সন্ত্রাসী-ধর্ষকদের শাস্তি দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে মানববন্ধন
Published: 24th, February 2025 GMT
সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘আমার তোমার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও’, ‘সুশাসন চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাই’ প্রভৃতি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে দেশে নির্যাতন-নিপীড়ন বেড়েই চলছে। এর মূল কারণ আইনশৃঙ্খলার অবনতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দয়া করে আইনশৃঙ্খলার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিন।’
মানববন্ধনে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে কারখানার কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে মারধর, আটক ৪৩
গাজীপুরের শ্রীপুরে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন একটি কারখানার শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা কারখানার কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে মারধর করেন।
শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বেড়াইদেরচালা গ্রামে ডিজাইনটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪৩ জন শ্রমিককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, কারখানার মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ভেতরে অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে মারধর করেন শ্রমিকরা। পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ ও শ্রীপুর থানা-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত হন। আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ফটকের তালা ভেঙে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় সেখান থেকে ৪৩ জন শ্রমিককে আটক করা হয়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানিয়েছেন, কারখানার এক কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি ছিল শ্রমিকদের পক্ষ থেকে। সেই দাবি মেনে ওই কর্মকর্তাকে অপসারণ করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তখন কারখানার কোনো শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা যাবে না বলেও দাবি ছিল। কিন্তু ঈদের পর ছুটি কাটিয়ে শ্রমিকেরা কারখানায় কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন, অনেকের চাকরি নেই। কাউকে না জানিয়ে অনেক শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। এর প্রতিবাদে দুপুরে কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করেন। আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করেন।
কারখানার আরেক শ্রমিক বলেন, শ্রমিকদের একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে কারখানায় ভাঙচুর চালায়। কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে তাঁদের ওপর চড়াও হয়। অতি উৎসাহী কিছু শ্রমিক এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
কারখানার তত্ত্বাবধায়ক হামজা মিয়া বলেন, সকাল আটটা থেকে কর্মকর্তা ও শ্রমিকেরা কারখানায় কাজে যোগদান করেন। আটটার পরপরই শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে কারখানার মূল ফটক তালাবদ্ধ করে দেন এবং কর্মকর্তাদের মারধর শুরু করেন। এতে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসাইন, হেলাল উদ্দিন, আরিফুর রহমান, জলিলসহ ১০ থেকে ১৫ জন আহত হন। সকাল ১০টার কিছুক্ষণ পর পুলিশ ও সেনাসদস্যরা এলেও শ্রমিকেরা কারখানার ফটক খোলেননি। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন কারখানার ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেন।
কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসাইন বলেন, সব ধরনের বিধি মেনে তাঁরা শ্রমিক ছাঁটাই করেছেন। শ্রমিকেরা অহেতুক উত্তেজিত হয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেছেন। এতে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শ্রমিকেরা সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে মারধর করেন। তাঁরা তালা ভেঙে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্ধার করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারখানার পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।