বিদেশে ৩ হাজার ডলার পাঠাতে পারবেন এসএমই উদ্যোক্তারা
Published: 6th, October 2025 GMT
ছোট ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর (এসএমই) উদ্যোক্তারা চলতি ব্যয়ের জন্য এখন থেকে বছরে সর্বোচ্চ তিন হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাঠাতে পারবেন। বিদেশি লেনদেন ও ব্যবসায়িক খরচ সহজ করতে এই সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে ৫ অক্টোবর একটি সার্কুলার জারি করেছে।
আরো পড়ুন:
৩ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকা
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.
নির্দেশনা অনুযায়ী, এসএমই খাতের বৈদেশিক ব্যয় ব্যাংকিং চ্যানেল বা আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে পাঠানো যাবে। তবে শর্ত হলো- সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই এসএমই ফাউন্ডেশনে নিবন্ধিত হতে হবে।
একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে ‘এসএমই কার্ড’ নামে একটি রিফিলযোগ্য আন্তর্জাতিক কার্ড ইস্যুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান চাইলে তাদের মনোনীত কর্মকর্তার নামে এই কার্ড নিতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এই কার্ডে সর্বোচ্চ ৬০০ ডলার পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা যাবে, যা অনলাইনে চলতি প্রকৃতির ব্যবসায়িক খরচ পরিশোধে ব্যবহার করা যাবে।
তবে ব্যাংকিং চ্যানেল ও কার্ড দুই মাধ্যমে মিলিয়ে বার্ষিক মোট পাঠানোর সীমা তিন হাজার মার্কিন ডলারের বেশি হতে পারবে না।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগে এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা এখন আন্তর্জাতিক লেনদেনে আরো সহজ, দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত ভাবে কাজ করতে পারবেন। এটি দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের বৈদেশিক ব্যবসা সম্প্রসারণে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে আশা করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হোয়াটসঅ্যাপে কারিগরি ত্রুটির সন্ধান, তথ্য ফাঁসের ঝুঁকিতে ছিলেন ব্যবহারকারীরা
হোয়াটসঅ্যাপে বড় ধরনের কারিগরি ত্রুটির সন্ধান পেয়েছেন অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় ও এসবিএ রিসার্চের সাইবার নিরাপত্তা গবেষকেরা। তাঁদের দাবি, অ্যাপটির একটি গুরুতর দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে গোপনে ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলে থাকা সব তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। এই ত্রুটির কারণে হোয়াটসঅ্যাপের সব ব্যবহারকারী ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঝুঁকিতে ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
গবেষকদের তথ্যমতে, হোয়াটসঅ্যাপের কন্ট্যাক্ট ডিসকভারি ফিচারের সার্চ ব্যবস্থায় কোনো সীমা নির্ধারণ করা নেই। সাধারণত এই ফিচার ফোনের কন্ট্যাক্ট তালিকা স্ক্যান করে জানায়, কারা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। ফলে গবেষণা চলাকালে কন্ট্যাক্ট ডিসকভারি ফিচারের সার্চ ব্যবস্থার ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ২৪৫টি দেশের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে থাকা তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে সন্ধান পাওয়া কারিগরি ত্রুটিটির বিষয়ে গবেষক দলের প্রধান গ্যাব্রিয়েল গেগেনহুবার বলেন, ‘একটি উৎস থেকে এত বড় সংখ্যক অনুরোধ গ্রহণ করা স্বাভাবিক নয়। এই অস্বাভাবিক আচরণই ত্রুটিটি প্রকাশ করেছে এবং আমাদের প্রায় অসীম সংখ্যক অনুরোধ পাঠানোর সুযোগ করে দিয়েছে।’ গবেষক দলের সদস্য আলইওশা ইউডমায়ার বলেন, ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তি বার্তার বিষয়বস্তু সুরক্ষিত রাখে, কিন্তু মেটাডেটা সব সময় সুরক্ষিত থাকে না। বিপুল পরিমাণ মেটাডেটা বিশ্লেষণ করলেই গোপনীয়তার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আমাদের গবেষণা এটা পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে।’
গবেষকদের কাছ থেকে জানার পর দ্রুত কারিগরি ত্রুটিটির সমাধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মেটা। এ বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহসভাপতি নীতীন গুপ্ত জানিয়েছেন, ‘বাগ বাউন্টি কর্মসূচির আওতায় গবেষকেরা দায়িত্বশীলভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের দেখানো নতুন কৌশল আমাদের নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে কিছু তথ্য স্ক্র্যাপ করতে সহায়তা করেছে। আমরা যে অ্যান্টি–স্ক্র্যাপিং ব্যবস্থা চালু করেছি, এই গবেষণা তা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই ত্রুটির কারণে ব্যবহারকারীদের আদান–প্রদান করা বার্তায় ব্যবহৃত এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
সূত্র: ডেইলি মেইল