ট্রাম্প–পুতিনের বৈঠক কেন ভেস্তে গেল, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎই–বা কী
Published: 23rd, October 2025 GMT
ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সরাসরি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ‘স্থগিত’ রাখার প্রস্তাব দিলে বৈঠকের এ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
কার্যত দুই পক্ষের মধ্যে শিগগির কোনো বৈঠক হচ্ছে না, এমন ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনো অর্থহীন বৈঠক চাই না। আমি সময় নষ্ট করতে চাই না। আমি দেখব কী হয়।’
রাশিয়া ৪২ মাস ধরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এ যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনার সর্বশেষ প্রচেষ্টা ভেস্তে যাওয়ার দুই মাস আগে গত আগস্টে ট্রাম্প ও পুতিন আলাস্কা বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। ওই বৈঠক থেকে কোনো ফলাফল আসেনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় ও প্রাণঘাতী এই যুদ্ধে দুই পক্ষের হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আবারও আলোচনার পরিকল্পনা কেন ভেস্তে গেল? কী করলে রাশিয়া যুদ্ধ থামাবে?
গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে তাঁর ‘মাত্র ২৪ ঘণ্টা’ লাগবে। কিন্তু এর এক বছরের বেশি সময় পর ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার ১০ মাস পর এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়ছেন।রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের সর্বশেষ প্রস্তাব কীগত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে তাঁর ‘মাত্র ২৪ ঘণ্টা’ লাগবে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর প্রায় এক বছর হতে চললেও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়ছেন।
যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র হতে হবে এবং যুদ্ধ চলাকালে রাশিয়া যেসব ভূখণ্ড দখল করেছে, তা রাশিয়ারই থাকবে। তবে ইউক্রেন তাদের কোনো ভূখণ্ড ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ট্রাম্প দুই পক্ষকে তাদের অবস্থান থেকে সরাতে পারেননি।
গত রোববার ট্রাম্প বলেন, ভবিষ্যৎ আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ ভূখণ্ডসংক্রান্ত সমস্যার বিস্তারিত সমাধান করতে পারে। তবে আপাতত রাশিয়া যেন রণাঙ্গনে লড়াই স্থগিত রাখে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রণাঙ্গনে তাদের এখনই থামা উচিত, বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত, মানুষ হত্যা বন্ধ করা উচিত এবং যুদ্ধ শেষ করা উচিত।’
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ য দ ধ বন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
উপন্যাস ‘মোকাম সদরঘাট’ নিয়ে বুকটক
কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার রচিত উপন্যাস ‘মোকাম সদরঘাট’ নিয়ে আলোচনা সভা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) সন্ধ্যায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গলবুকসের উদ্যোগে রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
তিন গোয়েন্দা সিরিজের স্রষ্টা রকিব হাসান মারা গেছেন
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই
আলোচনায় অংশ নিয়ে গবেষক ও প্রাবন্ধিক ফাল্গুনী তানিয়া বলেন, “বইটি আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। বড় প্রেক্ষাপটের দীর্ঘ উপন্যাস লেখকের শক্তিমত্তা যেমন প্রকাশ করেছে, তৈরি করেছে নতুন আরো প্রত্যাশা। তার কাছে এমন দীর্ঘ আর শক্তিশালী লেখা পাঠক হিসেবে আমরা আরো চাই। সত্যিকার অর্থে বইয়ের পাঠ এবং দর্শন দুটোই আমাকে আনন্দ দিয়েছে।”
আলোচক সোহানুজ্জামান বলেন, “বইটির পরতে পরতে লেগে আছে এমন সব অভিজ্ঞতা যা আমরা সবসময় দেখি। কিন্তু দেখেও যেন দেখি না। সেসব অভিজ্ঞতা অম্লমধুর রস মিশিয়ে লেখক প্রকাশ করেছেন। যা পাঠককে মোহিত করে, আনন্দিত করে, সংগ্রামের শক্তি যোগায়। লেখকের কাছে এই উপন্যাসের পর প্রত্যাশার পারদ আরো বহুগুণ বেড়ে গেছে। কামনা করি তার এই বিজয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক।”
উপন্যাসটির লেখক মনি হায়দার বলেন, “আবির হাসান আর তারিন আখতারের পথ এসে মিলিত হয়েছে ঢাকার সদরঘাটে, অজস্র যাত্রীদের পায়ের চিহ্ন ধরে হাঁটতে হাঁটতে। প্রতি দিনের হাজার হাজার মানুষের পদযাত্রায় সামিল হয়েছে শিমুল আহসান আর মিলি মাহজাবীন সেই মোকাম সদরঘাট-এ। সঙ্গে সংগ্রামমুখর অজস্র চরিত্র-সবাই ছুটছে জীবনের সন্ধানে, প্রতিষ্ঠার সোপানে ক্ষতবিক্ষত পা রাখতে। নদীপথের জীবন ও জীবিকা, যাত্রী ও লঞ্চ সম্পর্কে বাংলা ভাষায় এক অনবদ্য উপন্যাস ‘মোকাম সদরঘাট’। এছাড়া বইটি নান্দনিকরূপে পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বেঙ্গলবুকসের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক আজহার ফরহাদকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাতে চাই বেঙ্গলবুকস টিমকে, তাদের প্রত্যেকের শ্রমের ছোঁয়া লেগে আছে আমার উপন্যাস ‘মোকাম সদরঘাট’-এর প্রতিটি পৃষ্ঠায়।”
সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব, লেখক ও অনুবাদক খায়রুল আলম সবুজ, রফিকুর রশীদ, ড. তপন বাগচী, সরকার আব্দুল মান্নান, ফয়সাল আহমেদ, আশফাকুজ্জামান, আঁখি সিদ্দিকা।
ঢাকা/সাইফ