ঘুমের মধ্যে বা হঠাৎ অসহনীয় দাঁতব্যথা। কিছুতেই কমছে না। কেউ বলছেন দাঁতটি ফেলে দিতে হবে। কেউ ব্যথানাশক ওষুধে সাময়িক ব্যথা লাঘবের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আসলে দাঁতের ভেতরের মজ্জা আক্রান্ত হলে এনডোডোন্টিক চিকিৎসা ছাড়া সেই দাঁত রক্ষার কোনো উপায় নেই।

আজ ১৬ অক্টোবর বিশ্ব এনডোডোন্টিক দিবস। দাঁত নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সেলিব্রেটিং টুথ সেভারস’ অর্থাৎ জনগণের মধ্যে দাঁতের সুরক্ষা ও সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা।

দাঁত মানবদেহের এক অমূল্য অঙ্গ। এটি হারালে শুধু খাবার চিবানোতেই সমস্যা হয় না, বরং মুখের সৌন্দর্য-সামঞ্জস্য, উচ্চারণ, আত্মবিশ্বাস এমনকি স্মরণশক্তিও নষ্ট হয়। অথচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দাঁত উপড়ে ফেলার পরিবর্তে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে তা রক্ষা সম্ভব। এই চিকিৎসার নাম ‘রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট’।

আরও পড়ুনদাঁত স্কেলিং কী, কেন করা হয়, না করালেই–বা কী হয়৩০ আগস্ট ২০২৫রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট

রুট ক্যানেল হলো একধরনের সূক্ষ্ম ডেন্টাল চিকিৎসা। এই পদ্ধতিতে দাঁতের ভেতরের সংক্রমিত বা মৃত টিস্যু অপসারণ করা হয়। এর মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করা হয় দাঁতকে। এরপর বিশেষ উপাদান দিয়ে সেই স্থান ভরাট বা সিল করে দেওয়া হয়। এতে করে ব্যথা, ফোলা অথবা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত হয়। বহু বছর কার্যকর রাখা সম্ভব হয় দাঁতকেও। তাই কথায় কথায় দাঁত ফেলে দেওয়ার আত্মঘাতী ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

রুট ক্যানেল নিয়ে অনেকের মধ্যে একধরনের ভয় কাজ করে। কেউ কেউ মনে করেন, এই চিকিৎসা অনেক কষ্টের, ব্যয়বহুল ও কিছু দিন পর আবার কষ্ট শুরু হবে বা দাঁত ভেঙে যাবে। এগুলো একেবারে ভ্রান্ত ধারণা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।

অনুমোদিত ও দক্ষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিলে এর সফলতার হার অনেক। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে কৃত্রিম মুকুট বা ক্যাপ পরিয়ে না নিলে দাঁত ভেঙে যেতে পারে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে এমন সংবেদনশীল চিকিৎসা নিলে খারাপ অভিজ্ঞতা হতে পারে।

আরও পড়ুনডায়াবেটিক রোগীদের দাঁত ও মাড়ির রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫পরামর্শ

কোনো ব্যথা বা কষ্ট না হলেও বছরে অন্তত একবার ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এতে রোগের শুরুতেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। দাঁতের গর্তের শুরুতে বা শিনশিন করলে ফিলিং নামক সহজ ও সবার জন্য সহনশীল খরচে চিকিৎসা করিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। রোগ পুষে রাখলে জটিলতা, সময় ও খরচ সব বাড়তে থাকে।

ডা.

মো. আসাফুজ্জোহা রাজ, রাজ ডেন্টাল সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা

আরও পড়ুনদাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধে কী খাবেন ১৪ জুন ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

যোগাযোগের ঘাটতি বাবা মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব তৈরি করে

যোগাযোগের ঘাটতি বাবা–মায়ের সঙ্গে সন্তানের একধরনের দূরত্ব তৈরি করে। এই দূরত্ব প্যারেন্টিংয়ের জন্য নেতিবাচক। সন্তানের মানসিক গঠনের জন্যও এই দূরত্ব ক্ষতিকারক। কারণ, বাবা–মায়ের আচরণ সন্তানের মানসিক গঠনে প্রভাব ফেলে। তাই বয়ঃসন্ধিকালে সন্তান লালনপালনে মা–বাবাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এক পরামর্শ সভায় এ কথা বলেন মনরোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মেখলা সরকার।

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি নিয়মিত আয়োজন বিনা মূল্যে পরামর্শ সহায়তা সভা। আজ এর ১৭৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যেসব ছেলে–মেয়ের মধ্যে একধরনের নাজুকতা আছে, তাদেরই মাদকাসক্তিতে জড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে মনে করেন অধ্যাপক মেখলা সরকার। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে প্যারেন্টিং একধরনের রোল প্লে করতে পারে।’

বয়ঃসন্ধিকালে সন্তানের আত্মপরিচয় ও আত্মনির্ভর্শীলতার শুরু হয় বলে উল্লেখ করেন এই মনরোগবিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের মানসিক গঠন কেমন হবে, তার ভিত কিন্তু কিছুটা শৈশব ও কৈশোরের মধ্যে নির্ধারণ হয়ে থাকে।’ সন্তান যখন কৈশোর থেকে বয়ঃসন্ধিকালে পা রাখে, তখন অনেক মা–বাবা সেটা লক্ষ রাখতে পারেন না বলেও মনে করেন অধ্যাপক মেখলা সরকার। সন্তানের সঙ্গে যাতে বাবা–মায়ের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দূরত্ব তৈরি না হয়, তা নিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

পরামর্শ সভায় কথা বলছেন মনরোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মেখলা সরকার। ২৯ নভেম্বর

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যোগাযোগের ঘাটতি বাবা মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব তৈরি করে