সিলেটে লালগালিচা সংবর্ধনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থানায় গিয়ে তাঁকে দেওয়া লালগালিচা দেখে চটে যান তিনি। এসবের প্রয়োজন নেই জানিয়ে সেই মুহূর্তে লালগালিচা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে তিনি এয়ারপোর্ট থানা ঘুরে দেখেন। 

সেখান থেকে বেরিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, এখনও পুলিশকে পুনর্গঠন করা যায়নি। ৫ আগস্টের আগে ও পরে পুড়ে যাওয়া একটি গাড়িও কিনে দেওয়া যায়নি। অর্থ বরাদ্দ পেলে এই ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে।

উপদেষ্টা বলেন, আগের থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। মব জাস্টিস পুলিশ ভয় পাচ্ছে না। আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাইলেই আ্যকশনে যাবে পুলিশ।

তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। আমরা তাদের কাছ থেকে বেশি আশা করি। কিন্ত তাদের সেভাবে দিতে পারিনি। তাদের দুঃখ কষ্টের কথা আপনারা (গণমাধ্যমের কর্মীরা) তুলে ধরবেন। 

বিভিন্ন স্থান থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক ঘটনা ঘটছে, আবার আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তারও করছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সংকট রয়েছে। সংকট ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কোথাও গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, কোথাও থানা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এ অবস্থার মধ্যেও অনেকটা উন্নতি হয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। দেশের আইন-শৃঙ্খলা আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে।  

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, এখনও সব অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধারে চেষ্টা করছে সরকার। লুট হওয়া অস্ত্র বাইরে থাকলে নিরাপত্তার হুমকি থাকবে। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ ব্যাপারে নতুন কোনো আপডেট নেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের