নোবেল পেতে চাইলে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করুন, ট্রাম্পকে মাখোঁ
Published: 24th, September 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, যদি সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে চান, তবে গাজায় চলমান যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করুন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল বিএফএম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইসরায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করে যুদ্ধ শেষ করার ক্ষমতা রয়েছে শুধু ট্রাম্পের হাতে।” খবর রয়টার্সের।
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক অবস্থানরত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, “এটি করতে পারে একমাত্র একজন এবং সেটি হল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। আমাদের ক্ষমতা নেই, কারণ আমরা গাজায় যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করি না। তবে যুক্তরাষ্ট্র তা করে।”
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে ট্রাম্প জানান, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগকে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করছে। তার দাবি, এটি হামাসকে পুরস্কৃত করার শামিল হবে। আবার একইসাথে যুদ্ধ বন্ধের কথাও বলেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, “আমাদের গাজার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে শান্তি আলোচনায় এগোতে হবে।”
মাখোঁ ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে বলেন, “আমি একজন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে দেখি, যিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত আছেন এবং বলেন, ‘আমি শান্তি চাই। আমি সাতটি সংঘাত সমাধান করেছি’, তিনি আবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতেও ইচ্ছুক। এই পুরস্কার সম্ভব হতে পারে যদি আপনি এই সংঘাত বন্ধ করেন।”
এদিকে, হোয়াইট হাউস মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির জন্য যেটুকু করেছেন, তা জাতিসংঘে উপস্থিত সকলের তুলনায় বেশি।”
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশ করার কথা জানায় কাম্বোডিয়া, ইসরায়েল এবং পাকিস্তানসহ কিছু দেশ।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র র প র স ড ন ট প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রসূনের কাছে পরীমণির দুঃখ প্রকাশ
জন্মদিন উপলক্ষে টানা উৎসবের মেজাজে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। মালয়েশিয়া সফর শেষে ঢাকায় ফিরেই রাজধানীর পল্লবীতে সাংবাদিক ও সহকর্মীদের জন্য পার্টির আয়োজন করেন পরীমণি। দাওয়াত পেয়ে পার্টিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানান লাক্স তারকা অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ।
গতকাল থেকে বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা চললেও নীরব ছিলেন পরীমণি। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন আলোচিত এই নায়িকা। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরীমণি।
আরো পড়ুন:
পরীমণির পার্টিতে গিয়ে প্রসূনের ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতা
প্রশ্ন করবেন না, সব বলে দেব: পরীমণি
লেখার শুরুতে পরীমণি বলেন, “প্রিয় প্রসূন আজাদ, আপনি আমাকে নিয়ে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন যে, ‘আমি আমার লোক দেখানো পার্টিতে আপনাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে অপমান করেছি!’ আপনি এ-ও বলেছেন, ‘আমি আমার নাম রৌশন করতে টাকা দিয়ে কতগুলো সান্ডা সান্ডা পান্ডা লোক রাখি, তারা অনুষ্ঠানে আসা গেস্টদের জিজ্ঞেস করেন যে, তারা কারা!’
প্রসূনের কাছে প্রশ্ন রেখে পরীমণি বলেন, “আচ্ছা আপু, সত্যিই কি তোমার মনে হয় আমি তোমাকে ছোট ফিল করানোর জন্য তোমাকে আমার একটা স্পেশাল ইভেন্টে ইনভাইট করব? কখনোই না বোন। তুমি নিজেও জানো আমি তোমাকে কতখানি পছন্দ করি। আমাদের কখনো দেখা হয়নি। তোমার একটা টিভি ইন্টারভিউ দেখে মুগ্ধ হয়ে আমি সাংবাদিক ইমু ভাইয়ের কাছ থেকে তোমার ফোন নাম্বার নিয়ে তোমাকে কল করেছিলাম। সেদিন কত কথা হলো আমাদের! তোমার মনে আছে, আমি তোমাকে প্রথম কী বলেছিলাম!”
“বলেছিলাম, তুমি একজন পিওর সোল। সত্যিকারের একজন খাঁটি মানুষ তুমি। তোমার বাচ্চাদের নিয়ে তোমার এই জার্নি সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করে। তুমি একটা ইন্সপারেশন। তোমার খারাপ লেগেছে তুমি আমাকে একটা টেক্সট তো করতে পারতা আপু!” বলেন পরীমণি।
অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যাপারে পরীমণি বলেন, “যাইহোক, আমার ওই অনুষ্ঠানে আমার হায়ার করা কোনো মানুষ ছিল না; যারা ছিলেন তারা ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট থেকে ছিলেন। তারা কাউকে অপমান বা অসম্মান করার জন্য অ্যাপয়েন ছিলেন না। তারা আমি এবং আমার সমস্ত গেস্টদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতেই গেটে ছিলেন। ভাবুন তো, ওনারা গেটে এই সিকিউরিটি না দিলে ওই জায়গায় কী জনসাধারণের ভীড় ঠেকানো যেত? না কি এত সুন্দর শৃঙ্খল পরিবেশে পুরো অনুষ্ঠানটা শেষ করতে পারতাম! তারা কেবল তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।”
দুঃখ প্রকাশ করে পরীমণি বলেন, “আপনি নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন, যারা ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তারা সবাই নিজ নিজ অবস্থানে কত বড় মানুষ। তারা কিন্তু কেউ ছোট ফিল করেননি। আপনি জানেন না হয়তো তাহলে, এই দেশের প্রচুর মানুষ এখনো আমার নাম জিজ্ঞেস করেন। এই তো সেদিন সিজেএফবির অনুষ্ঠানে আমাকে ইউরোর চেয়ারম্যান বললেন কি নাম তোমার? আমি তাতে মোটেও অবাক হইনি। বরং আমার ভালো লাগে আমার নাম বলতে। আমি পরীমণি। আমি খুবই দুঃখিত আপনার কাছে।”
ঢাকা/শান্ত