খুলনার সিটি বাইপাসে ইটের সোলিংয়ে জোড়াতালি, খানা-খন্দে মরণফাঁদ!
Published: 25th, September 2025 GMT
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার সামনে থেকে জয়বাংলা মোড় পর্যন্ত সড়কটি খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের অধীনে। এর মধ্যে ময়ূরী সেতুর পূর্বপাশের মালিক কেসিসি। পশ্চিম অংশের দেখভালের দায়িত্ব এলজিইডির। সড়কটি মহানগরীর অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার হওয়া সত্ত্বেও বেহাল দশা লাঘবে উদাসীন কর্তৃপক্ষ। ২ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক দিয়ে ১৮ জেলার পরিবহন নগরে যাতায়াত করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেসিসির নিয়ন্ত্রণে থাকা ৮০০ মিটার রাস্তা নির্মাণে সম্প্রতি দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ শুরু হলেও মাঝ পথে তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। বর্ষায় খানাখন্দে চলাচল অযোগ্য রাস্তাটিতে ইটের সোলিং দিয়ে আপাতত জনভোগান্তি লাঘবের চেষ্টা করছে কেসিসি।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে আধাবেলা সড়ক অবরোধ
সড়ক দুর্ঘটনার কবলে বিএনপি নেতা ফারুকের গাড়ি
এদিকে, এলজিইডির নিয়ন্ত্রাধীন অংশটি পুরোপুরি বেহাল। সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই সেখানে। মাত্র আড়াই বছর আগে পুননির্মাণ করা হলেও বর্তমানে নাজুক অবস্থা রাস্তাটির। সম্প্রতি এ অংশটুকু সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দিয়েছে এলজিইডি। তবে, কবে বরাদ্দ পাওয়া যাবে সে বিষয়ে সুনিদিষ্ট তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সোনাডাঙ্গা থানার সামনে থেকে ময়ূর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কে সম্প্রতি ইটের সোলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে অর্ধেক রাস্তায় ইট বিছানো শেষ হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগে রাস্তাটি সংস্কার না করায় বড় বড় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
এলজিইডি অংশের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। রাস্তার পাথর উঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তগুলোতে পানি জমে আটকে যাচ্ছে গাড়ি, ঘটছে দুর্ঘটনা। অংশটি রীতিমত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে সড়কটিতে পরিবহন চলাচল নেমে এসেছে অর্ধেকে।
পরিবহন চালকরা জানান, এই সড়কটির বর্তমান বেহাল অবস্থায় আন্তঃজেলা পরিবহন সেবায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এবং বাস ও ট্রাক উল্টে যাত্রীদের প্রাণহানি ও আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা বাড়ছে।
খুলনার সঙ্গে বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং শহর সম্প্রসারণে ২০১৩ সালের জুনে বাইপাস সড়কটি নির্মাণ করে কেডিএ। প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হয় ২০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে কেডিএ সড়কটির ৭৮০ মিটার অংশ খুলনা সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করে। অন্য অংশ এলজিইডিকে বুঝিয়ে দেয়।
কেসিসি সূত্রে জানা যায়, সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পাশ থেকে ময়ূর ব্রিজ পর্যন্ত ৭৮০ মিটার সড়কটি ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে চারলেনে উন্নীত করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সড়কের দুইপাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে ড্রেন নির্মাণসহ হাইওয়ে স্টান্ডার্ডে এটি তৈরির কথা বলা হয়েছে। ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও জমি সংক্রান্ত জটিলতায় টেন্ডার আহ্বান করতে পারছে না কেসিসি।
কেডিএ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯-২০১০ সালে রাস্তার জন্য ৬০ ফিট জমি অধিগ্রহণ করে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। ৭৮০ মিটার রাস্তার একটি অংশে দুটি মৌজার (দেনারাবাদ ও বানিয়াখামার) সীমানা বিদ্যমান। ফলে পূর্বের ম্যাপ অনুযায়ী জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া জমি অধিগ্রহণ করে নির্ধারণ করা বেশিরভাগ সীমানা পিলারের অস্তিত্ব নেই। অধিগ্রহণ করা জমির অনেক জায়গায় বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বাবু বলেন, “সংস্কারের অভাবে সড়কটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও পরিবহন চালকদের। কিছুদিন আগে দেখলাম কেডিএ অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করছে। তারপর আর খবর নেই। যা উদ্ধার করেছিল তা আবার দখল হয়েছে। সম্প্রতি কেসিসি কিছু অংশে ইটের সোলিং করেছে।”
ময়ূর আবাসিকের সামনের এক চা দোকানি বলেন, “ময়ূর ব্রিজ থেকে জয়বাংলা মোড় পর্যন্ত রাস্তার যে অবস্থা, সম্ভবত এমন রাস্তা খুলনার কোথাও নেই। যখন রাস্তা ভালো ছিল ময়ূর আবাসিকে লোকজন ঘুরতে আসতো। এখন কেউ আসেন না বললেই চলে।”
কেসিসির জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নগর উন্নয়ন প্রকল্পের (ক্লাইমেট চেঞ্জ এ্যাডাপটেশন আরবান ডেভলপমেন্ট) পরিচালক ও চিফ প্লানিং অফিসার আবির-উল-জব্বার বলেন বলেন, “কেডিএ রাস্তায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ না করলে আমরা দরপত্র আহ্বান করতে পারছি না। তারা রাস্তা বুঝিয়ে দিলে আমরা কাজ শুরু করতে পারবো। জনদুর্ভোগ লাঘবে আপাতত ইটের সোলিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।”
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মারতোজা আল মামুন বলেন, “কয়েকমাস আগে কেডিএর তত্ত্বাবধানে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিছু অংশে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা এখনো আছে। সেটা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, “ইতোমধ্যে রাস্তাটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। তারপর সংস্কার কাজ শুরু করতে পারব।”
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, “খুলনার প্রতিটি প্রবেশ দ্বারের বেহাল দশা। ফলে জনদূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আমরা বারবার সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তাগাদা দিচ্ছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উদাসীন।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন গ রহণ কর ইট র স ল প রকল প পর বহন বর দ দ ব যবস অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতাল-স্কুলে যাওয়ার সড়কটি এমন বেহাল
কোথাও গর্ত, কোথাও ইটের জোড়াতালি। গাড়ি চলে হেলেদুলে। কিছু স্থানে পিচঢালাই, ইট-সুরকির অস্তিত্বই নেই। সড়কজুড়ে ধুলার অত্যাচার। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত হাজারো রোগী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দার।
এমন বেহাল অবস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) আবাসন প্রকল্প অনন্যা আবাসিক এলাকায় অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের। ১০ বছর আগে সড়ক নির্মাণ হলেও বুঝে না পাওয়ায় সংস্কারকাজ করতে পারছে না সিটি করপোরেশন।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে নগরের চান্দগাঁও ও কুয়াইশের ১৬৯ একর জায়গার ওপর ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে অনন্যা আবাসিক প্রকল্প নেওয়া হয়। গত ১০ বছরে সেখানে আশপাশে একটি বেসরকারি হাসপাতাল, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলসহ ১০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। কিন্তু যাতায়াতের একমাত্র সড়কটির বেহাল অবস্থার জন্য আশপাশের প্রায় ১ লাখ মানুষ ভোগান্তিতে আছেন। সিডিএর পক্ষ থেকে সড়কে কেবল ইট-সুরকি দিয়ে ‘জোড়াতালি’ দেওয়া হয়।
অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কটি উত্তরের হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার সঙ্গে নগরের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। আবার পার্বত্য রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার বাসিন্দারাও যাতায়াতে এই সড়ক ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলে ব্যবহৃত গণপরিবহনগুলো এই সড়কেই চলে। ভাঙা সড়ক, ধুলা ও ভোগান্তির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
এখানে হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ সব আছে। তবু নজর নেই। শুনেছি সিটি করপোরেশন এই এলাকা এখনো বুঝে পায়নি। সড়ক সংস্কারের দায়িত্ব তাহলে সিডিএর। কিন্তু তারা এখানে বড় কোনো সংস্কার করেনি। হাসপাতালের রোগীদের যেতে হয় ঝুঁকি নিয়ে।—আরিফুর রহমান, স্থানীয় বাসিন্দা।স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, ‘নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হওয়া সত্ত্বেও সড়কের এমন দশা। এখানে হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ সব আছে। তবু নজর নেই। শুনেছি সিটি করপোরেশন এই এলাকা এখনো বুঝে পায়নি। সড়ক সংস্কারের দায়িত্ব তাহলে সিডিএর। কিন্তু তারা এখানে বড় কোনো সংস্কার করেনি। হাসপাতালের রোগীদের যেতে হয় ঝুঁকি নিয়ে।’
শিক্ষার্থী ও রোগীদের ভোগান্তি বেশিগতকাল রোববার সরেজমিনে সড়ক বেহাল দেখা গেছে। প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ। সবচেয়ে বেশি নাজুক অনন্যা আবাসিক এলাকা অংশে। এ ছাড়া অক্সিজেন অংশে অক্সিজেন কাঁচাবাজার, কয়লার ঘর এবং কুয়াইশ অংশে জাহাঙ্গীর আবাসিকের সামনের সড়ক ভাঙা। হালকা বৃষ্টি হলেই এ সড়ক কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়।
অক্সিজেন মোড় থেকে কুয়াইশমুখী সড়কে অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কিন্ডারগার্টেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা রয়েছে। এ ছাড়া কুয়াইশ মোড়ে কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ সিটি করপোরেশন কলেজ অবস্থিত। প্রতিদিন এসব প্রতিষ্ঠানের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী চলাচল করে এই সড়ক ধরেই।সড়কটির মাঝামাঝিতে অনন্যা আবাসিক এলাকা। আবাসিকের শুরুতেই বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতাল। এখানে প্রতিদিন অন্তত ৫০০ রোগী সেবা নেন। হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারিসহ জটিল অস্ত্রোপচারের রোগীরা ভর্তি হন। তাঁদের হাসপাতালে আনা-নেওয়ার সময় স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় বলে জানিয়েছেন রোগীর স্বজনেরা।
গৃহিণী উম্মে সালমা চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি তাঁর শ্বশুরের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। চেকআপের জন্য কয়েক দিন পরপর হাসপাতালে আনতে হয়। কিন্তু সড়কের এমন অবস্থার কারণে ঝুঁকিতে থাকতে হয়। আনা-নেওয়া করার সময় ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। পাশাপাশি ধুলাবালুর কারণে সড়কে চলা দায় হয়ে পড়েছে।
অক্সিজেন মোড় থেকে কুয়াইশমুখী সড়কে অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কিন্ডারগার্টেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা রয়েছে। এ ছাড়া কুয়াইশ মোড়ে কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ সিটি করপোরেশন কলেজ অবস্থিত। প্রতিদিন এসব প্রতিষ্ঠানের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী চলাচল করে এই সড়ক ধরেই।
কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ সিটি করপোরেশন কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাহফুজ বলেন, অক্সিজেন থেকে তিন চাকার ম্যাক্সিমা করেই এ সড়ক ধরেই কলেজে যেতে হয়। ভাঙা রাস্তার কারণে প্রায়ই হেলেদুলে চলে এসব যান। পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবু উপায় না থাকায় যেতে হয়।
নামমাত্র সংস্কার সিডিএরঅনন্যা আবাসিক এলাকাটি সিডিএর প্রকল্প। প্রকল্পে মোট প্লট ১ হাজার ৭২৫টি। এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার প্লট বরাদ্দ হয়েছে। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় লটারির মাধ্যমে ১ হাজার ৪৬০টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বাকি ২৬৫টি প্লটের মধ্যে ১৫২টি বরাদ্দ দেওয়া হয় লটারি বা কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই।
প্লট বরাদ্দ হলেও অনন্যা আবাসিকে এখনো বসতি গড়ে ওঠেনি সেভাবে। এর অন্যতম কারণ নাজুক যাতায়াতব্যবস্থা। নগরে সড়ক সংস্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তবে অনন্যা আবাসিক এলাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। কারণ, সিডিএর পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশনকে এখনো সড়ক বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, সিডিএর পক্ষ থেকে সড়ক বুঝে না পাওয়ায় সেখানে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবাসিকের প্রবেশের মুখে বামনশালী খালের ওপর সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। সেখানেও সড়কের পিচঢালাই নেই। সিডিএ থেকে সড়ক বুঝে পেলে কাজ করা যাবে। সিডিএর কর্মকর্তারা বলছেন, সংস্কারের জন্য তেমন বরাদ্দ না থাকায় ৫-৭ বছর ধরে কোনোরকমে কাজ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ও অনন্যা আবাসিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রাজীব দাশ প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশনকে সড়ক বুঝিয়ে দিতে দুই সংস্থার সমন্বয়ে কমিটি হয়েছে। সিটি করপোরেশনকেও সড়ক বুঝে নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার পর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।