মৌসুম শেষে মোহামেদ সালাহর সঙ্গে লিভারপুলের চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল। ফ্রি এজেন্টে সালাহ ক্লাব ছাড়ছেন কিনা, কোথায় যাচ্ছেন, নাকি চুক্তি নবায়ন হবে এসব নিয়ে মৌসুম জুড়ে নানান গুঞ্জন ছড়িয়েছে। অবশেষে মিশরীয় তারকা সালাহ ঘোষণা দিলেন, তিনি লিভারপুলেই থাকছেন।

লিভারপুলের ওয়েবসাইটে ৩২ বছর বয়সী এই বাঁ-পায়ের উইঙ্গার বলেন, ‘এটা অসাধারণ মুহূর্ত। আমি অ্যানফিল্ডে ৮ বছর হলো খেলছি। এটা সম্ভবত ১০ বছর হতে চলেছে। এখানে আমি জীবন ও ফুটবল উপভোগ করছি।’

সালাহর বার্তাতে পরিষ্কার, অল রেডসদের সঙ্গে তিনি দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করছেন। অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত অ্যানফিল্ডে থাকতে রাজি হয়েছেন তিনি। সালাহ রোমা থেকে ২০১৭ সালে লিভারপুলে যোগ দেন।

চুক্তি নবায়ন করে খুশি বলেও জানিয়েছেন সালাহ, ‘ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলবো, এখানে থাকতে পেরে আমি খুব খুবই খুশি। আমি এখানে চুক্তি করেছিলাম, কারণ বিশ্বাস ছিল আমরা অনেক শিরোপা জিতবো। আপনাদের সমর্থন থাকলে ভবিষ্যতে আরও শিরোপা আসবে এই বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’

সালাহ লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা লিগ কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপ, এফএ কাপ ও লিগ কাপ জিতেছেন। চলতি মৌসুমে লিগ শিরোপা জয়ের পথে আছেন তারা। মৌসুম শেষে সালাহ, ফন ডাইক ও ট্রেন্ট অ্যালেক্সজান্ডার অরনাল্ডের লিভারপুলের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছিল। এর মধ্যে সালাহর মতো ফন ডাইকও রেডস শিবিরে থেকে যাচ্ছেন বলে খবর। তবে ফ্রি এজেন্টে অ্যানফিল্ড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে পারেন অরনাল্ড।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ