মেলান্দহে আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, তিন ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা
Published: 14th, January 2025 GMT
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে মেলান্দহ উপজেলার ফুলতলা এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনটির বিকল হয়ে যায়। তিন ঘণ্টা পর উদ্ধারকারী ইঞ্জিনের মাধ্যমে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
মেলান্দহ রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেলা তিনটার দিকে ট্রেনটি মেলান্দহের ফুলতলা এলাকায় পৌঁছালে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে ময়মনসিংহ থেকে একটি উদ্ধারকারী ইঞ্জিন এসে ট্রেনটি মেলান্দহ স্টেশনে আনে। বিকল ইঞ্জিনটিও মেলান্দহ রেলস্টেশনে আনা হয়। পরে প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মেলান্দহ স্টেশন থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। তিন ঘণ্টা ট্রেন বিলম্বে যাত্রা করায় জামালপুর, মেলান্দহ ও পিয়ারপুর স্টেশনের শত শত যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন।
মেলান্দহ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শেখ উজ্জ্বল মাহমুদ বলেন, দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছাড়ার পর মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ স্টেশন অতিক্রম করে ফুলতলা এলাকায় ট্রেনের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। এতে ইঞ্জিনটি বন্ধ হয়ে যায়। কোনোভাবেই ইঞ্জিনটি ঠিক না হওয়ায় ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিনের জন্য খবর দেওয়া হয়। সেই ইঞ্জিনের মাধ্যমে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ট্রেনটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।