বারবার স্থান বদলেও রক্ষা হচ্ছে না পানপট্টি লঞ্চঘাট
Published: 12th, January 2025 GMT
দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি লঞ্চঘাট। রাঙ্গাবালী উপজেলার ছয় ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ এ ঘাট দিয়ে জেলা সদর ও গলাচিপায় যাতায়াত করেন। এ দুই উপজেলায় যাতায়াতে এটিই একমাত্র পথ। আগুনমুখা ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদের ভাঙনে জনগুরুত্বপূর্ণ এ ঘাটটির অস্তিত্ব এখন হুমকির সম্মুখীন। এরই মধ্যে ঘাটের ৫০০ মিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। দফায় দফায় স্থান পরিবর্তন করেও রক্ষা করা যাচ্ছে না ঘাটটি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শানু সিকদার বলেন, এক সরকার যায়, আরেক সরকার আসে। সবাই ঘাট সংস্কারের আশ্বাস দেয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। নতুন সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি, মজবুত পাইলিং করে ভাঙনরোধ করা হোক।
পানপট্টি লঞ্চঘাট দিয়ে প্রতিদিন লঞ্চ, ট্রলার ও স্পিডবোটে শত শত মানুষ রাঙ্গাবালী উপজেলার ছয় ইউনিয়ন, জেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা গলাচিপায় যাতায়াত করেন। অব্যাহত ভাঙনে অর্ধশত বছরের পুরোনো লঞ্চঘাটটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দফায় দফায় স্থান বদল করা হলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে লঞ্চঘাটের শতাধিক দোকান, সংলগ্ন ঘরবাড়িসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। এরই মধ্যে ঘাটটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। মজবুত ব্লক দিয়ে অর্ধশত বছরের পুরোনো এ লঞ্চঘাটটি রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই আগুনমুখা ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যায়। বিলীন হয় রাস্তাঘাট, হাটবাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। রক্ষা পায় না ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ। গত পাঁচ বছরে লঞ্চঘাটের অর্ধ কিলোমিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দফায় দফায় সরাতে হয়েছে পন্টুন, স্থানীয় দোকানপাট ও বাড়িঘর। ভাঙনের কারণে কৃষি জমি, বসতভিটা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে নিঃস্ব এলাকার কয়েকশ পরিবার।
পানপট্টি লঞ্চঘাটের ব্যবসায়ী সাবু হাওলাদার বলেন, নদী ভাঙনে লঞ্চঘাটের অস্তিত্ব এখন হুমকির সম্মুখীন। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি– মজবুত পাইলিং করে লঞ্চঘাটটি রক্ষা করা হোক। লঞ্চঘাটটি না টিকলে দোকান থাকবে না। ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন জানান, পানপট্টি লঞ্চঘাট এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙনরোধে ক্লাইমেট স্মার্ট নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ব্লক দিয়ে ভাঙনরোধ করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ