আটপাড়ায় নদীতে গোসল করতে নেমে কৃষক নিখোঁজ
Published: 16th, October 2025 GMT
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সোনাজুর গ্রামে মগড়া নদীতে গোসল করতে নেমে আব্দুল হক (৫৫) নামের এক কৃষক নিখোঁজ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আব্দুল হক উপজেলার সোনাজুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
কীর্তিনাশায় ডুবেছে যাত্রীবাহী ট্রলার
বগুড়ার যমুনায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো সকালে আব্দুল হক নদীতে গোসল করতে যান। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর ফিরে না আসায় পরিবার ও স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে তারা আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।
ঢাকা/ইবাদ/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকের মুঠোফোন ভাঙলেন সাদাপাথর–কাণ্ডে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর ও বালু লুটপাটের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদ (আলফু) আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজতে থেকে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তিনি সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে ভেঙে ফেলেন। একই সময়ে ওয়াদুদের ছেলে আরেক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। আবদুল ওয়াদুদ সাদাপাথর ও বালু লুট, হত্যা, ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ ১৯টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং একই উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে রিমান্ড শুনানির জন্য আবদুল ওয়াদুদকে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁর পক্ষে নেতা-কর্মীসহ লোকজন আদালত এলাকায় জড়ো হন। শুনানি শেষে আদালত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাঁকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। ওই মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকারের মুঠোফোনটি কেড়ে নেন। অন্যদিকে আরেকটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বিশাল দের মুঠোফোন কেড়ে নেন ওয়াদুদের ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদ। পরে বিশালের মুঠোফোনে থাকা ভিডিও চিত্রটি মুছে সেটি আবার ফিরিয়ে দেন বায়জিদ। এ সময় অন্য সাংবাদিকেরা এগিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নয়ন সরকার বলেন, মুঠোফোনটি নেওয়ার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল। পরে পুলিশ জানায়, তাঁর মুঠোফোনটি আসামি ভেঙে ফেলেছেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে আসামিকে হাজতখানা থেকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময়ও আসামির লোকজন সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। এ সময় আবদুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে সিলেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক জামশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাংবাদিকেরা অনেকটা কাছ থেকে আসামির ছবি তুলছিলেন। একপর্যায়ে আসামি এক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। ভাঙা মুঠোফোনটি তাঁদের হেফাজতে আছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হলে আদালত পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। আদালত প্রাঙ্গণে প্রচুর ভিড় ছিল। অনেকেই ভিডিও করছিলেন। কারা সাংবাদিক, কারা আসামির লোকজন, সেটি জানার উপায় ছিল না।
এদিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাদাপাথর লুট–কাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় কাজী আবদুল ওয়াদুদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ। তিনি বলেন, সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওয়াদুদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।