‘অর্থনীতি বাঁচাতে হলে চিংড়ি সেক্টর বাঁচাতে হবে’
Published: 29th, September 2025 GMT
মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্পের (এসসিএমএফপি) প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী বলেছেন, ‘‘দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে হলে চিংড়ি সেক্টর এবং চিংড়ি চাষিদের বাঁচাতে হবে।’’
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের 'প্রোসেস এন্ড রেজাল্ট ডেমোন্সট্রেশন' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসসিএমএফপি প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার চিংড়ি সেক্টর বাঁচিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়েছি। বিশেষ করে, যারা এ সেক্টরে কাজ করছেন, করবেন; সরকার সব সময় তাদের সঙ্গে রয়েছে। চিংড়ি সেক্টরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য মৎস্য দপ্তরের দরজা সব সময় খোলা রয়েছে।’’
মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এসিআই এগ্রোলিঙ্ক লিমিটেড এ কর্মশালার আয়োজন করে। মৎস্য অধিদপ্তরের সহায়তায় এসিআই এগ্রোলিংক লিমিটেড রোগমুক্ত চিংড়ির পোনা চাষ এবং কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের লক্ষ্যে ‘সাস্টেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কর্মশালায় মৎস্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম সভাপতিত্ব করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী আরো বলেন, ‘‘এসসিএমএফপি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। সুতরাং সরকারের উদ্যোগ ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। চিংড়ি সেক্টর বাঁচাতে হবে।’’ তিনি চাষিদের প্রশিক্ষণসহ নিয়ম-নীতির মধ্যে আনতে তিনি ফিশফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (ফোয়াব) এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসিআই এগ্রোলিঙ্ক উল্লিখিত প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এবং সফলতা পাওয়ায় জিয়া হায়দার চৌধুরী এসিআই এগ্রোলিঙ্কের প্রশংসা করে ৯ কোটি পিএল (গলদা রেণু পোনাকে বলা হয় পোস্ট লার্ভা বা পিএল) থেকে এসিআই ৯০ কোটি পিএল উৎপাদন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে যে সকল অসাধু ব্যবসায়ী অনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অসৎ পথ অবলম্বন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কর্মশালায় জানানো হয়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় এসিআই এগ্রোলিংক একটি সুপার এসপিএফ (স্পেসিফিক প্যাথোজেন ফ্রি) পিএল (পোস্ট লার্ভা) নার্সারি স্থাপনা করেছে। যেখানে ১০-১২ দিনের এসপিএফ পোনা সংগ্রহ করে ৫৮ দিন নার্সিং করা হয় (এসপিএফ পোনা হলো নির্দিষ্ট ভাইরাস মুক্ত পোনা)। এই নার্সারি থেকে চিংড়ি চাষিরা সুপার এসপিএফ পোনা পাবে, যা চিংড়ির রোগ ও মৃত্যুহার কমাতে এবং চিংড়ির ভালো উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
আয়োজকরা জানান, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাগদা চিংড়ি চাষে টেকসই ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে চিংড়ি চাষিদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং ভাইরাসমুক্ত পোনা সরবরাহের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কর্মশালায় অতিথি এবং চাষিরা এ প্রকল্পের অধীনে সবাই রোগমুক্ত সুপার পোনা নার্সিং, উন্নত ঘের ব্যবস্থা এবং জৈব-নিরাপত্তার মাধ্যমে বাগদা চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফোয়াবের সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান শাহিন, বিএফএফইএ'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিকুল ইসলাম জহির, মৎস্য অধিদপ্তরের এসসিএমএফপি প্রকল্পের ডিপিডি ড.
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে