বগুড়ার ডিবির ইনচার্জসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার
Published: 16th, October 2025 GMT
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে রাজশাহীর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) সংযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আসাদুজ্জামান।
আরো পড়ুন:
অস্ত্র প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাজাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- ডিবির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ইকবাল বাহার, পুলিশ পরিদর্শক রাকিব হোসেন এবং উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফজলুল হক।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো.
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজু মুন্সি নামে এক ব্যক্তি নিজেকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বগুড়া শহরের ব্যবসায়ী আব্দুল হককে ফোন করেন। তিনি ওই ব্যবসায়ীর মাদরাসাপড়ুয়া সন্তানের জন্য ‘শিক্ষাবৃত্তি প্রদান’-এর কথা বলে ব্যাংক হিসাব নম্বর ও পিন সংগ্রহ করেন। এরপর ওই হিসাব থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৫ টাকা স্থানান্তর করে নেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তের দায়িত্ব পান ডিবি পরিদর্শক রাকিব হোসেন। মামলা করতে গিয়ে দেরি না হয় এ জন্য র্যাবের সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে অনুরোধপত্র অনুসারে র্যাব গত শনিবার ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে রাজু মুন্সিকে আটক করে। পরে তাকে তারা ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করেন। বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভাঙ্গা থানা এলাকা থেকে রাজু মুন্সি নামে ওই আসামিকে বগুড়ায় নিয়ে আসেন। পরদিন তাকে প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বগুড়ার ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার এ বিষয়ে বলেন, “ঘটনাটি আমার জানা ছিল না। আদালতে চালানের দুইদিন পর জানতে পেরেছি এটা নাকি ডাকাতির মামলা ছিল। যখন আসামিকে ধরার চেষ্টা করা হয় তখনও মামলা রুজু হয়নি। ঘটনাটি পুরোপুরি প্রতারণার। এ জন্য রাজুকে প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অনুরোধপত্র পাঠানোর বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে ছিল একটি প্রশাসনিক ভুল বোঝাবুঝি।”
এসব বিষয়ে জানতে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ফিরোজ আহমেদকে কল দেওয়া হয়। তিনি কর রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ইনচ র জ
এছাড়াও পড়ুন:
বিষখালীতে হঠাৎ ভাঙন
ঝালকাঠির রাজপুরের বিষখালী নদীতে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ফলে উপজেলার মঠবাড়িয়া ইউনিয়নের মানকি-সুন্দর গ্রামের বসতভিটা ও কৃষিজমি বিলীন হচ্ছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো উদ্যেগ নেয়নি প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দা হৃদয়, সোহাগ ও সজল জানান, গ্রামটি আজ প্রায় বিলুপ্ত। নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলের জমি, বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা। এখন মাত্র একটি বাড়ি টিকে আছে, সেটিই গ্রামের অস্তিত্বের শেষ চিহ্ন। এই উপজেলার নাপিতেরহাট ফকিরবাড়ি এলাকার বহু মানুষ নদী ভাঙনের কারণে বসতভিটা হারিয়ে গৃহহীন হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ফুঁসছে তিস্তা, লালমনিরহাটে রেড অ্যালার্ট জারি
কুড়িগ্রামে ১৭০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত
খালেক হাওলাদার নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক বাসিন্দা জানান, নদী ভাঙনের কারণে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। জীবিকার অনিশ্চয়তায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও কৃষিজীবীরা।
ইয়াসিন মোল্লা নামে অপর ব্যক্তি জানান, খরস্রোতা বিষখালী নদীর ভাটির টানে প্রতিদিন ভাঙাছে নতুন নতুন এলাকা। গত কয়েকদিন ধরে মানকি-সুন্দর ও বাদুরতলা এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী তীরের মানুষ আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন।
মানকি-সুন্দর গ্রামের ইকবাল হোসেন নয়ন জানান, মানকি লঞ্চঘাট রাস্তার পূর্ব পাশ ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন থামানো না গেলে পুরো রাস্তা ও ঘাট বিলীন হয়ে যাবে।
শিপন খলিফা জানান, নদীর তীরের মাটি ইট ভাটায় কেটে নিয়ে যাওয়ায় নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের নজর দারি জরুরি।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, “ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে শিগগিরই সরকারের কাছে চাহিদা পাঠাব। যতদ্রুত সম্ভব জিও ব্যাগ বা বাঁধ পুনরায় নির্মাণসহ ভাঙন রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”
তিনি বলেন, “স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য অনেক আগেই প্ল্যান পাঠিয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।”
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি বলেন, “খোঁজ নিয়ে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নদীর তীর থেকে মাটি কাটার বিষয়েও আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/অলোক/মাসুদ