আজ আন্দোলন এদিকে, কাল ওদিকে— ঢাকা যেন এখন নিয়মিত প্রতিবাদের শহর। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজট, আর সেই জটের গ্যাঁড়াকলে আটকে পড়ে সাধারণ মানুষের জীবন। এই অস্থির নগরবাস্তবতা নিয়ে মুখ খুললেন মডেল-অভিনেত্রী, উপস্থাপক ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরই সক্রিয় পিয়া। নানা সামাজিক ইস্যুতে নিজের মত প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না। বুধবার (২১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, “ঢাকায় সবসময়ই ভয়ংকর ট্রাফিক থাকে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য অনেকবার ভাবতে হয়, কারণ রাস্তায় এত জ্যাম যে সময়ের হিসাব রাখা যায় না। এখন তো পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ! নানা আন্দোলনের কারণে বেশিরভাগ রাস্তাই বন্ধ।”

তবে পিয়ার এই পোস্টের একটি বাক্য সবচেয়ে বেশি চোখে লেগেছে নেটিজেনদের। এ অভিনেত্রী লেখেন— “আমার র‍্যাম্প এখন যেন পুরো ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট!”  

আরো পড়ুন:

শিল্পীদের নিরাপত্তা, মর্যাদার দাবিতে অভিনয়শিল্পী সংঘের বিবৃতি

ক্ষমা চাইলেন শামীম হাসান-প্রিয়াঙ্কা

পেশায় মডেল হলেও, এখন যেন রাস্তায় হাঁটাই তার নিয়মিত চর্চা। এ অভিনেত্রী লেখেন, “রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকাই যেন আমাদের কাজ হয়ে গেছে। গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। আগে তো বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হতাম। এখন একটা জায়গায় পৌঁছাতে গেলে প্রথমে গাড়িতে উঠি, তারপর হেঁটে চলি, এরপর রিকশায় উঠি, তারপর আবার কোথাও বাইক নেই, আর শেষমেশ আবার হাঁটি।”

তার কথায় ফুটে উঠেছে শহুরে জীবনের চিরচেনা অথচ ক্লান্তিকর চিত্র। তিনি লেখেন, “ঠিকমতো কোথাও পৌঁছানোই যাচ্ছে না, কাজ করব কীভাবে? কাজের থেকে এখন বড় সংগ্রাম একটা জায়গায় পৌঁছানো! কাজের আগে এত স্ট্রাগল করে যখন পৌঁছাই, তখন কাজটা মন দিয়ে করাটাই কঠিন হয়ে পড়ে।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে নারী নির্যাতন: রিমান্ড শেষে চার আসামিকে আদালতে তোলা হবে আজ

কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণ কাণ্ডে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ৪ আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হবে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ওই দিন ভুক্তভোগী নারীকে ঘরের ভেতর আটকে নির্যাতন ও ভিডিও ভাইরাল করার বিষয়ে তারা বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আগেই কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান। তবে মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘রিমান্ডে ঘটনার সময় নির্যাতন ও ভিডিওকারীদের নাম প্রকাশ করেছেন আসামিরা।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হকের আদালতে চারজনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মুরাদনগর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। আদালত ৪ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন– রমজান, মোহাম্মদ আলী সুমন, মো. আরিফ ও মো. অনিক। 

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান গতকাল সমকালকে বলেন, রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। একই মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি ও ঘটনার পরিকল্পনাকারী শাহ পরানের রিমান্ড শুনানি হবে বুধবার। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ