অন্তর্জালে অভিনয়শিল্পীদের, বিশেষ করে নায়িকারা প্রায়ই কটাক্ষের শিকার হন। বলিউড তারকাদের মধ্যে যাঁরা সবচেয়ে বেশি ট্রলের শিকার হন, ভূমি পেড়নেকর তাঁদের একজন। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

ভূমি পেড়নেকর যখন ‘দম লাগাকে হেইসা’ চলচ্চিত্র দিয়ে বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন, তখন তাঁর ওজন প্রায় ১০০ কেজি ছিল। সেই সময়ে ব্যতিক্রমী লুক আর অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। সেখান থেকে তিনি ফিটনেসের যাত্রা শুরু করেন। তবে ভূমি স্বীকার করেন, শারীরিক ইমেজ নিয়ে দ্বিধা আসলে কখনো পুরোপুরি যায় না।

ভূমি পেড়নেকরের রূপান্তর
সাক্ষাৎকারে ভূমি তাঁর শারীরিক পরিবর্তনের কথা জানান। বলেন, এই বদল কেবল পর্দার নয়, বাস্তব জীবনেও। স্বীকার করেন, তিনি এখনো একটি চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চেষ্টা করছেন ট্রল থেকে নিজেদের দূরে রাখতে।
ভূমি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা কখনোই পুরোপুরি ঠিক হয় না (ট্রল)।’ এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘কারণ, আমরা এমন পরিবেশে বড় হয়েছি, যেখানে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু আপনাকে নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হবে, সেটা একটি প্রক্রিয়া।’

ভূমি পেড়নেকর যখন ‘দম লাগাকে হেইসা’ চলচ্চিত্র দিয়ে বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন, তখন তাঁর ওজন প্রায় ১০০ কেজি ছিল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাত কলেজ নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিষয়টি উদ্বেগজনক: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, “সাত কলেজকে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ও ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় দ্বিধা তৈরি করছে।”

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা সচিব রেহেনা পারভীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কুবিতে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন ছাত্রদল নেতা

‘সাজিদ হত্যার ৯০তম দিন, এরপর কি আমি?’

তিনি বলেন, “বিভিন্ন গ্রুপে গুজব ছড়ানো মোটেও কল্যাণকর নয়।”

তিনি আরও জানান, “উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া বিবেচনায়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বে সিরিজ সভা ও মন্ত্রণালয়ের নিবিড় উদ্যোগের মাধ্যমে পরিকল্পনাটি এগোয়। ইতিমধ্যে অনলাইনে প্রায় ৪,৫০০ মতামত সংগৃহীত হয়েছে এবং বিভিন্ন লিখিত মন্তব্যও পাওয়া গেছে। এগুলো মন্ত্রণালয়ের ১২ সদস্য যাচাই করছেন।”

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় আমরা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে আছি। আশা করছি, আগামী ২০, ২১ ও ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভায় এই বিষয়গুলো উপস্থাপন ও আলোচনার মাধ্যমে ড্রাফট তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।”

ড. আবরার বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “যতটা সম্ভব নিয়ম, নীতি এবং উৎসাহের মধ্য দিয়ে আমরা এগোচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।”

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ