ছোট ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর (এসএমই) আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সহজ করতে নতুন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এসএমই প্রতিষ্ঠান বিদেশে ব্যবসার চলতি খরচ চালানোর জন্য বছরে সর্বোচ্চ তিন হাজার ডলার বা সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা দেশের বাইরে পাঠাতে পারবে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেল বা আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে পাঠানো যাবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে এসএমই ফাউন্ডেশনে নিবন্ধিত হতে হবে।

এরই মধ্যে ব্যাংকগুলোকে ‘এসএমই কার্ড’ নামে রিফিলযোগ্য আন্তর্জাতিক কার্ড ইস্যুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই প্রতিষ্ঠানের মনোনীত একজন কর্মকর্তার নামে ইস্যু করা যাবে। এই কার্ডে প্রাথমিকভাবে ৬০০ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা যাবে, যা দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অনলাইন ব্যবস্থায় খরচ নির্বাহ করতে পারবে। তবে ব্যাংকিং ও কার্ড চ্যানেলের মাধ্যমে মোট বার্ষিক সীমা একসঙ্গে তিন হাজার ডলারের বেশি হতে পারবে না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর) সূচকের উত্থান ও পতনের মিশ্র প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ১৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

শনিবার (৪ অক্টোবর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ০.৬৬ পয়েন্ট বা ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২১.২০ পয়েন্ট বা ১.০১ শতাংশ কমে ২ হাজার ৮১ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৫১ পয়েন্ট বা ০.০৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৭১ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৮.৮০ পয়েন্ট বা ১.৯৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৫১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯১৮ কোটি ৮৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার।  সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৫৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫০টির, দর কমেছে ২১৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৬টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮.৬৬ পয়েন্ট বা ০.০৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৮২ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ১০৮ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.১৪ শতাংশ কমে ৯ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৩৮ শতাংশ কমে ৯৫ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.৫৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২০ হাজার ৪২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২১ হাজার ২০০ কোটি ৯ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৬৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৫ কোটি ৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির, দর কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশে ৩ হাজার ডলার পাঠাতে পারবেন এসএমই উদ্যোক্তারা
  • পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা