সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের জন্য প্রবিধি চূড়ান্ত করতে একটি কমিটি কাজ করছে। কমিটি আগামী ৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রবিধি চূড়ান্ত করবে এবং ১২ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে তা হস্তান্তর করবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সিন্ডিকেট সভা শেষে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। এর আগে বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিন্ডিকেটের ২৩৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ৷ এর মধ্যে একটি ছিল শাকসু নির্বাচন। তবে নির্বাচন কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলেননি উপাচার্য।

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্যপ্রার্থীদের তৎপরতা২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উপাচার্য বলেন, প্রবিধি সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন হয়ে গেছে। কিছু বিষয় নিয়ে আরেকটু দেখতে হবে। গঠিত কমিটি সে বিষয়ে চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করবে। নির্বাচন কমিশন কবে গঠন করা হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলেননি উপাচার্য।

নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা উল্লেখ করে এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ঝামেলা বা ঘটনা যেন না ঘটে। সবার আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও পড়াশোনা। একটি মারামারি বা কোনো ঘটনা ঘটে গেলে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল হবে। এক জায়গায় সাংবাদিক মারা গেছেন, আরেক জায়গায় একজন শিক্ষক মারা গেছেন। আমরা চাই না কোনো ঘটনা ঘটুক। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হোক। তাই সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচন : ক্যাম্পাসে রাজনীতি চালুর পর ‘যৌক্তিক সময়’ চায় ছাত্রদল, পরে নির্বাচন২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এর আগে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন একদল শিক্ষার্থী। দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সিন্ডিকেট সভার পর নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলে জানিয়েছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ড় ন ত কর উপ চ র য প রব ধ

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ