চোখ বন্ধ করে আজ থেকে কয়েক শ বছর পরের পৃথিবীর কথা ভাবুন। মানুষ হয়তো তখন নভোযানে চড়ে এক গ্যালাক্সি থেকে আরেক গ্যালাক্সিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হয়তো বাস করছে নভোযানে কিংবা সমুদ্রের তলদেশে।

আবার বেগুনি আকাশ আছে, এমন কোনো গ্রহেও পাড়ি জমাতে পারে। এবার কল্পনা করুন, শত শত বছর পরের একটি বেডরুম। আপনি সেখানে বসে আছেন। ঘরের জানালা দিয়ে হয়তো দেখছেন শনির বলয় বা সমুদ্রের তলদেশের রহস্য।

এবার নিজেকে একটা প্রশ্ন করুন। আপনার সেই কল্পিত ঘরে কি কোনো বই থাকবে?

এবার চোখ খুলুন। সম্ভবত আপনার হাতের নাগালেই কোনো না কোনো বই আছে। বিছানার আশপাশে কিংবা খাটের নিচেও থাকতে পারে। কিন্তু কেন?

পডকাস্ট আর অডিওবুকের এই যুগেও কেন বই টিকে আছে? আমরা তো এখন চাইলে প্রায় সবই শুনে নিতে পারি। তাহলে বই পড়ার গুরুত্বটা ঠিক কোথায়?

ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে ঠিক এসব বিষয় নিয়েই গবেষণা করেন স্টেফানি এন ডেল টুফো। এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) এবং ইইজির (ইলেকট্রোএনসেফ্যালোগ্রাফি) মতো যন্ত্র ব্যবহার করে তিনি পরীক্ষা করে দেখেন, আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে লেখা এবং শোনার ভাষাকে গ্রহণ করে।

আরও পড়ুনরাতের এই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্ক যেভাবে দ্রুত বুড়িয়ে যায়১১ নভেম্বর ২০২৪পড়া ও শোনার পার্থক্য

বই পড়া বা অডিও শোনার লক্ষ্য একটাই—কোনো বিষয়কে বোঝা। কিন্তু এই দুটি কাজ এক নয়। পড়া বা শোনার সাহায্যে আমরা যেকোনো বিষয় বুঝতে পারি, তবে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে।

শোনার মাধ্যমে পড়ার সব সুবিধা পাওয়া যায় না, আবার পড়ার মাধ্যমেও পাওয়া যায় না শোনার সবটুকু। দুটোই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একটি অপরটির বিকল্প নয়।

আপনি যখন কোনো বই পড়েন, আপনার মস্তিষ্ক পর্দার আড়ালে অনেকগুলো কঠিন কাজ করে। অক্ষরের আকৃতি চেনা, সেসবকে শব্দের সঙ্গে মেলানো, শব্দের অর্থ বের করা এবং বইজুড়ে সেসব অর্থ একসুতায় বাঁধা।

দাঁড়ি, কমা, নতুন অনুচ্ছেদসহ আরও অনেক কিছু মাথায় রেখে পড়তে হয়। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি নিজের গতিতে পড়তে পারেন। দ্রুত পড়বেন নাকি ধীরে, তা আপনার ওপর নির্ভর করে।

বই পড়া বা অডিও শোনার লক্ষ্য একটাই—কোনো বিষয়কে বোঝা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

রায় ঘোষণার পর জুলাই যোদ্ধাদের উচ্ছ্বাস

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সেই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায় ঘোষণার পরপরই হাইকোর্টের সামনে অপেক্ষারত জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিভিন্ন স্লোগানে তারা রায়কে স্বাগত জানান।

এদিকে, রায় ঘোষণার পরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ