গাজা ঘোষণাপত্র, টি-ডোম, স্যার ক্রিক অঞ্চল কী
Published: 16th, October 2025 GMT
১. বিতর্কিত ‘স্যার ক্রিক অঞ্চল’কোন দুটি দেশের সীমানায় অবস্থিত?
ক. ভারত–পাকিস্তান
খ. পাকিস্তান–আফগানিস্তান
গ. সিরিয়া–তুরস্ক
ঘ. আর্মেনিয়া–আজারবাইজান
উত্তর : ক. ভারত–পাকিস্তান
২. ‘শারম আল-শেখ’ শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
ক. ইয়েমেন
খ. কাতার
গ. সিরিয়া
ঘ. মিসর
উত্তর : ঘ. মিসর
৩. গাজা যুদ্ধ অবসানে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে কোন দেশে?
ক.
খ. জর্ডান
গ. তুরস্ক
ঘ. কাতার
উত্তর: ক. মিসর
৪. হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মধ্যস্থকারী দেশ নয় কোনটি?
ক. কাতার
খ. সংযুক্ত আরব আমিরাত
গ. তুরস্ক
ঘ. যুক্তরাষ্ট্র
উত্তর: খ. সংযুক্ত আরব আমিরাত (মধ্যস্থকারী চারটি দেশ: কাতার, তুরস্ক, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র)
৫. গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতকরণে ‘গাজা ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষরিত হয়—
ক. ৭ অক্টোবর ২০২৫
খ. ৯ অক্টোবর ২০২৫
গ. ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ঘ. ১৪ অক্টোবর ২০২৫
উত্তর : গ. ১৩ অক্টোবর ২০২৫
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে নিয়োগ, পদ ১২৭৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫৬. সম্প্রতি বাংলাদেশের কোন বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে?
ক. শাহ্ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহী
খ. সৈয়দপুর বিমানবন্দর
গ. কক্সবাজার বিমানবন্দর
ঘ. যশোর বিমানবন্দর
উত্তর: গ. কক্সবাজার বিমানবন্দর (বর্তমানে দেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংখ্যা চারটি)
৭. বিশ্ব খাদ্য ফোরাম (ডব্লিউএফএফ) ২০২৫-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কয় দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন?
ক. ৪ দফা
খ. ৬ দফা
গ. ৮ দফা
ঘ. ১০ দফা
উত্তর: খ. ৬ দফা
৮. টাইম ম্যাগাজিনের ‘শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন ২০২৫’ তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের তৈরি সম্পূরক খাদ্য—
ক. ফাফা
খ. মোমাইজ
গ. বিডিএফ
ঘ. এমডিসিএফ-২
উত্তর : ঘ. এমডিসিএফ-২ (আইসিডিডিআরবি উদ্ভাবিত এমডিসিএফ -মাইক্রোবায়োটা ডিরেক্টেড কমপ্লিমেন্টারি ফুড, অন্ত্রের উপকারী জীবাণুগুলোকে উদ্দীপ্ত করে শিশুদের সুস্থ বিকাশে সহায়তা করে।)
৯. বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির আওতাধীন কত বছর বয়সী শিশুরা?
ক. ৯ মাস থেকে ১৫ বছর
খ. ২ থেকে ৮ বছর
গ. নবজাতক থেকে ১৫ বছর
ঘ. ৩ থেকে ১৫ বছর
উত্তর : ক. ৯ মাস থেকে ১৫ বছর (বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় ১২ অক্টোবর, ২০২৫)
আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে চাকরি, নেবে ৪৬ কর্মী২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫১০. ‘আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস’ পালিত হয় প্রতিবছর—
ক. ৭ আগস্ট
খ. ১৬ সেপ্টেম্বর
গ. ৭ অক্টোবর
ঘ. ১১ অক্টোবর
উত্তর : ঘ. ১১ অক্টোবর
১১. ২০২৫ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো কোন দেশের অধিবাসী?
ক. কলম্বিয়া
খ. মেক্সিকো
গ. বলিভিয়া
ঘ. ভেনেজুয়েলা
উত্তর : ঘ. ভেনেজুয়েলা
১২. আইভরিকোস্টের ‘লৌহমানবী’ হিসেবে পরিচিত—
ক. সিমিওনি বাগবো
খ. জর্জিয়া মেলোনি
গ. মেটে ফ্রেডেরিকসেন
ঘ. এলেন জনসন সিরলিফ
উত্তর : ক. সিমিওনি বাগবো
১৩. বায়ুমান বিশ্লেষণকারী ‘আইকিউএয়ার’কোন দেশভিত্তিক প্রতিষ্ঠান?
ক. সুইডেন
খ. সুইজারল্যান্ড
গ. জার্মানি
ঘ. যুক্তরাজ্য
উত্তর : খ. সুইজারল্যান্ড
১৪. ‘টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র’কোন দেশের তৈরি?
ক. যুক্তরাজ্য
খ. যুক্তরাষ্ট্র
গ. রাশিয়া
ঘ. তুরস্ক
উত্তর : খ. যুক্তরাষ্ট্র
আরও পড়ুনবাংলাদেশ তাঁত বোর্ডে ৪০ পদে নিয়োগ, গ্রেড ১৩–২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫১৫. সম্প্রতি বহুস্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘টি-ডোম’ উন্মোচন করেছে—
ক. ইরান
খ. ইউক্রেন
গ. তুরস্ক
ঘ. তাইওয়ান
উত্তর: ঘ. তাইওয়ান
আরও পড়ুনস্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন পটুয়াখালীতে চাকরি, পদ ৭৪০৯ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র স প ট ম বর ত রস ক
এছাড়াও পড়ুন:
সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের সেরা দশের তালিকা থেকে কেন বাদ পড়ল যুক্তরাষ্ট্র
হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুযায়ী এক দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে গণ্য করা হতো। ভিসা ছাড়া একটি দেশের নাগরিক কতগুলো দেশ ভ্রমণ করতে পারেন, তার ওপর ভিত্তি করে এই সূচকটি তৈরি করা হয়।
২০২৫ সালে এসে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের সেই মর্যাদা কমে গেছে। ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এবার বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের সেরা ১০ তালিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্র ছিটকে পড়েছে।
মার্কিন পাসপোর্ট ২০২৪ সালের সপ্তম স্থান থেকে নেমে এখন মালয়েশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ১২তম স্থানে রয়েছে। এই পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসা ছাড়াই ১৮০টি দেশ ভ্রমণ করা যাবে।
এখন তালিকার শীর্ষে রয়েছে পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশ। সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান যথাক্রমে ১৯৩, ১৯০ ও ১৮৯টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুবিধা পায়। জার্মানি, লুক্সেমবার্গ ও ইতালি যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্রুত পতনের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর বেশির ভাগই ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নতুন অভিবাসননীতির সঙ্গে সম্পর্কিত।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের চেয়ারম্যান ক্রিশ্চিয়ান কেলিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত দশকে মার্কিন পাসপোর্টের শক্তিশালী অবস্থা নিচে নামাটা শুধু র্যাঙ্কিংয়ের রদবদল নয়—এটি বিশ্বব্যাপী চলাচল ও সফট পাওয়ারের গতিপথে একটি মৌলিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। যেসব দেশ উদারতা ও সহযোগিতাকে গ্রহণ করছে, তারা এগিয়ে যাচ্ছে। আর যারা অতীতের সুবিধার ওপর নির্ভর করে বসে আছে, তারা পিছিয়ে পড়ছে।
প্রতিবেদনে ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জ্যেষ্ঠ অ্যাসোসিয়েট অ্যানি ফোরজাইমারের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের এই পতন সম্পর্কে বলেছেন, ‘দ্বিতীয়বার ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই মার্কিন নীতি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছিল। সেই বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতারই প্রতিফলন এখন মার্কিন পাসপোর্টের পতনে দেখা যাচ্ছে।
নাগরিকত্ব ও আবাসন নিয়ে পরিবারকে সহায়তা দানকারী সংস্থা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স র্যাঙ্কিংয়ে দেশগুলোর পিছিয়ে পড়ার একটি প্রধান কারণ হিসেবে ভিসার পারস্পরিক সহযোগিতার অভাবের কথা উল্লেখ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারীরা বর্তমানে ভিসা ছাড়াই ১৮০টি দেশ ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নিজে মাত্র ৪৬টি দেশের নাগরিকদের ভিসা ছাড়া প্রবেশের অনুমতি দেয়। এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার অভাবের কথা উল্লেখ করে ব্রাজিল সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা বাতিল করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার ক্রমবর্ধমান খরচও একটি কারণ। যেমন—গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশনের (ইএসটিএ) খরচ ২১ ডলার থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৪০ ডলার হয়েছে।
অন্যান্য দেশের নেওয়া পদক্ষেপও যুক্তরাষ্ট্রকে আরও পিছিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চীনের সম্প্রসারিত ভিসা ছাড় নীতি। জার্মানি ও ফ্রান্সসহ শীর্ষ ১০-এ থাকা অনেক ইউরোপীয় দেশকে চীন ভিসা ছাড়ের সুবিধা দিলেও যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়েছে। পাপুয়া নিউগিনি ও মিয়ানমারের পরিবর্তন এবং সোমালিয়ার নতুন ই-ভিসা সিস্টেমও র্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব ফেলেছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিনদের মধ্যে বিকল্প বাসস্থান ও নাগরিকত্ব খোঁজার প্রবণতা ‘নজিরবিহীনভাবে’ বেড়েছে। ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের শেষে ২০২৪ সালের তুলনায় মার্কিন নাগরিকদের আবেদন ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
হেনলি বলছে, শেষ আঘাতটি এসেছে ভিয়েতনামের পক্ষ থেকে। দেশটি তাদের সদ্যপ্রকাশিত ভিসামুক্ত দেশের তালিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যও তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্থানে নেমে গেছে। অবশ্য দেশটি অষ্টম অবস্থান নিয়ে এখনো সেরা ১০-এর মধ্যেই রয়েছে।