রাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় জুবেরী ভবনের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ভোটকেন্দ্রের অবস্থা এখন পর্যন্ত ভাল দেখছি। আমরা কারো প্রতি কোন অভিযোগ দিচ্ছি না। তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কোন অনিয়ম দেখলে আমরা সাথে সাথে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করব।”

আরো পড়ুন:

২৫ বাসে ছয় ধাপে ক্যাম্পাসে আসছেন শিক্ষার্থীরা

রাকসুতে ৭০ শতাংশ ভোটারের আশা উপাচার্যের

মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এই নির্বাচন হচ্ছে। এটাকে দীর্ঘ সময় বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের ভোটের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। আজ ভোট দিয়ে যে আনন্দ পেয়েছি, তা আর জীবনে কখনও পাইনি।”

তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি শিক্ষার্থীরা আমাদের ভোট দেবে। তারা আমাদের গ্রহণ করবে। তারা আমাদের নির্বাচিত করলে আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করব।

‘নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, তারা যেন সারাদিন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে। তারা যেন বিমাতাসুলভ আচরণ না করে। ডাকসু ও জাকসুতে কিছু ত্রুটি সামনে এসেছে। সেটা যেন এখানে না হয়।”

এসময় ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবিরের মতো ক্যাম্পাসে বহিরাগত না ঢোকার ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানিয়ে জাহিদ বলেন, “আমাদের অবস্থানও একই। ক্যাম্পাসে যেন কোনভাবেই বহিরাগত না প্রবেশ করে। ভোট গ্রহণ শেষে যেন সুন্দরভাবে ফল প্রকাশ করা হয়।”

এর আগে মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জুবেরী ভবনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘মার্চ টু যমুনা’র জন্য প্রস্তুত শিক্ষকরা 

বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়াসহ তিন দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হয়েছেন সারা দেশ থেকে আসা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এসব দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যেতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে শহীদ মিনারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষকরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে অবস্থান করছেন এবং স্লোগানে মুখর করে তুলেছেন চারপাশ। মূল বেদির নিচে শিক্ষক নেতারা বক্তব্য রাখছেন।

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে যমুনার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। দাবি পূরণ না হলে তারা আমরণ অনশনেও যেতে প্রস্তুত।

খুলনার একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে জাতিকে শিক্ষা দেন। কিন্তু, তারা আজ বঞ্চিত। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ