Samakal:
2025-09-18@03:11:34 GMT

দুর্নীতির সূচকে সুখবর নেই কেন?

Published: 17th, February 2025 GMT

দুর্নীতির সূচকে সুখবর নেই কেন?

বহু বছর ধরে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে তার অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২৩ সালে সেরা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় আমাদের অবস্থান ছিল দশম। এ বছর আমাদের অবস্থান হয়েছে ১৪তম। মানে আমাদের আগে আরও চারটি দেশের নাম এ তালিকায় ঢুকেছে। বাংলাদেশ দশম থেকে ১৪তম হয়েছে মানে যে আমাদের দেশে দুর্নীতি কমেছে তা নয়। দুর্নীতিতে আমাদের স্কোর প্রায় একই আছে (১ কমেছে)। ২০২৩-এ স্কোর ছিল ২৪, ২০২৪ সালের স্কোর হয়েছে ২৩। সহজ কথা, আমাদের চেয়ে আরও কয়েকটি দেশে বেশি দুর্নীতি হওয়ায় সূচকে চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৮০টি দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান এখন ১৫১তম। 

 

দুর্নীতি দেশে আগেও ছিল, এখনও আছে। ব্রিটিশ আমলেও এ দেশে দুর্নীতি হয়েছে। তার প্রমাণ ‘দুর্নীতি বিরোধী আইন ১৯৪৭’, যা এখনও কার্যকর। মূলত পাবলিক সেক্টরের দুর্নীতিই এ আইনের উপজীব্য। তার মানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্রিটিশ আমল থেকেই দুর্নীতিপ্রবণ ছিলেন। সে কারণেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্রিটিশ সরকার আইন করে গেছে। ঔপনিবেশিক শাসন এখান থেকে বিদায় হয়েছে প্রায় ৮০ বছর, কিন্তু আমাদের ঔপনিবেশিক মানসিকতা এখনও দূর হয়নি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্রিটিশ মহারানীর আমলে যেমন দুর্নীতি করেছেন, হাল আমলের মহারানী বা সরকারের আমলেও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। সরকারি কর্মকর্তারা ব্রিটিশ আমলেও নিজেদের মহারানীর খাস প্রতিনিধি মনে করতেন, এখনও নিজেদের তা-ই মনে করেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজও নিজেদের জনগণের সেবক মনে করতে পারলেন না। 
দুর্নীতির সঙ্গে গণতন্ত্র ও সুশাসনের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। স্থিতিশীল গণতন্ত্রে ধীরে ধীরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায়। গণতন্ত্রে জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি থাকে। গণতন্ত্র না থাকলে সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি থাকে না। গত ১৫ বছর বিশেষ করে ১০ বছর (২০১৪ থেকে) সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি ছিল না। ফলে সরকারের ভেতরে ও বাইরে দুর্নীতি বেড়েছে। 


প্রশাসন সরকারের অধীনে কাজ করে। প্রশাসন সরকারের কাছে জবাবদিহি করে। যেহেতু সরকারেরই কোনো জবাবদিহি ছিল না, তাই ধীরে ধীরে এখানে গড়ে উঠেছে এক জবাবদিহিহীন প্রশাসন। জনগণের কাছে আস্থাহীন একটি সরকার প্রশাসন বা রাষ্ট্রের অপরাপর প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। ফলে প্রশাসন বা সরকারের অপরাপর প্রতিষ্ঠানগুলোও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে উঠে সরকারের কাছ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকে। এভাবে গণতন্ত্রহীনতা রাষ্ট্রের সব অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। যে যেভাবে পারে লাগামহীন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। সবাই যেন দুর্নীতির লাইসেন্স পেয়ে যায়। বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতির লাইসেন্স পেয়ে যেন ব্রেক-ফ্রি দুর্নীতিতে জড়িয়েছে। 


বিগত সরকার পুলিশের ওপর যারপরনাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পুলিশের ওপর নির্ভর করেছে। পুলিশকে দিয়ে সরকার বিরোধীদের দমন করেছে। ফলে পুলিশও এ সুযোগ নিয়ে সীমাহীন দুর্নীতিতে জড়িয়েছে। পুলিশের সবাই দুর্নীতিবাজ তা নয়। এ বাহিনীতেও সৎ কর্মকর্তা আছেন। কিন্তু মোটের ওপর গত ১৫ বছরে পুলিশ ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। সরকারের পুলিশের ওপর এই নির্ভরতার সুযোগে পুলিশ বাহিনীতে বেনজীর আহমেদের মতো কর্মকর্তারা লাগামছাড়া দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এ তালিকায় বেনজীরের মতো আরও অনেকেই আছেন। আসলে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। দুর্নীতিবাজদের ওপর নির্ভর করেই টিকে থাকেন কর্তৃত্ববাদী শাসকরা। 
টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয়েছে ডেনমার্কে। তালিকায় এর পরে আছে ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয়েছে ভুটানে। 


গণতন্ত্র ও সুশাসনের সঙ্গে যে দুর্নীতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে, তা তালিকায় থাকা দেশগুলোর অবস্থান থেকেই বোঝা যায়। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড– এ দেশগুলোতে এক ধরনের স্থিতিশীল শাসন ব্যবস্থা বিরাজ করছে। যেখানে যে শাসন ব্যবস্থা বিরাজ করছে, জনগণ সে শাসন ব্যবস্থাই মেনে নিয়েছে। নরওয়েতে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র চালু আছে। সেখানকার জনগণ সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেই অভ্যস্ত। আবার ফিনল্যান্ডে গণতন্ত্র চলছে। এটিই সেখানকার রাজনৈতিক সংস্কৃতি। ওই দেশগুলোর শাসক ও শাসন ব্যবস্থার ওপর জনগণ আস্থাশীল। নিয়মতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাই সেখানে চলছে। ফলে সেখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসন আছে। তাই ওই দেশগুলোতে দুর্নীতি কম।


বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোতে দেখা যায় ঠিক তার বিপরীত চিত্র। ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে দক্ষিণ সুদানে। এরপর সোমালিয়া, ভেনিজুয়েলা ও সিরিয়ার অবস্থান। এই তিনটি দেশেই রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক অস্থিতিশীলতা বিরাজমান। দেশগুলোতে গণতন্ত্র নেই। রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে। কর্তৃত্ববাদী শাসন বিদ্যমান। তাই সুশাসনও নেই। ফলে দেশগুলো চরম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। 


গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রগুলোতে শুধু যে দুর্নীতি বেড়ে যায় তা নয়, এসব রাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতিও ধীরে ধীরে অবনতি হয়। আসলে গণতন্ত্রের সঙ্গে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের সবকিছুই সম্পর্কযুক্ত। গণতন্ত্র থাকলে সুশাসন থাকে, সুশাসন থাকলে জনকল্যাণও হয়– কিছু কম নয় তো বেশি। উন্নয়ন না গণতন্ত্র– এই নব্য রাজনৈতিক মতবাদ কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে দেশকে ধাবিত করে। উদাহরণ বাংলাদেশ ও সিরিয়া। সুশাসন থাকলে মানবাধিকার পরিস্থিতিও উন্নত হয়। কারণ সুশাসনের মূল ভিত্তিই হলো আইনের শাসন। আমাদের গণতন্ত্রের সংকট থাকায় অপরাপর সব সূচকেই আমরা নিম্নগামী। 


বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যে রাজনৈতিক সংকট দেখা যাচ্ছে, তার মূল কারণ গণতন্ত্রের সংকট। গণতন্ত্রের সংকটের কারণেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অস্থিরতার সূত্রপাত, সেখানে থেকেই মানবাধিকার লঙ্ঘন। গণতন্ত্রের সংকটের জন্যই সুশাসন বাধাগ্রস্ত হয় এবং দুর্নীতি বেড়ে যায়। কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফলে ‍দুর্নীতি বেড়ে যায়। আবার দুর্নীতিপ্রবণ রাষ্ট্র ব্যবস্থাতেই কর্তৃত্ববাদী শাসন বিকাশ লাভ করে। ফলে দুটিরই লাগাম টেনে ধরতে হবে। তা না হলে একটি শান্তিপূর্ণ, মুক্ত ও টেকসই বিশ্বব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা নিশ্চয়ই সে রকম একটি বিশ্বব্যবস্থা চাই না। কিন্তু বাস্তবে মনে হচ্ছে, আমরা যেন ক্রমে সে পথেই হাঁটছি। 

এরশাদুল আলম প্রিন্স: আইনজীবী, প্রাবন্ধিক
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট আইব জনগণ র ক ছ র জন ত ক স র অবস থ ন সরক র র র জনগণ আম দ র র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

রোহিঙ্গা সমস্যায় রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান শুধু জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগে সম্ভব নয়। জনগণের ঐক্য, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর মাধ্যমে এর রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘অ্যাম্প্লিফাইং দ্য রোহিঙ্গা ভয়েসেস অ্যান্ড অ্যাসপাইরেশন: অ্যা স্ট্রাটেজিক ডায়ালগ এহেড অব ইউএনজিএ ২০২৫’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এ সংলাপের আয়োজন করেছে নীতি গবেষণা কেন্দ্র।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান জাতিসংঘ করতে পারবে না। দেশের জনগণের ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা ও ঐক্যের মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে। এ কারণেই সমস্যার মূল সমাধান নির্ভর করছে জনগণের মধ্যে বোঝাপড়া ও গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার ওপর।

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান নিছক কারিগরি নয়, বরং রাজনৈতিক প্রশ্ন। তাই এর সমাধানও রাজনৈতিকভাবে হতে হবে। ভারতের ভূমিকাও এখানে উপেক্ষা করার মতো নয়—এটি আগামী দিনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।ফরহাদ মজহার, কবি ও চিন্তক

৮ আগস্ট জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস হয়েছে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, সংবিধানের নামে একই ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও গণতন্ত্রবিরোধী প্রতিষ্ঠান বজায় রেখে দেশের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।

ফরহাদ মজহার আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান নিছক কারিগরি নয়, বরং রাজনৈতিক প্রশ্ন। তাই এর সমাধানও রাজনৈতিকভাবে হতে হবে। ভারতের ভূমিকাও এখানে উপেক্ষা করার মতো নয়—এটি আগামী দিনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

সংলাপে আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা ও গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

নুরুল ইসলাম বলেন, সব অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা, সহিংসতার পুনরাবৃত্তি রোধ করা, আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা তোলা, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে কার্যকর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, সম্মানজনক এবং টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের নাগরিকত্ব ও জাতিগত পরিচয় সুরক্ষিত রাখা এবং উপযুক্ত শিক্ষা ও পুনর্বাসনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যাবর্তনের পথে রাজনৈতিক বাধা মোকাবিলার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারে উদ্ভূত রাজনৈতিক সমস্যা, যার স্থায়ী সমাধানও মিয়ানমারেই আছে। —পিটার কার্ন, আইওএম বাংলাদেশ উপকার্যালয়ের প্রধান

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশ উপকার্যালয়ের প্রধান পিটার কার্ন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারে উদ্ভূত রাজনৈতিক সমস্যা, যার স্থায়ী সমাধানও মিয়ানমারেই আছে। বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে যে উদারতা প্রদর্শন করেছে, তার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের কাছ থেকে আরও স্বীকৃতি প্রাপ্য।

পিটার কার্ন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে সমর্থন দিয়ে স্বীকার করেছে, এই বিশাল বোঝা বাংলাদেশ একা বহন করতে পারবে না। এর মাধ্যমে বিশ্ব বাংলাদেশের ভূমিকা ও রোহিঙ্গাদের স্বদেশে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নীতি গবেষণা কেন্দ্রের ট্রাস্টি অধ্যাপক শেখ তৌফিক এম হক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক কূটনীতিক মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। ‘অ্যাম্প্লিফাইং দ্য রোহিঙ্গা ভয়েসেস অ্যান্ড অ্যাসপাইরেশন: অ্যা স্ট্রাটেজিক ডায়ালগ এহেড অব ইউএনজিএ ২০২৫’ শিরোনামের প্রবন্ধে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ কমে যাওয়ায় রোহিঙ্গা সংকট জটিল হচ্ছে। অর্থের ঘাটতি প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা সীমিত করছে। বড় দেশগুলো শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখছে, আঞ্চলিক দেশগুলোও তেমন সক্রিয় নয়। বাংলাদেশে মানবিক সহায়তা, শিক্ষা, কাজের সুযোগ ও চলাচলের স্বাধীনতার দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া হলেও রাখাইন ও মিয়ানমারে সহিংসতার বিষয়টি প্রায় অবহেলিত। নিরাপত্তা–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে পক্ষপাত লক্ষ্য করা যাচ্ছে; রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর কার্যক্রম বেশি তুলে ধরা হয়, আর রাখাইন জাতীয়তাবাদীদের কর্মকাণ্ড তেমন আলোচনায় আসে না।

আরও পড়ুনআসিয়ান জোট রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণকে উপেক্ষা করেছে: এপিএইচআর০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে প্রবন্ধে বলা হয়, জাতিগত ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব এড়াতে আরাকান আর্মির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া এবং রাজনৈতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা হুমকিমুক্ত রাখতে মাদক, মানব পাচার, সীমান্ত লঙ্ঘন এবং জেলেদের অপহরণ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো এবং সমাজে সমান অধিকারপ্রাপ্ত নাগরিক হিসেবে একীভূত করার জন্য পন্থা নির্ধারণ করা। মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সংযোগ বৃদ্ধি করা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটুয়াখালীতে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • রোহিঙ্গা সমস্যায় রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে
  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কেমন সংবিধান চান, জানালেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন
  • বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ