ফায়ার স্টেশন করার কথা বলে জমি নিয়ে তাতে রিসোর্ট নির্মাণ করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। সেই রিসোর্ট পরিচালনা করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। রিসোর্টে থাকা-খাওয়া, বিয়ে, গায়েহলুদসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে।

ফায়ার স্টেশনের জমিতে রিসোর্ট নির্মাণ করা হয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে। সেখানে তিন জায়গায় তিনটি প্লটে জমি নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে একটিতে ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে রিসোর্ট গড়া হয়েছে। আরেকটি প্লট খালি পড়ে আছে।

জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এখনো চালু না হওয়ায়.

.. (তিনি বাক্য শেষ করেননি)।’ তিনি আরও বলেন, সেখানে ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করার জন্য ইতিমধ্যে তাঁরা কাজ শুরু করেছেন।

নিশ্চয়ই কেউ না কেউ কোনো ধরনের স্বার্থ হাসিল করতেই সেখানে রিসোর্ট বানিয়েছে। এখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা যাঁরা এটা করেছেন, তাঁরা যেমন দায়ী, অনুরূপভাবে রাজউকের তো খবরদারি করার কথা ছিল। সংস্থাটি যেহেতু নিশ্চুপ, তারাও এই অনিয়মের জন্য সমানভাবে দায়ী। আদিল মুহাম্মদ খান, সভাপতি, বিআইপি

জনস্বার্থে জমি বরাদ্দ নিয়ে এর বাণিজ্যিক ব্যবহারটা কতটা নৈতিক, এমন প্রশ্নে জাহেদ কামাল বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। যদিও প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি। সেখানে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু প্লটে মানুষ বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করছে। এ প্রকল্পের আয়তন ৬ হাজার ২১৩ একর। মনে করা হয়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকা একসময় মানুষের বসবাসের বড় কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিপণিবিতানের মতো স্থাপনার পাশাপাশি ফায়ার স্টেশনের জন্যও জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনটি জায়গা পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। একটি জমির আয়তন ২ দশমিক ৪ একর, এটি ৪ নম্বর সেক্টরে। সেখানে কিছু স্থাপনা আছে। তবে ফায়ার স্টেশন এখনো হয়নি। ১২ নম্বর সেক্টরে ৯ দশমিক ১ একর জমিতে ফায়ার স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। রিসোর্ট করা হয়েছে ২৮ নম্বর সেক্টরে ফায়ার স্টেশনের জন্য দেওয়া ৪ দশমিক ৭ একর জমিতে।

রিসোর্টে একদিন

পূর্বাচলে ৩০০ ফুট সড়ক নামে পরিচিত জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের পাশে নীলা মার্কেট। সেখান থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ফায়ার স্টেশনের জমিতে নির্মিত রিসোর্টের নাম দ্য স্পট। গত ২১ সেপ্টেম্বর দেখা যায়, জায়গাটি সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা।

গ্রাহক হিসেবে প্রবেশ করতে চাইলে কর্মীরা বললেন, প্রবেশ করতে হলে আগে থেকে বুকিং দিয়ে আসতে হবে। নইলে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ নেই। গত আগস্ট থেকে এই নিয়ম চালু হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মী জানান, নির্দিষ্ট ফি দিয়ে সেখানে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়। রাতে থাকা যায়। দিনভর থেকে চলেও আসা যায়। রাতে তাঁবু টানিয়ে থাকা বা ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসে কর্মরতদের জন্য বিশেষ মূল্যছাড় রয়েছে।

রিসোর্টটির ভেতরে থাকার জন্য আপাতত দুটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কটেজ (ঘর) করা হয়েছে। নিরিবিলি সময় কাটাতে অনেকেই রিসোর্টটিতে যান বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।

দ্য স্পটের ফেসবুক পেজ ঘেঁটে দেখা যায়, সেখানে হওয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জমকালো ছবি নিয়মিত দেওয়া হয়। থাকা-খাওয়া এবং দিনযাপনের বিভিন্ন প্যাকেজের বিজ্ঞাপনও থাকে। গত ২২ আগস্টের একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, তিন ঘণ্টা অবস্থান এবং একজনের খিচুড়ি, মুরগির মাংস, দুই পদের ভর্তা ও দুই পদের ভাজির মূল্য লেখা ৮৯০ টাকা।

সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থাকা, খাওয়া, নৌকায় চড়াসহ বিভিন্ন সেবার মূল্য জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা। দুজনের (কাপল) জন্য সারা দিন থাকা ও খাওয়ার প্যাকেজের মূল্য ৭ হাজার ৯৯০ টাকা। রাতযাপনের ফিও একই।

ফায়ার সার্ভিস এই জমি দ্য স্পটকে ইজারা দিয়েছে কি না, ইজারা দিলে কী শর্তে ও কত টাকার বিনিময়ে দিয়েছে— এসব তথ্য চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। সূত্র জানিয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রিসোর্টটি চালু হয়। দ্য স্পটের ফেসবুক পেজ খোলা হয় ২০২২ সালে।

রাজউকের প্রকল্পে ফায়ার স্টেশনের জমিতে রিসোর্ট নির্মাণের বিষয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন লিখে খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজউকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে এমন আরও অনিয়ম রয়েছে। আবাসিক প্লটের জমিতে অনেকে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও রিসোর্ট নির্মাণ করেছেন। রাজউক জানলেও বিষয়টি নিয়ে তারা চুপ থাকে।

শহর কত দূর

রাজউকের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ‘পূর্বাচল নতুন শহর’। সেখানে কবে শহর গড়ে উঠবে, তা এখনো অনিশ্চিত। সর্বশেষ আন্তমন্ত্রণালয় সভার নথি থেকে জানা যায়, প্রকল্পের ৯৬ শতাংশ ভূমি উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হয়েছে। মোট ২৬ হাজার ২১৩টি আবাসিক প্লটের মধ্যে ২৪ হাজার ৫৬০টি হস্তান্তর এবং প্রায় ২৩ হাজার ৫০০টির ইজারা দলিল সম্পন্ন হয়েছে।

রাজউক সূত্র বলছে, প্রকল্প এলাকায় ৩৬৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের মধ্যে ৩৪৫ কিলোমিটার শেষ হয়েছে। ৫২টি সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ। খাল-নদীর ৪৬ কিলোমিটার উন্নয়নকাজও শেষ হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় এসেছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার। আর গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হয়েছে প্রাথমিকভাবে সেক্টর ১ থেকে ৪ পর্যন্ত। আগামী ডিসেম্বরে আরও ১১ হাজার প্লটে গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্য রয়েছে।

রাজউকের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে এখন পর্যন্ত ৪৬০টি ভবনের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভবন করা হয়েছে ৯০টি। ৭৭টির নির্মাণকাজ চলছে।

প্লট পাওয়া ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, থানা ইত্যাদি সেবা আগে চালু করা দরকার। এগুলো হলে সেখানে মানুষের বসবাসের চাহিদা হবে। ভবন তৈরি হওয়া শুরু হবে। তা না করে নানা বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড দেখা যাচ্ছে। তাতে যোগ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসও।

দেশে জনস্বার্থ শব্দ ব্যবহার করে বেশি অপকর্ম হয় বলে মনে করেন নগর-পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান। পূর্বাচলে ফায়ার স্টেশন না করে রিসোর্ট বানিয়ে ব্যবসা করার বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিশ্চয়ই কেউ না কেউ কোনো ধরনের স্বার্থ হাসিল করতেই সেখানে রিসোর্ট বানিয়েছে। এখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা যাঁরা এটা করেছেন, তাঁরা যেমন দায়ী, অনুরূপভাবে রাজউকের তো খবরদারি করার কথা ছিল। সংস্থাটি যেহেতু নিশ্চুপ, তারাও এই অনিয়মের জন্য সমানভাবে দায়ী।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ম ণ কর র প রকল প র জউক র কর ছ ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জন্মনিয়ন্ত্রণের সুখী বড়ির ফয়েল পেপার বেশি দামে কিনল এসেনসিয়াল

খুচরা বাজারে ভালো মানের এক পিস ফয়েল পেপার বিক্রি হয় ৯০ পয়সায়। কিন্তু এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) প্রতি পিস ফয়েল পেপার ২ টাকা ৫৭ পয়সায় কিনেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণের সুখী বড়ির প্যাকেট বানাতে মাত্রাতিরিক্ত দামে এই ফয়েল পেপার কিনেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।

ইডিসিএল একটি শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ইডিসিএলের মূল উদ্দেশ্য সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করা। সরকারি হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে তা সরবরাহ করা।

আরও পড়ুন৪৭৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের১২ মার্চ ২০২৩

সুখী বড়ির প্যাকেট বানাতে ফয়েল ও শ্রিঙ্ক পেপার ব্যবহার করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইডিসিএল দীর্ঘদিন ফয়েল ও শ্রিঙ্ক পেপার কিনে এসেছে কেজি হিসেবে। কিন্তু ইডিসিএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আ. সামাদ মৃধা দায়িত্বে আসার পর থেকে কেজির পরিবর্তে পিস হিসেবে তা কেনা হচ্ছে।

সুখী বড়ির প্যাকেট বানাতে ফয়েল ও শ্রিঙ্ক পেপার ব্যবহার করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইডিসিএল দীর্ঘদিন ফয়েল পেপার ও শ্রিঙ্ক পেপার কিনে এসেছে কেজি হিসেবে। কিন্তু ইডিসিএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আ. সামাদ মৃধা দায়িত্বে আসার পর থেকে কেজির পরিবর্তে পিস হিসেবে তা কেনা হচ্ছে।

নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে গত বছরের ২ অক্টোবর ইডিসিএলের এমডির পদ থেকে ইস্তফা দেন এহসানুল কবির। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সামাদ মৃধাকে ইডিসিএলের নতুন এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সুখী বড়ির প্যাকেট তৈরির জন্য ১ কোটি ৭৮ লাখ পিস ফয়েল পেপার এবং ১৮ লাখ পিস শ্রিঙ্ক পেপার কিনতে গত জুলাইয়ে দরপত্রের বিজ্ঞাপন দেয় ইডিসিএল। ফয়েল পেপার সরবরাহের কাজ পায় এস এস ফ্লেক্সিপ্যাক লিমিটেড। আর শ্রিঙ্ক পেপার সরবরাহের কাজ পায় সুরাইয়া প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুকানা কামাল। অভিযোগ আছে, তাঁদের প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত ব্যবসার সুযোগ দিতে কেজির পরিবর্তে এসব পণ্য পিস হিসেবে কেনা হয়েছে। এমডি হিসেবে সামাদ মৃধার যোগদানের পর এ দুই প্রতিষ্ঠান ইডিসিএলের অধিকাংশ কেনাকাটার কাজ পাচ্ছে।

নথি অনুযায়ী, প্রতি পিস ফয়েল পেপার ২ টাকা ৫৭ পয়সায় কিনেছে ইডিসিএল। আর প্রতি পিস শ্রিঙ্ক পেপার কিনেছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আগে এক কেজি ফয়েল পেপার কেনা হতো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। আর এখন তা পিস হিসেবে কেনা হচ্ছে। পিস থেকে কেজিতে রূপান্তর করলে প্রতি কেজি ফয়েল পেপারের দাম পড়ছে প্রায় দুই হাজার টাকা।

অন্যান্য কোম্পানির থেকে তাঁদের কেনা ফয়েল ও শ্রিঙ্ক পেপার উন্নত মানের। তাই বাজারের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে এগুলো কেনা হয়েছে। এতে পিস অথবা কেজি মুখ্য বিষয় নয়।মো. আ. সামাদ মৃধা, ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)

বেশি দামে কেনাকাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ইডিসিএলের এমডি সামাদ মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, অন্যান্য কোম্পানির থেকে তাঁদের কেনা ফয়েল ও শ্রিঙ্ক পেপার উন্নত মানের। তাই বাজারের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে এগুলো কেনা হয়েছে। এতে পিস অথবা কেজি মুখ্য বিষয় নয়। কেজিতে হিসাব করলে তাঁদের কেনা ফয়েল পেপারের দাম ১ হাজার ৫০০ টাকার বেশি হবে। আর প্যাকেটের ওজন বেশি হওয়ায় প্রতি কেজিতে ৬০০ পিসের মতো হবে।

আরও পড়ুনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগসে ৩ হাজারের বেশি বাড়তি লোক ০৫ অক্টোবর ২০২৪নথি অনুযায়ী, প্রতি পিস ফয়েল পেপার ২ টাকা ৫৭ পয়সায় কিনেছে ইডিসিএল। আর প্রতি পিস শ্রিঙ্ক পেপার কিনেছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সায়।

পুরান ঢাকার ফয়েল ও শ্রিঙ্ক পেপারের একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁদের একজন মো. ফারুক হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিন স্তরের ভালো মানের এক পিস ফয়েল পেপারের মূল্য সর্বোচ্চ ৯০ পয়সা। আর এক পিস শ্রিঙ্ক পেপার বিক্রি হয় ১ টাকা ২০ পয়সায়। বেশি পরিমাণ কিনলে দাম আরও কম হয়।

আরও পড়ুনসরানো হচ্ছে এসেনসিয়াল ড্রাগসের তেজগাঁও কারখানা২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১আরও পড়ুনযাঁরা অনিয়ম ধরবেন, তাঁদের স্বজনেরাই পান চাকরি০৮ জুন ২০২১আরও পড়ুনকোম্পানি কি এমপি ইলেকশন করবে যে নির্বাচনে প্রভাব পড়বে?০২ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হঠাৎ বিদ্যুৎ বিল বেড়ে দ্বিগুণ-তিন গুণ, বিপাকে গ্রাহক
  • ঠাকুরগাঁওয়ে সবজির দাম চড়া, মরিচে স্বস্তি
  • মসুর ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা
  • নিলামে ১০৪ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
  • ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফগার মেশিন সরবরাহ, প্রশংসায় ভাসছেন শিল্পপতি বাবুল
  • সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
  • জন্মনিয়ন্ত্রণের সুখী বড়ির ফয়েল পেপার বেশি দামে কিনল এসেনসিয়াল