দ্রুত নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অসম্ভব : রেজাউল করিম
Published: 17th, January 2025 GMT
বিএনপির সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেছেন, দ্রুত নির্বাচন ছাড়া কোন ভাবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে না। দলীয় সরকার ছাড়া দেশে চলমান অস্থিরতা দূর করা অসম্ভব। তাই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উচিত হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেয়া।
শুক্রবার সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী এলাকায় শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে সাবধানে পথ চলতে হবে যদি কোন ভুল করে তবে করা মাসুল দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপি নেতা মতিউর রহমান মতির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক জাকারিয়া ভূঁইয়া প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। পরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।