টেনিসে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস লেখা হলো। রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত আইটিএফ অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দেশের তরুণ তারকা জারিফ আবরার। প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে এ গৌরব অর্জন করলেন।

রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্সে এবারের আসরটি জুনিয়র টেনিসের ৩০তম আয়োজন। এর আগের ২৯টি আসরে বাংলাদেশের কেউ আইটিএফ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। দেশের বাইরে আইটিএফের অন্য কোনো আসরেও এই সাফল্য আসেনি। সেই অপেক্ষা এবার ভেঙে দিলেন জারিফ।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে ২ নম্বর কোর্টে অনুষ্ঠিত বালক এককের ফাইনালে জারিফের প্রতিপক্ষ ছিলেন থাইল্যান্ডের টপসিড খেলোয়াড় নাপাত পাটানালের থাপান। ম্যাচের শুরু থেকেই উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল। প্রথম সেট টাইব্রেকারে জারিফ ৭-৬ (৭-৩) গেমে জয়ী হয়ে এগিয়ে যান। দ্বিতীয় সেটে দারুণ লড়াই চালিয়ে তিনি ৬-৪ গেমে থাপানকে পরাজিত করে নিশ্চিত করেন ঐতিহাসিক জয়। শেষ সেটে টানা পাঁচটি ম্যাচ পয়েন্ট নষ্টের পরও জয়ের দেখা পেলেন জারিফ।

বালিকাদের ফাইনালও ছিল চোখ ধাঁধানো। চীনের জিজি ইয়ান প্রথম সেট ৭-৫ গেমে জিতে এগিয়ে গেলেও, দ্বিতীয় সেটে মালদ্বীপের টপসিড-টু আরা আসাল আজিম ঘুরে দাঁড়ান এবং ৬-৩ গেমে জয়ী হন। তবে, শেষ সেটে জিজি ইয়ান কোনো সুযোগ না দিয়ে ৬-৩ গেমে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরশাফুজ্জামান খান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহিনুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম এবং রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্সের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে শিশুর আকুতি, কাটা পড়তে পারে পা

ট্রেনের চাকার নিচে পা আটকে গেছে একটি ছেলেশিশুর। বয়স ১০–১২ বছর। বাঁচার জন্য আকুতি করছে সে। এমনই একটি ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে।

আহত ওই শিশুর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে প্রথমে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)।

রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা–নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী উপকূল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কীভাবে শিশুটি ট্রেনের নিচে গেল, এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি রেলের কর্মকর্তারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় ট্রেন থামিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।

শিশুটির সঙ্গে কোনো অভিভাবক ছিল না বলে জানিয়েছেন রেলের কর্মকর্তারা। তাঁদের ধারণা, সে আশপাশের এলাকার বাসিন্দা বা পথশিশু হতে পারে। শিশুটি যেভাবে ট্রেনের চাকার নিচে পড়েছে, তাতে তার একটি পা কেটে ফেলা লাগতে পারে।

এ বিষয়ে রেলের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিএআরএম) এ বি এম কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পরই পুলিশ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। শিশুটি ট্রেনের যাত্রী ছিল না বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ