প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নাগরিক ঐক্যও শাপলা প্রতীক চেয়েছিল। তাদেরও দেওয়া হয়নি।

সিইসি বলেন, ‘আমরা ওদের (নাগরিক ঐক্য) তো দিইনি। নাগরিক ঐক্য, প্রথম তো তারাই চেয়েছে। কিন্তু দিইনি। কিন্তু এখন দেখি যে আপনারা (সাংবাদিক) খুব আলোচনায় আনছেন। আমাদের সিনিয়র সেক্রেটারি অলরেডি এ ব্যাপারে অনেক ব্রিফ করেছেন। আমি এ ব্যাপারে আর কোনো বক্তব্য এখন দিতে চাই না।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সেখানে শাপলা প্রতীক কাকে বরাদ্দ দেওয়া হবে বা আদৌ কাউকে দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলা—যেকোনো একটি বরাদ্দের আবেদন জানিয়েছিল দলটি। ২৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানিয়ে দেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীকতালিকায় শাপলা নেই। ফলে এনসিপির শাপলা প্রতীক পাওয়ার সুযোগ নেই। গতকাল বুধবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে শাপলা প্রতীক নেই।

এদিকে এনসিপি গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের কাছে ই–মেইলে আবেদন করে আবারও দলটির পক্ষ থেকে শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলা প্রতীক চেয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে আজ সাংবাদিকেরা সিইসির কাছে জানতে চান শাপলা প্রতীক কাকে বরাদ্দ দেওয়া হবে বা আদৌ কাউকে দেওয়া হবে কি না।

জবাবে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ওনারা (নাগরিক ঐক্য) শাপলা চেয়েছিল। দুইটা চিঠি দিয়েছে। আমার সাথে দেখাও করেছে। কিন্তু আমরা দিই নাই। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এটা দেওয়া যাবে না, আমরা এ জবাব দিয়ে দিয়েছি। পরে এনসিপি অ্যাপ্লাই (আবেদন) করেছে। তারপর বাকি এনসিপিরটা তো আপনারা জানেনই, এটা নিয়ে আমি ব্যাখ্যা করতে চাই না।’

শাপলা প্রতীক নাগরিক ঐক্য কিংবা এনসিপি কেউ পাচ্ছে না, এক সাংবাদিকের এমন জিজ্ঞাসার জবাবে সিইসি বলেন, ‘সেটা তো বলি নাই আমি।’

আজকের বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জোর প্রস্তুতি, প্রবাসীদের অংশগ্রহণসহ নানা বিষয়ে দীর্ঘ আলাপ করেন সিইসি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ