সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান: স্বরাষ্ট্র উপদে
Published: 11th, November 2025 GMT
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন কোনো সন্দেহভাজনকে কাউকে দেখলে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে ‘কারাগার ঘোষণা’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন নিয়ে সতর্ক আছে সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত অবস্থানে আছে, কোনো ধরনের আশঙ্কার কারণ নেই। কোনো ধরনের সন্ত্রাস সহ্য করা হবে না। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন।”
তিনি বলেন, “লকডাউন ঘিরে পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। রাস্তার ধারে পেট্রোল বেচা যাবে না। এগুলো দিয়ে অঘটন ঘটানো হয়।”
তিনি আরো বলেন, “কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে বাহিনীর সঙ্গে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্দেহভাজনদের দেখলে ধরিয়ে দেবেন। এটা আইন হাতে তুলে নেওয়ার মতো বিষয় না।”
এ সময় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান আরো বেগবান করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ উপদ ষ ট ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনার আশপাশে ১ লাখ গ্যাস বেলুন ওড়ানোর পরিকল্পনা, গ্রেপ্তার ২৫
নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের স্লোগান–সংবলিত এক লাখ গ্যাস বেলুন উড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার পরিকল্পনার অভিযোগে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে ডিএমপির মুখপত্র ডিএমপি নিউজেও খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের এসব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা রাজধানী ঢাকায় ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। এ ছাড়া ১০-১২ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার আশপাশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের স্লোগান–সংবলিত এক লাখ গ্যাস বেলুন ওড়ানোর পরিকল্পনা করছিলেন।
ডিবির মিরপুর বিভাগ তিনজন, রমনা বিভাগ তিনজন, সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ দুজন, মতিঝিল বিভাগ চারজন, ওয়ারী বিভাগ পাঁচ জন, উত্তরা বিভাগ দুজন, তেজগাঁও বিভাগ দুজন, লালবাগ বিভাগ তিনজন ও গুলশান বিভাগ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবি সূত্রের বরাত দিয়ে ডিএমপি নিউজ লিখেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নাশকতা প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নওপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি রূপচান ব্যাপারী; ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও গুলবাগ ১২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবরার খান তাহমিদ ওরফে তাহমিদ আশরাফ (২২); নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রায়হান খান আজাদ (২৭); শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এ বি এম নুরুল হক ওরফে ছোটন চৌধুরী (৬৯); শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাবলু; ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন খোকন (৭০); মিরপুর মডেল থানা আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া; ভাষানটেক থানা যুবলীগের সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম ওরফে আহমাদ আলী (৪০); মোহাম্মদপুর থানার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাবেক সহসভাপতি ম. জসিম ওরফে বিল্লাল; ঢাকা মহানগর গেন্ডারিয়া থানা মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুব রহমান (৫৫); শ্যামপুর থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪০); কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম (৪০); আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহজালাল (৩৮); ঢাকার রায়েরবাগ ইউনিট যুবলীগের সেক্রেটারি মো. দেলোয়ার হোসেন ওরফে পলাশ; শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার ডিংগামানিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস সরদার (৪৫); ঢাকার পল্টন থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আকবর হোসেন (৫২); পল্টন থানা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আবু সাঈদ (৫৬); নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সামছুদ্দিন আহমেদ সেলিম (৬২); হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন রেহান (৫১); আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সহসম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন প্রিন্স (৪৩); সিলেট মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম পারভীন; ঢাকা মহানগর উত্তর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির সরকার ওরফে গলাকাটা নাছির (৫৪); নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা শ্রমিক লীগের সদস্য আলী হোসেন (৩১); কুমিল্লা জেলার ৬ নম্বর নিকলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক খন্দকার (৫২) এবং বরগুনা জেলার তালতলী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান কামাল (৪২)।