ফতুল্লায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আওয়ামীলীগের ৫জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারনসম্পাদক বাবুল হোসেন (২৫), কাশিপুর হাটখোলা এলাকার আওয়ামীলীগ কর্মী সুমন (৩৭), শাহ আলম (৫৫), দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মহন মিয়া (৩২) ও শিহাচর লালখাঁ এলাকার বাদল (৪০)। সোমবার রাতে ফতুল্লা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেন।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও তারা ফতুল্লায় আতংক সৃস্টি করতে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র ব্রাশফায়ারের নির্দেশ চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের

সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিনগান (এসএমজি) থেকে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মৌখিকভাবে নিজস্ব বেতার বার্তায় তিনি থানা ও টহল পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা দেন। বেতার বার্তায় পুলিশ কমিশনার বলেন,‘শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’

বেতার বার্তায় যেকোনো পরিস্থিতি এবং নাশকতা এড়াতে টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শটগান, দুইটি গ্যাসগান এবং টিম ইনচার্জকে নাইন এমএম পিস্তল বহন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী চেকপোস্ট ৭টি থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করতে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। সব দায় কমিশনার বহন করবেন বলে জানান।

জানতে চাইলে বিষয়টি স্বীকার করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। তিনি সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাইরে থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে নগরবাসীকে গুলি করে চলে যাবে, তা হতে পারে না। এ জন্য সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছি। দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয়। যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ইউজ করব না।’

এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন অরাজকতা করতে রাস্তায় নামলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। গুলি চালানো হবে না। গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হবে। পাঠানো হবে আদালতে।’

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা হত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামিকে এর আগে আমরা ধরে দিয়েছিলাম। কিন্তু বেশি দিন তাঁরা কারাগারে থাকেননি। কয়েক সপ্তাহ পর জামিনে বেরিয়ে আসেন।’

গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগের বহরে গুলিতে তিনিসহ পাঁচজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে মারা যান জনসংযোগের বহরে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন। পুলিশ জানায়, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।

ওই ঘটনা নিয়ে যখন নগরজুড়ে মাতামাতি, তখন শুক্রবার নগরের হালিশহর মাইজপাড়া এলাকায় মো. আকবর নামের এক ব্যক্তিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।

এর আগে ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে গত ২৭ অক্টোবর নগরের বাকলিয়া বগার বিলের মুখ এলাকায় ছাত্রদলের কর্মী মো. সাজ্জাদকে (২২) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ