মাগুরার মহম্মদপুরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের হত্যা মামলার এক আসামির পক্ষে প্রত্যয়নপত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকেরকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা শহরের দলীয় কার্যালয়ে এক সাংগঠনিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন।

জেলা জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে এম বি বাকেরকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয় সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি সাইদ আহমেদকে। তবে এম বি বাকের এখনো জেলা জামায়াতের অন্য পদে বহাল আছেন। তিনি মাগুরা-২ আসনে দলটির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে সাইদ আহমেদ বলেন, ‘এটা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। তিনি (এম বি বাকের) অন্য সব পদে বহাল রয়েছেন। আমাকে সাময়িকভাবে ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আমার সেক্রেটারির দায়িত্বও বহাল আছে।’

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, হত্যা মামলার আসামি এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার পক্ষে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্র থেকে এম বি বাকেরকে এক মাসের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনজুলাই হত্যা মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার পক্ষে জামায়াত নেতার প্রত্যয়ন১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট মহম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে শহীদ হন সুমন শেখ (১৮) ও আহাদ আলী বিশ্বাস (১৮)। এ ঘটনায় গত ১৫ আগস্ট মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলার ১৩ নম্বর আসামি শাহাবুদ্দিন মোল্যার জামিনের জন্য জামায়াত পরিবারের সদস্য বলে প্রত্যয়নপত্র দেন এম বি বাকের। শাহাবুদ্দিন মোল্যা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, ওই প্রত্যয়নপত্র ব্যবহার করে আদালত থেকে জামিন করানোর চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এর প্রতিবাদে ১৮ সেপ্টেম্বর মহম্মদপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা এম বি বাকেরের বহিষ্কার ও শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে এম বি বাকের অবশ্য দাবি করেন, কয়েক মাস আগে চাকরির কথা বলে ওই প্রত্যয়নপত্র নেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি জানতে পারেন, যাঁর জন্য প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়েছে, তিনি জুলাই হত্যা মামলার আসামি। বিষয়টি জানার পর তিনি প্রত্যয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব চ ছ স বক ল গ মহম মদপ র র আস ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ