বগুড়া জজ আদালতের হাজতখানা থেকে রফিকুল ইসলাম নামের এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদেরকে আদালত থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। রফিকুল ইসলাম জোড়া খুন ও ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে, তারা হলেন—আদালত হাজতখানার ইনচার্জ সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) গোলাম কিবরিয়া, আতাহার আলী, আব্দুর রাজ্জাক এবং কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন, দুলাল মিয়া ও জাকির হাসান।

আসামি পলায়নের ঘটনায় আদালতের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে পলাতক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন।

গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়া জেলা জজ আদালতের হাজতখানায় আসামি গণনা শেষে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। ওই সময় ভিড়ের মধ্যে আসামি রফিকুল ইসলাম পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান।

ঢাকা/এনাম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় চার মাজারে হামলার তিন দিন পর গ্রেপ্তার ২

কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার আসাদপুর বাজার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন আসাদপুর–নয়াপাড়া গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে ইব্রাহীম খলিল (২৪) ও আসাদপুর গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে শহীদ উল্লাহ (৩৩)। আসাদপুরে ওই দুজনের দোকান আছে।

এ বিষয়ে হোমনার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে পৃথক চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই দিন রাতে হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হলেও তাঁদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

যে চারটি মাজারে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো হলো আসাদপুর গ্রামের আলেক শাহের বাড়িতে অবস্থিত তাঁর বাবা কফিল উদ্দিন শাহের মাজার, একই গ্রামের আবদু শাহের মাজার, কালাই (কানু) শাহের মাজার ও হাওয়ালি শাহের মাজার। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কফিল উদ্দিনের ছেলে আলেক শাহের নাতি মহসিনের বিরুদ্ধে গত বুধবার সকালে ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মহসিনকে গ্রেপ্তার করে গত বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর ওই দিন সকালে প্রথমে মহসিনের বাড়িতে হামলা করে কফিল উদ্দিন শাহের মাজার ভাঙচুর করা হয়। এ সময় একটি টিনশেড ও দুটি টিনের বসতঘরে ভাঙচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে অন্য তিনটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটে।

হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত মহসিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার কুমিল্লার আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরকীয়া ও ছিনতাইয়ের জালে প্রাণ গেল সায়েদুরের
  • কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলার ঘটনায় আরও দুজন গ্রেপ্তার
  • ঢাকার বংশালে বৃষ্টির জমা পানিতে পড়ে অচেতন, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা
  • কুমিল্লায় চার মাজারে হামলার তিন দিন পর গ্রেপ্তার ২
  • বৈষম্যবিরোধী মামলায় কুবি কর্মচারী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
  • মায়ের কোলে ১১ দিনের নবজাতক, প্রিজন ভ্যানে চেপে কারাগারে
  • গোপালগঞ্জে দু শিক্ষার্থী ছিনতাইয়ের কবলে: ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার