জুবিনকে নিয়ে যা লিখলেন প্রিন্স মাহমুদ
Published: 24th, September 2025 GMT
‘যে প্রেমেতে স্বপ্ন দেখে মন, রাত জাগে দু নয়ন, চিতার আগুনে দেখি সে প্রেম আজ জ্বলছে এখন’- গানটি ভারতীয় জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী জুবিন গার্গের গাওয়া। গানের কথার মতোই চিতার আগুনে জ্বলে ছাই হয়ে গেছেন জুবিন। মৃত্যুর পাঁচ দিন পরে শেষকৃত্য হয়েছে তার। শেষ যাত্রায় আসামের মানুষ জুবিনকে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তা নজির গড়েছে। বিশ্বের চতুর্থ গণ জমায়েতের রেকর্ড গড়েছে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ ২৪ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছেন ‘‘বড় ভাই জুবিনের শেষকৃত্যে জন-সুনামি, লাখ মানুষের ঢল। আর এর পোস্ট দেখিয়া এতক্ষণে বিষাদে অনুধাবন করিলেন জুবিন মহান শিল্পী ছিল.
আরো পড়ুন:
জেলের স্মৃতি শেয়ার করলেন রিয়া চক্রবর্তী
এবার ধারাবাহিক নাটকে যুক্ত হলেন সুনেরাহ
প্রিন্স মাহমুদের ওই পোস্টের কমেন্টে আখতারুজ্জামান নামের একজন লিখেছেন, ‘‘মঞ্চ কাঁপানো মহৎ এই শিল্পী সবাইকে কাঁদিয়ে সমুদ্রে হারিয়ে গেলেন। অনেকেই হয়তো তাকে ইয়া আলী কিংবা দেবের সিনেমার গানে চিনে। কিন্তু মুলধারার শ্রোতারা তাকে বহুকাল ধরে চিনে। প্রতিমা পাণ্ডে বড়ুয়ার গান তার গলায় শুনে ফ্যান হয়ছি।’’
চন্দ্র শেখর নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘‘ভাইয়া আসল ব্যাপারটা হচ্ছে,একজন শিল্পী ঠিক কতটা ভালো মানুষ তার ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল তার শিল্পকর্ম। পৃথিবীতে মানুষ আছে ৮শ কোটি। এর মধ্যে ৮ কোটি গায়কও নেই। ধরলাম ২ কোটি আছে। এই ২ কোটি শিল্পীই আসলে ৮শ কোটি মানুষের হৃদয়ের প্রতিরূপ। সেই জন্য শিল্পীদের বরাবর সমস্ত বিষয়ে ভীষণ নিরপেক্ষ থাকতে হয়।কা রণ তারা মানুষের মনের প্রতিনিধিত্ব করে। সেই জন্য যে যত ভালো শিল্পী সে অবশ্যই তত ভালো মানুষ, হয়তো জুবিনদার ক্ষেত্রেও সেরকম। ধন্যবাদ।''
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাতের পর সকালেও একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে পাঁচ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলা সীমান্তের চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরেক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত শ্রমিকের নাম মোহাম্মদ হারুন ওরফে হারেজ (২৯)। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ছৈয়দাবাদ পর্দার ডেবা এলাকার নুরুল ইসলাম ছেলে। এর আগে গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেকজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দুর্ঘটনাটিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত বুধবার ভোরে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামটিতে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুনে পুরো গুদাম পুড়ে যায়। দগ্ধ হন ১০ জন। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ওই দিনই অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় চারজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে বাকি ছয়জনকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
মোহাম্মদ হারুনের মৃত্যুর বিষয়টি চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সোলাইমান ফারুকী নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাটির পর প্রথমে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে। পরে নিয়ে যাওয়া ছয়জনের মধ্যে একজন আজ মারা গেছেন। বাকি পাঁচজন সেখানে চিকিৎসাধীন, তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।