চার দিন নিখোঁজ থাকার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুরাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী কে এম মামুনুর রশীদকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়ক এলাকার একটি জামে মসজিদ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে তুরাগ থানা–পুলিশ।

তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কের নীলা মার্কেট–সংলগ্ন ভোলানাথপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে তাঁকে উদ্ধার করি। অসুস্থতা বোধ করায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য উত্তরার কুয়েত–বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।’

মামুনুর রশীদ কোথায় ছিলেন এবং তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল কি না, জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মামুনুর রশীদ ২২ সেপ্টেম্বর সকালে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে বলা হয়, ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ছয়টার দিকে তুরাগ থানার হরিরামপুর ইউনিয়নের কামারপাড়া হানিফ আলী মোড় থেকে মামুনুর রশীদ নিখোঁজ হন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

মামুনুর রশীদ উত্তরার কামারপাড়ায় হানিফ আলী মোড়ে অবস্থিত খাদিমুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা।

গত বুধবার রাতে উত্তরা এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি। সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মামুনুর রশীদের কোনো খোঁজ মেলেনি। তাঁকে উদ্ধারের দাবিতে যুবশক্তির পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

আজ বিকেলে যোগাযোগ করা হলে মামুনের স্ত্রী খাদিজা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, একটি মসজিদ থেকে তাঁর স্বামীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। কুয়েত–বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর শরীরে আঘাত রয়েছে।

খাদিজা বেগম বলেন, উত্তরার কামারপাড়ায় হানিফ আলী মোড়ে খাদিমুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসা ভবনেই তাঁদের বাসা। গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি বাসা থেকে হাঁটতে বের হন। পাশের গলিতে যাওয়ার পর সেখান থেকে আর ফিরে আসেননি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ