দেশসেরা চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয়ের পর ভারতীয় বাংলা সিনেমায় নাম লেখান। 

‘খাদান’, ‘রঘু ডাকাত’ সিনেমার বদৌলতে ইধিকা এখন টলিউডের অন্যতম চর্চিত অভিনেত্রী। ফলে, কার সঙ্গে প্রেম করছেন অথবা কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তা নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। অবশেষে এ বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন ইধিকা।  

ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইধিকা পাল বলেন, “এই মুহূর্তে বিয়ে নিয়ে ভাবছি না। বিয়ে মানেই প্রচুর দায়িত্ব, তাই এখন বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা নেই। সেই চিন্তা-ভাবনা এখন অনেক দূর।” 

বিয়ে নয়, কাজে ডুব দিতে চান ইধিকা। তার ভাষায়—“আগামী ১০ বছরে অনেক অনেক কাজ করতে চাই। একজন ভীষণ ব্যস্ত অভিনেত্রী হতে চাই, যার সারাটা বছর কাজ নিয়ে কেটে যাবে। এখন আমার মূল উদ্দেশ্য নিজের কাজে ফোকাস করা। এছাড়া ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এখন চিন্তা করার সময় নেই।” 

কলকাতার মডেল ও টিভি অভিনেত্রী ইধিকা পাল। নৃত্যশিল্পী হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘কপালকুণ্ডলা’। স্টার জলসায় প্রচারিত এ ধারাবাহিকে ‘পদ্মাবতী’ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। 

পরবর্তীতে ‘রিমলি’ ধারাবাহিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। তা ছাড়াও দুটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইধিকা। তবে ২০২৩ সালে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি তারকা বনে গিয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

গত বছর ‘খাদান’ সিনেমার মাধ্যমে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় অভিষেক ঘটে ইধিকার। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন টলিউড সুপারস্টার দেব। এরপর একই নায়কের বিপরীতে ‘রঘু ঢাকাত’ সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে ‘প্রজাপতি টু’ ও ‘কবি’ নামে দুটো সিনেমার কাজ এখন ইধিকার হাতে রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘মার্চ টু যমুনা’র জন্য প্রস্তুত শিক্ষকরা 

বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়াসহ তিন দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হয়েছেন সারা দেশ থেকে আসা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এসব দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যেতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে শহীদ মিনারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষকরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে অবস্থান করছেন এবং স্লোগানে মুখর করে তুলেছেন চারপাশ। মূল বেদির নিচে শিক্ষক নেতারা বক্তব্য রাখছেন।

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে যমুনার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। দাবি পূরণ না হলে তারা আমরণ অনশনেও যেতে প্রস্তুত।

খুলনার একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে জাতিকে শিক্ষা দেন। কিন্তু, তারা আজ বঞ্চিত। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ