞ্চগড়ে ভোট দিয়ে দিতে পারে, আপনি জানবেন না। এই কথাগুলো উনারা বোঝেন না, এটা ঠিক নয়। আমি মনে করি, এরা জ্ঞানপাপী, বুঝেও না বোঝার ভান করছেন উনারা।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া।
সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ এমরান ও সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান হারুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি প্রমুখ।
ঢাকা/লিটন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ দ ন চ ধ র লক ষ ম প র ব এনপ র চ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ ও নোট অব ডিসেন্টের রাজনীতি
অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থার এক বছরের বেশি হয়ে গেল। এর মধ্যে আমরা অনেক কমিশন দেখলাম, দেখলাম তাদের নানা সুপারিশ। রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে অধরা ঐক্য গড়তে গঠিত হলো ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য কমিশনও সরকারের কাছে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করল।
সংস্কারের কতটা বাস্তবায়িত হলো বা অধরা ঐক্য কতটা অর্জিত হলো, সে এক প্রশ্ন। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার দিকে তাকালে প্রত্যাশিত ঐক্য তৈরি না হলেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার মতো একটি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেটি বলা যায়। যদিও আমরা জানি, ভিন্নমত থাকবেই আর মতভিন্নতার মধ্য দিয়েই ঐক্য তৈরি হবে।
কিন্তু যদি ঐক্য গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া অপ্রত্যাশিতভাবে দীর্ঘ হয়, তাহলে সেটি জনগণের জন্য সুখকর নয়। বিশেষত বাংলাদেশ যখন জুলাই–পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যখন মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল, এই দেশকে নতুন করে ঢেলে সাজাবে, তেমনই একটি বাস্তবতায় আমরা যদি আরও বিভাজিত হয়ে পড়ি, তার চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট ও নির্বাচন নিয়ে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোয় ও জনমনে একধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে, যার দ্রুত সমাধান বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য জরুরি। কেননা, বাংলাদেশ এখন এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক সেই সময়ে জুলাই সনদ আমাদের সুশাসন ও সংস্কারের স্বপ্ন যেমন দেখিয়েছে, তেমনি আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিকায়ন ও কার্যকর হয়ে ওঠার একটি ব্লুপ্রিন্ট হিসেবে আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়েছে।
আরও পড়ুনমৌলিক সংস্কারে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রাখলে জুলাই সনদ হবে মূল্যহীন০৩ নভেম্বর ২০২৫জুলাই সনদকে আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি দলিল হিসেবে দেখলেও এটি যে শুধু রাজনৈতিক দল কিংবা তার নেতৃত্বকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার একটি দলিলে পরিণত হয়েছে, সেটিও দেশের মানুষ বুঝতে পারছে বৈকি। এর সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।
এই আলাপ-আলোচনা যেমন রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে, সিদ্ধান্তগুলোও তেমনি রুদ্ধদ্বার প্রক্রিয়ায়ই হয়েছে, যেখানে জনগণের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ তো নেই, বরং তাদের সঙ্গে খুব একটা কনসালটেশন বা পরামর্শমূলক সভা করা হয়নি। অন্যদিকে সাংবিধানিক চর্চা সব সময়ই জনগণকে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে একটি সংসদীয় ব্যবস্থায় তর্কবিতর্কের মধ্য দিয়ে পরোক্ষ হলেও নীতি ও অন্যান্য বিষয়ে অংশগ্রহণের একধরনের সুযোগ তৈরি করে দেয়, যা জুলাই সনদ তৈরির পেছনে দেখতে পাইনি।
বরং এই সনদ প্রণয়নে প্রথাগত এলিট গোষ্ঠীর কাছে খুবই জনপ্রিয় ‘ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া’ দৃষ্টিভঙ্গির বহুল ব্যবহার আমরা দেখতে পাই, যা একটি গণবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ার মধ্যে খেটে খাওয়া মানুষের অংশগ্রহণ থাকে না এবং তাদের অংশগ্রহণের কথা বিবেচনাও করা হয় না। বরং এর মধ্য দিয়ে শাসক ও শাসিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমাগত দূরত্ব সৃষ্টি হয়, যা আমাদের বর্তমান পটভূমিতে ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য শঙ্কার বিষয়।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দলাদলি, নেপোটিজম, পারিবারিক প্রাধান্য, রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত আমলাতন্ত্র ও প্যাট্রন-ক্লায়েন্ট সম্পর্কের যে বহুল চর্চা, তেমন বাস্তবতায় রাজনৈতিক শুদ্ধাচার বা শিষ্টাচার কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে, সেটি এক বিরাট প্রশ্ন, যার উত্তর জুলাই সনদে নেই।এটি জুলাই সনদের অন্যতম সীমাবদ্ধতা হলেও দেশের মানুষ জাতীয় স্বার্থে এ বিষয় নিয়ে তাদের শঙ্কা সেভাবে প্রকাশ করেনি বা একে একটি সংকট হিসেবেও দেখেনি। কারণ, দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিল যে এই পুরো প্রক্রিয়ার শেষে আমরা একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব, যার মধ্য দিয়ে আমরা ধীরে ধীরে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ফিরে আসতে পারব।
আমরা যদি জুলাই সনদের দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাব এর বিষয়বস্তু আদর্শগত জায়গা থেকে খুবই চমৎকার এবং দেশের সুশাসনের জন্য তা তাত্ত্বিকভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কিন্তু এই বিষয়গুলো, যে ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বাস্তবায়নযোগ্য, সেটি বাংলাদেশের রয়েছে কি না, সেগুলো আমাদের বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দলাদলি, নেপোটিজম, পারিবারিক প্রাধান্য, রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত আমলাতন্ত্র ও প্যাট্রন-ক্লায়েন্ট সম্পর্কের যে বহুল চর্চা, তেমন বাস্তবতায় রাজনৈতিক শুদ্ধাচার বা শিষ্টাচার কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে, সেটি এক বিরাট প্রশ্ন, যার উত্তর জুলাই সনদে নেই। এর সঙ্গে এটিও মাথায় রাখতে হবে, বিগত সময়ে যে শোষণমূলক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলেছি, সেটি গড়ে উঠতে যেমন একটা লম্বা সময় লেগেছে, তা থেকে বের হয়ে আসার জন্যও একটি দীর্ঘমেয়াদি পথনকশা বা কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুনজুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন০২ নভেম্বর ২০২৫জুলাই সনদকে তেমনই একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে রাতারাতি বদলের কোনো সুযোগ নেই। এখানে যেমন স্বল্পমেয়াদি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করার জন্য কিছু টার্গেট থাকবে এবং কিছু বিষয় থাকবে, যেগুলো আমরা সংসদীয় একটি ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের তর্কবিতর্কের মধ্য দিয়ে অর্জন করব। এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জনগণও অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার অংশীদারত্ব অনুভব করবে।
তাই সংস্কার বিষয়ে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ আসতে পারে সেই বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে, যা জুলাই সনদে এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। বিএনপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বা আপত্তির মধ্য দিয়ে তারা যে ভিন্নমতের জায়গাগুলো তৈরি করেছে, সেই ভিন্নমতের মীমাংসার প্রক্রিয়া হতে পারে পরবর্তী সংসদীয় ব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে।
সেদিক বিবেচনায় রাজনৈতিক দলগুলো যতটুকু ঐকমত্যে পৌঁছেছে, আমরা যদি সেটিকে ইতিবাচক একটি সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করি, তাহলে অন্তত এতটুকু দাবি করতে পারব যে আমরা বিচ্ছিন্নভাবে সব সিদ্ধান্ত এককভাবে নিইনি, বরং অনেক মৌলিক বিষয় জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সংসদীয় একটি ব্যবস্থায় নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। যে প্রক্রিয়া আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও অংশীদারত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে, যা জুলাই সনদের জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর বাস্তবায়নের সাফল্য নিয়ে আসবে এবং লম্বা সময় টিকে থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুনজুলাই সনদ নিয়ে জট খুলুন, সময় কিন্তু চলে যাচ্ছে০১ নভেম্বর ২০২৫এমনিতেই জুলাই সনদের বেশ কিছু ব্লাইন্ড স্পট রয়েছে, যেগুলোকে বিশেষজ্ঞরা তাঁদের বিশ্লেষণে নিয়ে এসেছেন। যেমন জুলাই সনদ কীভাবে আমাদের আর্থসামাজিক, শিক্ষা খাতসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে এবং সেসব খাতের উন্নয়নের রূপরেখাবিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি। যদিও কিছু কমিশন গঠিত হয়েছিল, কিন্তু সেই কমিশনের সুপারিশমালা জুলাই সনদে কতটা স্থান পেয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
সেই অর্থে জুলাই সনদ শুধু কিছু রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক বিষয় সামনে রেখে গঠিত হয়েছে। তবে যে বিষয়গুলো স্থান পায়নি, সেগুলোকে রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত সরকারের মধ্য দিয়ে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মীমাংসা করার একটা সুযোগ রয়েছে, যাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখতে পারি।
তাই আপত্তি থাকা মানেই স্রোতের বিপরীতে হাঁটা এবং রাজনৈতিক ঐক্য না চাওয়া নয়। আপত্তি না থাকা মানে একটি এলিট ব্যবস্থার একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রবণতাকে নির্দেশ করে। সেদিক দিয়ে দেখলে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ কেবল বিএনপিকে নয়, বরং জনগণকে একটি শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে, যা দেশের জনগণের জন্য শাসকগোষ্ঠীর সিদ্ধান্তকে প্রশ্ন করার সুযোগ তৈরি করে, পরবর্তীকালে যার মুখোমুখি বিএনপিও ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলও হতে পারে। তাই জনবান্ধব একটি ব্যবস্থা গড়ে উঠুক, যেখানে জনগণ তার বয়ানকে যেন রাজনৈতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে পারে এবং তা যেন প্রাধান্য পায়। জনগণকে উপেক্ষা ও শোষণমূলক ব্যবস্থায় বসবাসে বাধ্য করলে কী হতে পারে, সেটি আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেখেছি।
বুলবুল সিদ্দিকী অধ্যাপক, রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত লেখকের নিজস্ব