ঢাকার রাস্তাঘাটই এখন আমার র্যাম্প, বললেন ক্ষুব্ধ পিয়া
Published: 21st, May 2025 GMT
আজ আন্দোলন এদিকে, কাল ওদিকে— ঢাকা যেন এখন নিয়মিত প্রতিবাদের শহর। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজট, আর সেই জটের গ্যাঁড়াকলে আটকে পড়ে সাধারণ মানুষের জীবন। এই অস্থির নগরবাস্তবতা নিয়ে মুখ খুললেন মডেল-অভিনেত্রী, উপস্থাপক ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরই সক্রিয় পিয়া। নানা সামাজিক ইস্যুতে নিজের মত প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না। বুধবার (২১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, “ঢাকায় সবসময়ই ভয়ংকর ট্রাফিক থাকে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য অনেকবার ভাবতে হয়, কারণ রাস্তায় এত জ্যাম যে সময়ের হিসাব রাখা যায় না। এখন তো পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ! নানা আন্দোলনের কারণে বেশিরভাগ রাস্তাই বন্ধ।”
তবে পিয়ার এই পোস্টের একটি বাক্য সবচেয়ে বেশি চোখে লেগেছে নেটিজেনদের। এ অভিনেত্রী লেখেন— “আমার র্যাম্প এখন যেন পুরো ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট!”
আরো পড়ুন:
শিল্পীদের নিরাপত্তা, মর্যাদার দাবিতে অভিনয়শিল্পী সংঘের বিবৃতি
ক্ষমা চাইলেন শামীম হাসান-প্রিয়াঙ্কা
পেশায় মডেল হলেও, এখন যেন রাস্তায় হাঁটাই তার নিয়মিত চর্চা। এ অভিনেত্রী লেখেন, “রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকাই যেন আমাদের কাজ হয়ে গেছে। গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। আগে তো বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হতাম। এখন একটা জায়গায় পৌঁছাতে গেলে প্রথমে গাড়িতে উঠি, তারপর হেঁটে চলি, এরপর রিকশায় উঠি, তারপর আবার কোথাও বাইক নেই, আর শেষমেশ আবার হাঁটি।”
তার কথায় ফুটে উঠেছে শহুরে জীবনের চিরচেনা অথচ ক্লান্তিকর চিত্র। তিনি লেখেন, “ঠিকমতো কোথাও পৌঁছানোই যাচ্ছে না, কাজ করব কীভাবে? কাজের থেকে এখন বড় সংগ্রাম একটা জায়গায় পৌঁছানো! কাজের আগে এত স্ট্রাগল করে যখন পৌঁছাই, তখন কাজটা মন দিয়ে করাটাই কঠিন হয়ে পড়ে।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ