অতি জরুরি সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়: জামায়াত
Published: 13th, February 2025 GMT
সংস্কার ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে নয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনসংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করেই তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার। এ সময় তিনি ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষা, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক’ এমন মন্তব্যও করেন।
এদিন সকালে জামায়াতের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় সিইসির সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার বলেন, ‘নো ইলেকশন উইদাউট রিফর্মস’ (সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়)।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কার নয়, শুধু নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব সুপারিশ অতি জরুরি, অন্তত নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত, সেগুলোর সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে জামায়াত ইসিকে নির্বাচনের কোনো দিন, মাস, ক্ষণ বেঁধে দেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক।
ইসির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জামায়াত নেতা বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। ইসির পক্ষ থেকেও কিছু বিষয় আমাদের জানানো হয়েছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
২৩ দফা সুপারিশ ইসির কাছে তুলে ধরার কথা জানিয়ে গোলাম পরোয়ার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের মধ্যে রয়েছে সংস্কার। পরিপূর্ণভাবে, অন্তত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বিভাগগুলোতে সংস্কার করেই সংসদের নির্বাচন করতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। আগের তিন নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি, আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। দুই হাজার ছাত্র–জনতার জীবন এবং ৩০ হাজার আহত ছাত্রের রক্ত বৃথা যাবে।
তিনি বলেন, অনেকে ভুল বোঝেন। জামায়াত পুরো রাষ্ট্রের সংস্কারের কথা বলেনি। নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করতে যেটুকু সংস্কার লাগে, তার কথা বলা হয়েছে।
তিনি জানান, এটা (সংস্কার) করতে গেলে সময় লাগে, এটা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করা। সেজন্য যে সংস্কারটুকু ন্যূনতম প্রয়োজন, তার জন্য যতটুকু সময় যৌক্তিক প্রয়োজন, জমায়াতে ইসলামী সে সময় দিতে প্রস্তুত। কোনো দিন, মাস, ক্ষণ বেঁধে দেয়নি জামায়াত।
সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য ‘যৌক্তিক সময়’ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই আগের অবস্থানে রয়েছে বলে জানান সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি বলেন, আমিরে জামায়াত প্রথম থেকেই যে বক্তব্য দিয়েছেন, আজও একই অবস্থান ব্যক্ত করেছেন তারা।
বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দলে সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পারওয়ার ছাড়াও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, প্রকাশনা ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দিন সরকার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজলিশে সুরার সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসূফ আলী, মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম সদস য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
হামদর্দের গাজার জনগণের প্রতি মানবিক সহায়তা
গাজা পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি। ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রতিটি অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শিশু, নারী, চিকিৎসক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক কেউই রেহাই পাচ্ছে না। মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে গাজা শহরটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ গাজার জনগণের প্রতি মানবিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হামদর্দ বাংলাদেশের চিফ মোতাওয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার আহ্বানে গত ২৬ এপ্রিল কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। হামদর্দের সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা তাদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুদান এবং শরবত রুহআফজা’র বিক্রয়লব্ধ লভ্যাংশ থেকে ফিলিস্তিনের গাজার জনগণের জন্য অর্থ সহায়তা হিসেবে প্রদান করবে।
এই অর্থ গাজার জনগণের জন্য জরুরি চিকিৎসাসেবা, খাদ্য সহায়তা, আশ্রয় এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে। হামদর্দের এই উদ্যোগ গাজার জনগণের মানবিক সংকটের মধ্যে তাদের পাশে দাঁড়ানোর একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।
ঢাকা/ইভা