ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সরাসরি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ‘স্থগিত’ রাখার প্রস্তাব দিলে বৈঠকের এ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

কার্যত দুই পক্ষের মধ্যে শিগগির কোনো বৈঠক হচ্ছে না, এমন ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনো অর্থহীন বৈঠক চাই না। আমি সময় নষ্ট করতে চাই না। আমি দেখব কী হয়।’

রাশিয়া ৪২ মাস ধরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এ যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনার সর্বশেষ প্রচেষ্টা ভেস্তে যাওয়ার দুই মাস আগে গত আগস্টে ট্রাম্প ও পুতিন আলাস্কা বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। ওই বৈঠক থেকে কোনো ফলাফল আসেনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় ও প্রাণঘাতী এই যুদ্ধে দুই পক্ষের হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আবারও আলোচনার পরিকল্পনা কেন ভেস্তে গেল? কী করলে রাশিয়া যুদ্ধ থামাবে?

গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে তাঁর ‘মাত্র ২৪ ঘণ্টা’ লাগবে। কিন্তু এর এক বছরের বেশি সময় পর ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার ১০ মাস পর এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়ছেন।রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের সর্বশেষ প্রস্তাব কী

গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে তাঁর ‘মাত্র ২৪ ঘণ্টা’ লাগবে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর প্রায় এক বছর হতে চললেও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়ছেন।

যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র হতে হবে এবং যুদ্ধ চলাকালে রাশিয়া যেসব ভূখণ্ড দখল করেছে, তা রাশিয়ারই থাকবে। তবে ইউক্রেন তাদের কোনো ভূখণ্ড ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ট্রাম্প দুই পক্ষকে তাদের অবস্থান থেকে সরাতে পারেননি।

গত রোববার ট্রাম্প বলেন, ভবিষ্যৎ আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ ভূখণ্ডসংক্রান্ত সমস্যার বিস্তারিত সমাধান করতে পারে। তবে আপাতত রাশিয়া যেন রণাঙ্গনে লড়াই স্থগিত রাখে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রণাঙ্গনে তাদের এখনই থামা উচিত, বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত, মানুষ হত্যা বন্ধ করা উচিত এবং যুদ্ধ শেষ করা উচিত।’

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ য দ ধ বন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

যে ৭ কারণে প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়

১.

প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার ক্ষেত্রে পুরোনো অনুভূতি ফিরে ফিরে আসার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। দুই পক্ষের যেকোনো এক পক্ষ যদি দুর্বল হয়ে যান, তাহলে তাঁদের উভয়ের বর্তমান সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়ে। অযথা সন্দেহ ও ঝামেলা তৈরি হয়।

২.

প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার সময় আপনি নিজের অবচেতন মনেই বর্তমান সঙ্গীর সঙ্গে তাঁর তুলনা করে ফেলেন। এটা আপনার বর্তমান সম্পর্কে জটিলতা তৈরি করে।

৩.

প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব আপনার বর্তমান সঙ্গীর মনে ঈর্ষা ও সন্দেহের সৃষ্টি করতে পারে।

আরও পড়ুনপ্রাক্তন মানেই কি প্রতিপক্ষ?২১ সেপ্টেম্বর ২০২২৪.

যথেষ্ট বিরতি না নিয়ে প্রক্তনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আপনাকে জীবনে সামনে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়। ক্রমাগত অতীতে টেনে নিয়ে যায়। পুরোনো স্মৃতি ভোলা কঠিন হয়ে পড়ে। অতীত ঝেড়ে মানসিকভাবে সামনে এগোনোর পথে ‘মেন্টাল ব্লক’ সৃষ্টি করে।

সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের ‘মেট্রো...ইন দিনো’ সিনেমার প্রচারণামূলক একটি অনুষ্ঠানে এ সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের কাছে একজন প্রশ্ন করেন, ‘আমি আমার প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাই। কিন্তু আমার বর্তমান প্রেমিকের তা পছন্দ নয়। এটা কি রেড ফ্ল্যাগ নয়?’ এ প্রশ্নের উত্তর দেন বলিউডের নামকরা অভিনেতা অনুপম খের বলেন— ঈর্ষার অনুভূতির সঙ্গে শরীর ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। আপনি যখন আপনার প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন, তখন আপনার বর্তমান সঙ্গী আপনার প্রাক্তনকে নিয়ে নানান কল্পনা করেন। এর ভেতর আছে শারীরিক স্পর্শ। এটা তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যা আপনাদের বর্তমান সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। এটা ভালো না খারাপ, সেই আলাপে যাব না। তবে এটা মানুষের, বিশেষ করে পুরুষের একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তাই প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিজের বর্তমান সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলার প্রয়োজন কী! অন্য কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন।অনুপম খের, ভারতীয় অভিনেতা৫.

প্রাক্তনের সঙ্গে কেন বন্ধুত্ব রাখতে চান? যদি নিজের আবেগ-অনুভূতি তাঁর সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান, তাহলে আপনার এ অভ্যাস আপনার সাময়িক ‘ডোপামিন রাশ’ করলেও দীর্ঘ মেয়াদে তা আপনাকে মানসিকভাবে ক্লান্ত ও দুর্বল করে দিতে পারে।

আরও পড়ুনপ্রাক্তন ফিরতে চাইছেন, এখন কী করবেন২৯ আগস্ট ২০২৪৬.

দুজনের সম্পর্কে একজন যদি নিছক বন্ধুত্বই চালিয়ে যেতে চান আর অন্যজন যদি পুরোনো সম্পর্ক ফিরিয়ে আনতে চান, সেখানে তৈরি হয় জটিলতা। আবার মনে করুন, একজন নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন, অন্যজন সিঙ্গেলই আছেন, তাঁর জন্য বন্ধুত্ব চালিয়ে যাওয়া, প্রাক্তন সঙ্গীর নতুন কাপল ছবিতে লাভ রিঅ্যাক্ট দেওয়া সহজ নয়!

৭.

সাধারণত প্রেম বা ভালোবাসার সম্পর্ক যখন শেষ হয়ে যায়, খুব কম ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অবশিষ্ট থাকে। যেখানে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা নেই, সেখানে নতুন করে বন্ধুত্বের বীজ বুনতে যাওয়া বোকামি নয় কি? এতে আবারও নতুন করে তিক্ততা ও মানসিকভাবে নিঃশেষ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অবশ্য আপনারা উভয়েই যদি সবকিছু পেছনে ফেলে নতুন করে প্রাক্তনের কাছেই ফিরে যেতে চান, বন্ধুত্ব হতে পারে তার প্রথম ধাপ।

সূত্র: দ্য আর্ট অব লাভ উইথ লুসিয়া ও ইনস্টাইল ডটকম

আরও পড়ুনপ্রাক্তন পিছু ছাড়ছেই না?০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ