র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মো. হারুন অর রশিদ, তাঁর স্ত্রী ফাতেহা পারভীন ও দুই মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হারুন অর রশিদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানের বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো.

ইমরান আকন। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ১ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশের ভেতরে পলাতক রয়েছেন। তাঁরা যেকোনো সময় দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন। তাঁরা পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে

ভারতের বিহার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। রাজ্যের ১২১টি আসনে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত ৬০ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

নির্বাচনে এক হাজারের বেশি প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করছেন। নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার অভিযোগ করেছেন, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সমর্থকেরা তাঁর ওপর হামলা করেছেন।

আরজেডি নেতা ও লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব রাঘোপুর আসনে হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্যে লড়ছেন এনডিএ প্রার্থী সতীশ কুমার (বিজেপি) এবং জন সুরাজ পার্টির (জেএসপি) চঞ্চল কুমারের বিরুদ্ধে।

স্বতন্ত্র বিধায়ক ও বিহারের সাবেক মন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদব বৈশালী জেলার মহুয়া আসন থেকে লড়ছেন আরজেডির বর্তমান বিধায়ক মুকেশ কুমার রৌশন এবং এলজেপির সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধে।

বিহার দখলে রাখতে নীতীশ কুমারের জেডিইউ, নরেন্দ্র মোদির বিজেপি, চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি-রামবিলাস), জিতনরাম মাঞ্জির হিন্দুস্তান আওয়ামী মোর্চা (হাম) এবং উপেন্দ্র কুশওয়ার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা জোটবদ্ধ। তারা সবাই এনডিএর শরিক।

নির্বাচনে বিজেপি ও জেডিইউ ১০১টি করে আসনে লড়াই করছে। এলজেপি ২৯টি আসনে, জিতনরাম ও উপেন্দ্র কুশওয়ারা ৬টি করে আসনে।

বিহারে কংগ্রেসকে এবার গতবারের তুলনায় কম আসন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। ২০২০ সালের ভোটে কংগ্রেস ৭০টি আসনে লড়ে জিতেছিল মাত্র ১৯টিতে। তাদের তুলনায় সিপিআই (এমএল) এর ফল খুবই ভালো হয়েছিল। এবার তারা বেশি আসন পেতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ