Samakal:
2025-06-15@23:24:19 GMT

বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর সাফল্য

Published: 18th, January 2025 GMT

বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর সাফল্য

এহসান হক। বিজ্ঞানী ও গবেষক। তিনি দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানসূচক প্রেসিডেন্সিয়াল পদক ‘প্রেসিডেন্সিয়াল আর্লি ক্যারিয়ার অ্যাওয়ার্ড ফর সায়েন্টিস্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স’ অর্জন করেছেন। ১৪ জানুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৫ সালে এ পদকে সম্মানিত ৪০০ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীর নাম ঘোষণা করে হোয়াইট হাউস। লাল-সবুজের এই তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষককে নিয়ে লিখেছেন জসীম উদ্দিন আকাশ
যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানসূচক পদক ‘প্রেসিডেন্সিয়াল আর্লি ক্যারিয়ার অ্যাওয়ার্ড ফর সায়েন্টিস্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স’ অর্জন করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষক এহসান হক। ১৪ জানুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চলতি বছর এ পদকে সম্মানিত ৪০০ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীর নাম ঘোষণা করে হোয়াইট হাউস। দ্বিতীয় বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে এ পদক পাচ্ছেন এহসান হক। এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশি কম্পিউটার বিজ্ঞানী সাঈফ সালাহউদ্দিন এ পদক অর্জন করেছিলেন। নির্বাচিত বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস থেকে শিগগিরই এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এখনও পুরস্কার তুলে দেওয়ার দিন-তারিখ জানানো হয়নি।
একটু পেছনে ফিরে…
১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অসাধারণ সম্ভাবনাময় বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের সম্মান জানাতে এ পদক চালু করেন। হোয়াইট হাউসের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এ পুরস্কারের লক্ষ্য হলো উদ্ভাবনী এবং সুদূরপ্রসারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের স্বীকৃতি প্রদান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ক্যারিয়ার সচেতনতা বাড়ানো এবং ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্বকে তুলে ধরা। দ্বিতীয় বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে এ পদক পাচ্ছেন এহসান হক। ২০১৬ সালে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে এ পদক পান কম্পিউটার বিজ্ঞানী সাঈফ সালাহউদ্দিন। 
যে গবেষণায় এলো সাফল্য 
মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স–এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন। বিশেষ করে স্নায়ুরোগ, ক্যান্সার, অটিজম ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির জন্য এ সম্মাননা পেয়েছেন। 
বর্তমান ব্যস্ততা
সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশি এ বিজ্ঞানী ও গবেষক। এর আগে তিনি সৌদি আরবের জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সৌদি সরকারের তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাকেন্দ্র–সৌদি ডেটা অ্যান্ড এআই অথরিটি বা সাডায়ায়ও কাজ করেছেন এহসান হক।
জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে
১৯৮১ সালে পুরান ঢাকায় জন্ম এহসান হকের। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার উদয়ন স্কুলে। এরপর ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। এ কলেজের সায়েন্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এহসান হক। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকের পাট চুকিয়ে স্নাতকের জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। ভর্তি হন পেন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করে ২০০৭ সালে মাস্টার্স করেন ইউনিভার্সিটি অব মেমফিস থেকে। এরপর ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এমআইটির মিডিয়া ল্যাব থেকে পিএইচডি ও গবেষণা সম্পন্ন করেন। 
মায়ের অনুপ্রেরণা
নিজের উঠে আসা এবং সাফল্যের জন্য মাকে অনুসরণীয় মনে করেন এ বিজ্ঞানী ও গবেষক। তাঁর মা সমাজের বিভিন্ন ধরনের কানাঘুষা উপেক্ষা করে পড়াশোনাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সন্তানদের অনুপ্রাণিত করেছেন। পুরান ঢাকার ছোট্ট গলিতে ১৪ বছরের নববধূ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বড় স্বপ্ন দেখতে পিছপা হননি কখনও। মা অকালে চলে গেলেও মায়ের স্বপ্নগুলো রয়ে গেছে সন্তানদের মাঝে। 
আজ যদি মা বেঁচে থাকতেন!
এইচএসসির পর দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনার জন্য মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবরণী একসঙ্গে পড়তেন। মা-ই তাঁকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কথা ভাবতে বলেন। 
এত প্রতিষ্ঠান থাকতে এই বিশ্ববিদ্যালয় কেন? মায়ের কাছে জানতে চাইলে মা বলেন, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কন্যা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। যদি কোনোভাবে তাঁর সন্তানের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে, তাহলে হয়তো কোনো সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে দাওয়াত মিলতে পারে। একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্টের বাসায় বা অফিসে প্রবেশ করতে পারা যেন বিশাল ব্যাপার ছিল মায়ের কাছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সেই হোয়াইট হাউস থেকে সন্তান পেলো সর্বোচ্চ সম্মাননা। আহ, আজ যদি মা বেঁচে থাকতেন– এই আক্ষেপ সন্তানের! 
উদ্ভাবন ও অর্জন
এমআইটির মিডিয়া ল্যাব থেকে পিএইচডি ও গবেষণা সম্পন্ন করে উদ্ভাবন করেন ম্যাক ও লিসা নামের দুটি কম্পিউটার সিস্টেম। যেগুলো মুখভঙ্গি দেখে মানুষের কথা বুঝতে পারে। ২০১৬ সালে এমআইটি টেক রিভিউ ৩৫ বছরের কম বয়সী বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের একজন হিসেবে ভূষিত করে তাঁকে। ২০১৭ সালে সায়েন্স নিউজ তাঁকে ‘টেন সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ’ হিসেবে চিহ্নিত করে। এছাড়াও এহসান হক ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে গুগল ফ্যাকাল্টি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব মেডিসিন তাঁকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একজন উদীয়মান পথপ্রদর্শক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য কর ছ ন এ পদক

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি মাসের ১৫ দিনে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু

দেশে আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তাঁর বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ঢাকায় সরকারি একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে দেশে ৫ জুন একজন ও ১৩ জুন ২ জনের মৃত্যু হয়। শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০৩।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জনের কাছ থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৬টি নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩।

একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন চারজন। তাঁদের নিয়ে এ পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০-এ দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুনসরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ছিল বেশি ১০ ঘণ্টা আগে

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। করোনায় প্রথম মৃত্যুর কথা জানা যায় ওই বছরের ১৮ মার্চ। এর তিন বছর পর ২০২৩ সালের মে মাসে করোনার কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। দ্রুত ছড়ানোর কারণে জেএন.১-কে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটিই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভেরিয়েন্টের উপধরন।

আরও পড়ুনকরোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা নির্দেশনা১১ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প
  • সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্ট হাউসের কক্ষে কক্ষে তল্লাশি, দম্পতির কাছে বিয়ের প্রমাণ দাবি
  • ডেঙ্গু-করোনায় দুই মৃত্যু, আক্রান্ত ২৭৫ জন
  • চলতি মাসের ১৫ দিনে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু
  • কোটার অধিনায়ক বাভুমা ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন
  • ‘রক্ত দিয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা আর অন্য কিছুতেই নেই’
  • সঞ্জয় তার বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটাতে আমাকে বাধ্য করেছিল: কারিশমা
  • ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিহত 
  • কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় মারা গেছেন
  • চট্টগ্রামে বন্য হাতির মৃত্যু ঠেকাতে বন বিভাগ আসলে কী করছে