শেখার সেরা উপায় কোনটি—পড়া নাকি শোনা
Published: 25th, September 2025 GMT
চোখ বন্ধ করে আজ থেকে কয়েক শ বছর পরের পৃথিবীর কথা ভাবুন। মানুষ হয়তো তখন নভোযানে চড়ে এক গ্যালাক্সি থেকে আরেক গ্যালাক্সিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হয়তো বাস করছে নভোযানে কিংবা সমুদ্রের তলদেশে।
আবার বেগুনি আকাশ আছে, এমন কোনো গ্রহেও পাড়ি জমাতে পারে। এবার কল্পনা করুন, শত শত বছর পরের একটি বেডরুম। আপনি সেখানে বসে আছেন। ঘরের জানালা দিয়ে হয়তো দেখছেন শনির বলয় বা সমুদ্রের তলদেশের রহস্য।
এবার নিজেকে একটা প্রশ্ন করুন। আপনার সেই কল্পিত ঘরে কি কোনো বই থাকবে?
এবার চোখ খুলুন। সম্ভবত আপনার হাতের নাগালেই কোনো না কোনো বই আছে। বিছানার আশপাশে কিংবা খাটের নিচেও থাকতে পারে। কিন্তু কেন?
পডকাস্ট আর অডিওবুকের এই যুগেও কেন বই টিকে আছে? আমরা তো এখন চাইলে প্রায় সবই শুনে নিতে পারি। তাহলে বই পড়ার গুরুত্বটা ঠিক কোথায়?
ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে ঠিক এসব বিষয় নিয়েই গবেষণা করেন স্টেফানি এন ডেল টুফো। এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) এবং ইইজির (ইলেকট্রোএনসেফ্যালোগ্রাফি) মতো যন্ত্র ব্যবহার করে তিনি পরীক্ষা করে দেখেন, আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে লেখা এবং শোনার ভাষাকে গ্রহণ করে।
আরও পড়ুনরাতের এই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্ক যেভাবে দ্রুত বুড়িয়ে যায়১১ নভেম্বর ২০২৪পড়া ও শোনার পার্থক্যবই পড়া বা অডিও শোনার লক্ষ্য একটাই—কোনো বিষয়কে বোঝা। কিন্তু এই দুটি কাজ এক নয়। পড়া বা শোনার সাহায্যে আমরা যেকোনো বিষয় বুঝতে পারি, তবে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে।
শোনার মাধ্যমে পড়ার সব সুবিধা পাওয়া যায় না, আবার পড়ার মাধ্যমেও পাওয়া যায় না শোনার সবটুকু। দুটোই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একটি অপরটির বিকল্প নয়।
আপনি যখন কোনো বই পড়েন, আপনার মস্তিষ্ক পর্দার আড়ালে অনেকগুলো কঠিন কাজ করে। অক্ষরের আকৃতি চেনা, সেসবকে শব্দের সঙ্গে মেলানো, শব্দের অর্থ বের করা এবং বইজুড়ে সেসব অর্থ একসুতায় বাঁধা।
দাঁড়ি, কমা, নতুন অনুচ্ছেদসহ আরও অনেক কিছু মাথায় রেখে পড়তে হয়। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি নিজের গতিতে পড়তে পারেন। দ্রুত পড়বেন নাকি ধীরে, তা আপনার ওপর নির্ভর করে।
বই পড়া বা অডিও শোনার লক্ষ্য একটাই—কোনো বিষয়কে বোঝা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
টানা বৃষ্টিতে সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড, ঘনীভূত হতে পারে লঘুচাপ
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে স্থল গভীর নিম্নচাপটি উপকূলীয় ওড়িশা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে আজ দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, আজ ভোর ৬টার দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায়। ঢাকার আকাশ মেঘে ঢেকে আছে।
ঢাকা/মাসুদ